সকালে হাঁটার উপকারিতা বা সকালে খালি পেটে হাঁটার উপকারিতা
আমরা সকলেই জানি সবচেয়ে উত্তম ব্যায়াম হচ্ছে হাঁটা। আমরা প্রতিদিনই হাঁটি। তবে শরীর ভালো রাখতে হাঁটার কিছু নিয়ম নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সেই সময় হাঁটলে শারীরিক ব্যায়াম হয়। হাঁটার সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে সকাল। তবে অনেকে কাজের চাপের কারণে বিকালে হাঁটে।
বিকালে হাঁটলেও শরীরের ব্যায়াম হয়। তবে সকালে হাঁটার উপকারিতা বা সকালে খালি পেটে হাঁটার উপকারিতা অনেক বেশি। সারারাত ঘুমানোর পর আমাদের শরীরের সবগুলো অঙ্গ শীতল হয়ে থাকে। যার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়।

এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য সকালে হাঁটতে পারেন। সকালে খালি পায়ে হাঁটলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সুস্থ থাকে এবং মানসিক চাপ দূর হয়। যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। এবং নিয়মিত সকালে হাঁটলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
সকালে হাঁটবেন কেন?
হাঁটা একটি উত্তম ব্যায়াম। নিয়মিত সকালে হাঁটলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সকালে হাঁটলে মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গের ব্যায়াম হয়। যার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও মানসিক ক্লান্তি দূর হয়। শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এ কারণে, সকালে নিয়মিত হাঁটবেন।
আরও পড়ুনঃ স্থায়ীভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
সকালে হাঁটলেঅনেক ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যথা: রক্তচাপ, ডায়াবেটিক্স, হৃদরোগ ও স্ট্রোক। এসব রোগ ছাড়াও শারীরিকভাবে ফিট রাখতে সাহায্য করে। অতিরুক্ত ওজন কমাতে সাহয্য করে। তাই সকলের সুস্থ থাকার জন্য সকালে হাঁটা উচিত।
সকালে হাঁটার উপকারিতা?
শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করতে হবে। সব চেয়ে উত্তম ব্যায়াম হচ্ছে সকালে হাঁটা। নিয়মিত সকালে হাঁটলে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক চাপ কমে। হাড়ের বিভিন্ন অংশের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাঁটার গুরুত্ব অপরিসীম।

নিয়মিত হাঁটার ফলে শারীরিকভাবে অনেক সুফল পাওয়া যায়। নিম্নে সকালে হাঁটার উপকারিতা গুলো তুলে ধরা হলো:
- শারীরিক গতি বৃদ্ধি পায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
- বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যথা কমায়।
- মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
সকালে খালি পেটে হাঁটার উপকারিতা
সাকালে খালি পেটে ব্যায়াম করা বা হাঁটার অভ্যাস প্রায় সকলের। আবার অনেকে সকালে কিছু খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করে। তবে সবচেয়ে ভালো সকালে খালি পেটে হাঁটা। খালি পেটে হাঁটলে যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তা কমাতে সাহায্য করে।
আমরা যদি খালি পেটে ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করি তাহলে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের চাহিদা পূরণ করে লিভার। লিভারে জমিয়ে থাকা গ্লুকোজ ভান্ডার থেকে আমাদের শরীরে শর্করা সরবরাহ করে।
আরও পড়ুনঃ আয়রন ট্যাবলেট এর উপকারিতা
খালি পেটে ব্যায়াম করার সময় সবচেয়ে বেশি গ্লুকোজের প্রয়োজন পড়ে মস্তিষ্ক, কিডনি ও রক্ত কোষ সতেজ রাখতে। এই কারণে, খালি পেটে ব্যায়াম করলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হাঁটলে কি মেদ কমে?
বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত মেদ নিয়ে অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ভাবছেন কিভাবে মেদ কমানো যায়। মেদ কমানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে ব্যায়াম করা। সবচেয়ে উত্তম ব্যায়াম হচ্ছে হাঁটা। প্রতিদিন সকালে বা বিকালে হাঁটলে মেদ কমানো সম্ভব।
তবে হাটা নির্দিষ্ট গতি রয়েছে। সেই গতি বজায় রেখে হাঁটলে অবশ্যই মেদ কমবে। মেদ কমানোর জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় হাঁটতে হবে। এবং হাঁটার সময় অবশ্যই খালি পেটে থাকতে হবে। খালি পেটে হাঁটলে শরীরে থাকা অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও প্রতি ঘন্টায় হাঁটার গতি থাকতে হবে ৪ থেকে ৫ মাইল। এই গতিতে হাঁটলে প্রতিদিন ৫০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি প্রতিদিন সকালে হাঁটলে মেদ কমে।
ওজন কমাতে হাঁটার উপকারিতা
বর্তমান সময়ে মানুষ অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে। কারণ, অতিরিক্ত ওজনের কারণে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এবং শরীরের রোগের আক্রমণ বেশি হয়। এই কারণে সকলেই চাই অতিরিক্ত ওজন কমাতে।

ওজন কমাতে হলে অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে। এবং খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করতে হবে। তবে খুব সহজেই ওজন কমানো সম্ভব। ওজন কমাতে হলে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। সবচেয়ে উত্তম ব্যায়াম হচ্ছে হাঁটা। একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
ব্রাজিলিয়ান এক গবেষক জানিয়েছেন ২০১৬ সালে একটি তথ্য প্রদান করেন। সেখানে উল্লেখ রয়েছে যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাটে বা ৫ মাইল হাটে তাহলে ১২ সপ্তাহে ৩.৪ পাউন্ড ওজন কমবে।
এই থেকে আমরা বলতে পারি যদি কোন ব্যক্তি ওজন কমাতে চাই তাহলে প্রতিদিন পাঁচ মাইল হাঁটতে হবে। এবং হাটার গতি ঠিক থাকতে হবে। যেন হাঁটার সময় গা ঘামে। তাহলে শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি ধরে পড়বে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
ওজন কমাতে দিনে কত কিলোমিটার হাটতে হয়?
অনেকে প্রশ্ন করে ওজন কমাতে দিনে কত কিলোমিটার হঠাৎ প্রয়োজন। কারণ অনেকেই অতিরিক্ত ওজন এর সমস্যায় ভুগছেন। সাধারণভাবে বলতে গেলে কত কিলোমিটার হাঁটলেন সেটা বড় কথা নয়। তবে হাঁটার গতি ঠিক থাকতে হবে।
ধীরে ধীরে হাঁটার ফলে শরীর থেকে ঘাম ঝরে না। শরীর থেকে ঘাম না ঝরলে ওজন কমবে না। অতিরিক্ত ওজন কমাতে অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে। আর হাঁটার মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের ব্যায়াম হয়। এজন্য ওজন কমাতে প্রতিদিন সকালে হাঁটতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ছেলেদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
যদি প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার হাঁটতে পারেন তাহলে ওজন কমানো সম্ভব। কারণ, ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার হাটলে ৫০০ ক্যালোরি ক্ষয় হয়। যা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে হাঁটার নিয়ম
ইচ্ছা করলেই ওজন কমানো সম্ভব না। ওজন কমাতে হলে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন। ওজন কমাতে হলে সর্বপ্রথম খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করতে হবে। এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। কিন্তু অনেকে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ব্যায়াম করতে পারে না।
তারা নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে ওজন কমাতে পারে। অতিরিক্ত ওজন হলে চিন্তার কোন কারণ নেই। সঠিক ভাবে চলাফেরা করলে ওজন কমানো সম্ভব। বিশেষ করে শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে খুব সহজেই ওজন কমানো সম্ভব।
বিশেষ করে হাঁটার মাধ্যমেও ওজন কমানো সম্ভব। তবে কিছু নির্দিষ্ট হাঁটার নিয়ম রয়েছে। নিম্নে হাঁটার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো:
- প্রতিদিন সকালে হাঁটতে হবে।
- কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাটতে হবে।
- হাঁটার গতি থাকতে হবে ঘন্টায় ৫ মাইল।
- একা একা হাঁটতে হবে। কারণ দলবদ্ধভাবে হাঁটলে হাঁটার গতি কমে যায়।
- অবশ্যই খালি পেটে হাঁটতে হবে।
BMI অনুযায়ী হাঁটার মান কত?
বডি মাস ইনডেক্স (BMI) এর বাংলা অর্থ শরীরের উচ্চতা ও ওজনের আনুপাতিক হার। BMI এর স্বাভাবিক মান হচ্ছে ১৮.৫- ২৪.৯। BMI মান থেকেই আমরা শারীরিক ফিটনে বুঝতে পারি। BMI অনুযায়ী হাঁটার মান কত? আমরা অনেকেই জানতে চাই।

তবে নির্দিষ্ট কোন হাঁটার মান নেই। কোন ব্যক্তি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হাঁটে, তাহলে স্বাভাবিক মানে হাঁটলে হবে। আর যদি কেউ ওজন কমাতে হাটে তাহলে তাকে দ্রুতগতি থাকতে হবে। কারণ, দ্রুত গতিতে না হাঁটলে শরীর থেকে ঘাম ঝরবে না। আর ঘাম না ঝরলে ওজন কমানো সম্ভব না।
প্রতিদিন কত ঘন্টা হাটা উচিত?
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই নিয়মিত সকালে হাঁটতে হবে। তবে হাটার কিছু নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। অনেকে হঠাৎ করে অনেক সময় হাঁটাহাঁটি করে। যাতে করে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। বিভিন্ন গবেষণা দেখা গিয়েছে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে। তাহলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব।
অনেকে মনে করে অতিরিক্ত হাটার ফলে অতিরিক্ত ব্যায়াম হয়। এই কথা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। অতিরিক্ত হাটাহাটি করার ফলে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে। এবং পরের দিন হাঁটার প্রতি বিরক্ত বোধ কাজ করবে। এই কারণে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে।
হাঁটার উপকারিতা ও অপকারিতা:
হাঁটার অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন সকালে নিয়মিত হাঁটলে পেশী সুগঠিত হয়। এবং শরীরের অঙ্গ পতঙ্গ সুস্থ থাকে। যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি মস্তিষ্ক সতেজ থাকে। মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হয়। এ থেকে বোঝা যায় নিয়মিত হাঁটার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
সকল কিছুরই উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে। তবে হাঁটার কোন অপকারিতা নেই। তবে কেউ যদি মাত্র অতিরিক্ত হাটে তাহলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এছাড়াও হাঁটার নির্দিষ্ট কিছু সময় রয়েছে। সময় ছাড়া হাঁটাহাঁটি করলেও শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় মেনে হাঁটতে হবে।
বিকালে হাঁটার উপকারিতা
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে। শারীরিক অন্য কোন ব্যায়াম করতে না পারলেও নিয়মিত হাঁটতে হবে। নিয়মিত হাঁটলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গেরই ব্যায়াম হয়। তবে ব্যায়াম করার কিছু নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। ব্যায়াম করার সঠিক সময় হচ্ছে সকাল ও বিকাল।
নিয়মিত সকালে হাঁটলে উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে কাজের চাপের কারণে আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারি না। যার কারণে সকালে হাঁটার মত কোন সময় থাকে না। এই কারণে বিকালে হাঁটতে পারেন। বিকালে হাঁটলেও অনেক উপকারিতা রয়েছে।
বিকালে হাঁটতে হবে সূর্যের তাপ কমার পর। যাদের অতিরিক্ত ওজন তাদের জন্য বিকালে হাঁটার উপকারিতা অনেক। কারণ, বিকালে তাপমাত্রা বেশি থাকে যার ফলে শরীর থেকে ঘাম বেশি ঝরে।
এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিকেলে হাঁটার উপকারিতা অনেক। অনেক মনে করে বিকালে হাঁটলে শারীরিক ভাবে উপকৃত হওয়া যায় না। এই কথা সম্পন্নভাবে ভুল।
২০ মিনিট হাঁটলে কত ক্যালরি খরচ হয়
নিয়মিত হাঁটলে শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরে পড়ে। যাওয়ার কারণে হাঁটাহাঁটি করলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যায়। অনেকেই প্রশ্ন করে ২০ মিনিট হাটলে কত ক্যালরি খরচ হয়। এটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব না। কারণ হাঁটার গতির ওপর ক্যালরি খরচ হয়।
সাধারণত স্বাভাবিকভাবে ২০ মিনিট হাটলে প্রায় ২৫০ ক্যালোরি খরচ হয়। যদি ২০ মিনিট দৌড়ান তাহলে প্রায় ৫০০ ক্যালোরি ক্ষয় হয়।
১ ঘন্টা হাঁটার উপকারিতা
আমরা জানি হাঁটলে অনেক শারীরিকভাবে অনেক উপকৃত হওয়া যায়। তবুও আমরা হাঁটিনা। হাঁটার কথা শুনলেই আমাদের মধ্যে আলসেমি কাজ করে। তবে নিয়মিত হাঁটার ফলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এবং শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সুস্থ থাকে। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুনঃ বিনাইন টিউমার চেনার উপায়
আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে যারা অতিরিক্ত কাজ করতে পছন্দ করে। ঠিক এমন ভাবে তারা অতিরিক্ত হাঁটে। হাঁটার স্বাভাবিক সময় হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। নিয়মিত এই সময় হাঁটলেই শরীর ঠিক থাকে।
তবে অনেকে ১ ঘন্টা হাটে। প্রতিদিন ১ একঘন্টা হাঁটলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ থেকে ঘাম ঝরবে। যার ফলে ডায়াবেটিকস ও উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কত ক্যালরিতে ১ কেজি ওজন কমে?
বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষেরই শারীরিক ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে শারীরিক সৌন্দর্য কমে যাচ্ছে। এবং খুব সহজেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অতিরিক্ত ওজনের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
এই কারণে প্রতিদিন শরীর থেকে ক্যালরি ফুরাতে হয়। কারণ, শরীরে ক্যালরি পরিমাণ বেশি হলে ওজন বৃদ্ধি হয়। প্রতি ১ কেজি ওজন কমানোর জন্য ৭,৭০০ ক্যালরি বার্ন বা ফুরাতে হয়।
বেশি হাঁটলে কি হয়?
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। একই ভাবে যদি কেউ অতিরিক্ত হাঁটে তাহলেও সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ, অতিরিক্ত হাঁটার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি ফুরিয়ে যায়। এবং হাঁটার প্রতি বিরক্ত বোধ সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত হাঁটার ফলে পায়ের গিরা ও পেশির অনেক ক্ষতি হয়।
যার কারনে পরবর্তীতে সময়ে হাঁটুর ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি কোন ব্যক্তি অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি করে তাহলে তার পরবর্তীতে স্বাস্থঝুকিতে পড়তে পারে। এই কারণে, বেশি হাঁটা থেকে বিরত থাকাই ভালো। কোন কাজই অতিরিক্ত ভালো না।
শেষ কথা: সকালে হাঁটার উপকারিতা বা সকালে খালি পেটে হাঁটার উপকারিতা
সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। আর উত্তম ব্যায়াম হচ্ছে সকালে হাঁটা। প্রতিদিন সকালে হাঁটলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের ব্যায়াম হয়। এই কারণে সকালে হাঁটার অনেক উপকারিতা। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় খালি পেটে হাঁটলে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হাটলে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে সঠিক নিয়ম মাফিক চলতে হবে। এ কারণে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।