ভাল স্বাস্থ্যের লক্ষণগুলো

ওযুর বিবরণ ও ওযু করার পদ্ধতি

ওযুর বিবরণ:

অজু একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নামায আদায়ের আগে পবিত্রতা অর্জন করা অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে হলে বান্দাহকে অবশ্যই পাক-পবিত্রতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা, আল্লাহ নিজে পাক, তিনি পবিত্রতাকে পছন্দ করেন। অপবিত্রতা সব কিছুকেই তিনি ঘৃণা বা অবজ্ঞা করেন।
ওযু সম্পর্কে পাক কালামে বলা হয়েছে-
یا ایها الذين أموا إذا قمتم إلى اللوة قاغا وجوهگم وایيم إلى المرافق وامسحوا بروگم وأرجلكم إلى الكعبين
অর্থাৎ, হে ঈমানদারেরা! তােমরা যখন নামাযের জন্য তৈরি হও তখন মুখমণ্ডল ও কনুইসহ হাত ধৌত কর, তােমাদের মাথা মাসেহ কর এবং উভয় পা টাখনুসহ ধুয়ে নিবে।

ওযু করার পদ্ধতি:

ওযূ করার পূর্বে প্রতিটি মুসলমানকে স্মরণ করতে হবে তার উপর গােসল ফরয কিনা? মহিলারা হায়েয-নিফাছ থেকে মুক্ত কিনা? যদি মহিলাগণ হায়েয-নিফাছ হতে মুক্ত থাকেন।
কিন্তু, অন্য কারণে গােসল ফরয হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে গােসলের কাজ শেষ করে নিতে হবে। গােসলের স্থানে শুধু ওযু করলে গােসলের কাজ আদায় হবে না।
যখন কোন ব্যক্তি পূর্ণরূপে আস্থাশীল হয়, তার উপর আল্লাহর ইবাদতের জন্য ওযুই যথেষ্ট। তখন সে কিবলামুখী হয়ে বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে নিম্নোক্ত ওযুর দোয়াটি পড়বে।

দোয়াটি এই:

توی آن اتوا، لرفع الحد واستباحة اللوة وتقبة إلى الله تعالى
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন আতাওয়াজ্জাআ লিরাফয়িল হাদাছি ওয়া ইস্তিবাহাতান লিচ্ছালাতি ওয়া তাক্বাবান ইলাল্লাহি তা’আলা ।
বঙ্গানুবাদঃ আমি নাপাকি দূর করার লক্ষে ওযুর নিয়ত করছি, বিশুদ্ধরূপে। নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে এবং আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য লাভের জন্য।
ওযুর ধাপসমূহ:
১. ওযুর নিয়ত শেষ হলে প্রথমে ডান হাত ও পরবর্তীতে বাম হাতের কজি পর্যন্ত যথাক্রমে ধৌত করবে।
২. তারপর গড়গড়ার সাথে তিন বার কুলি করবে।
৩. এরপর ডান হাত দ্বারা নাকে পানি দিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠাঙ্গুলিদ্বয় নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে ভিতরভাগ তিনবার ধৌত করবে।
৪. অতঃপর সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল অর্থাৎ, ললাটের উপরিভাগ চুল উঠার স্থান হতে থুতনীর নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি হতে অপর কানের লতি পর্যন্ত ভালভাবে তিনবার ধৌত করবে।
৫. লক্ষ্য রাখতে হবে যেন মুখমণ্ডলের কোন অংশ শুকনাে না থাকে।
৬. যাঁদের দাড়ি অত্যন্ত ঘন তাদের দাড়ি উত্তমরূপে খিলাল করে নিতে হবে।
৭. এরপর উভয় হাতের কনিষ্ঠা, অনামিকা ও মধ্যমা-এ তিনটি অঙ্গুলি একত্র করে মাথার এক চতুর্থাংশ মাছেহ করতে হবে।
৮. দু’হাতের কনিষ্ঠা অঙ্গুলিদ্বয় উভয় কানের ছিদ্রে ঢুকিয়ে শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা কানের ভিতেরের ভাজগুলাে মাসেহ করে দুই বৃদ্ধাঙ্গুলী দ্বারা কানের পৃষ্ঠদেশ মাসেহ্ করবে। আর উভয় হাতের পিঠ দ্বারা ঘাড় মাসেহ করবে।
৯. এরপর প্রথমে তিনবার টাখনু অর্থাৎ, পায়ের ছােট গিটসহ ধৌত করবে
১০. অনুরূপভাবে বাম পা তিনবার ধৌত করবে।
বার বার ওযুর দ্বারা শরীর ধৌত করায় যেমন শরীর পবিত্র হয় তেমনি মন-মানসিকতাও সতেজ থাকে।
শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *