মোটা হওয়ার ঔষধের নাম

মোটা হওয়ার ঔষধের নাম

মানুষ মোটা হলে যেমন সমস্যা হয় ঠিক একই ভাবে চিকন হলেও সমস্যা হয়। মোটা হলে যতটা সমস্যা হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি সমস্যা হয় চিকন হলে। অতিরিক্ত চিকন হলে মানুষকে দেখতে বেমানান লাগে।

কারণ উচ্চতা অনুযায়ী ওজন না হলে কোন কিছুই শরীরে ফিট করে না। যার কারণে মানুষের সৌন্দর্য কম মনে হয়। এই কারণে মোটা হওয়ার জন্য অনেকেই অনেক কিছু ট্রাই করে। অনেকে মোটা হওয়ার ঔষধের নাম জানতে চাই।

কারণ বর্তমান সময়ে মোটা হওয়ার ওষুধ পাওয়া যায়। কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে যেসব খেলে ভাই ভাবে মোটা হওয়া যায়। নিম্নে, মোটা হওয়ার ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

মোটা হওয়ার কারণ কি?

মানুষ বিভিন্ন কারণে মোটা হয়ে থাকে। বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রম না করা, অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া, হরমোন গ্রন্থির সমস্যা, বংশগত প্রভাব, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং মানসিক অসুস্থতা এসব কারণেই মানুষ মোটা হয়ে যায়। 

এছাড়াও শহর অঞ্চলের মানুষ মোটা হয়ে থাকে। কারণ তাদের শারীরিক কোন পরিশ্রম হয় না। যার কারণে অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায়।

দ্রুত ওজন বাড়ে কেন?

বর্তমান সময়ে কিছু কিছু মানুষের অতিরিক্ত ওজন দেখা যায়। এসব হয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে। দ্রুত ওজন বাড়ে কেন? নিম্ন তুলে ধরা হলো:

  1. অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা।
  2. অতিরিক্ত মাত্রায় ফাস্ট ফুড খাওয়া।
  3. বাড়তি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া।
  4. শারীরিক পরিশ্রম না করা।
  5. অতিরিক্ত শুয়ে থাকা।
  6. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া।
  7. রাত্রে কম ঘুমানো।

মোটা না হওয়ার কারণ কি?

বর্তমানে সময়ে অনেক মানুষ রয়েছে যাদের ওজন অনেক কম। অতিরিক্ত ওজন কমের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা করে থাকে। অনেক কারণে মানুষ মোটা হতে পারে না। মোটা না হওয়ার কারণ কি? নিম্নে তুলে ধরা হলো:

মোটা না হওয়ার কারণ কি
  1. অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাস।
  2. মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা।
  3. ভিটামিনযুক্ত খাদ্যের অভাব।
  4. ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।
  5. ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত।
  6. পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমানো। 
  7. জেনেটিক সমস্যা।
  8. বিভিন্ন শারীরিক রোগে আক্রান্ত।

কি কি খাবার খেলে মানুষ মোটা হয়?

সকলে চাই নিজের শারীরিক ওজন ঠিক রাখতে। কিন্তু অনেকে চাইলেও সঠিক ওজন করতে পারে না। বিভিন্ন কারণে শারীরিক ওজন কম হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ এন্টিবায়োটিক কি কাজ করে ও এন্টিবায়োটিক এর উপকারিতা

তবে নিয়মিত সঠিক খাবার খেলে মোটা হওয়া সম্ভব। তার জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। নিম্নে, কি কি খাবার খেলে মানুষ মোটা হয়? তুলে ধরা হলো:

  1. শাক-সবজি
  2. ফলমূল
  3. ভাত ও রুটি
  4. আলো
  5. ফাস্টফুড
  6. নুডুলস ও পাস্তা
  7. ডিম
  8. মাংস
  9. দুধ ও মধু
  10. কাঁচা ছোলা
  11. পিনাট বাটার
  12. ভুনা খিচুড়ি
  13. ফলের জুস
  14. খেজুর ও শশা

উপরে যেসব খাবারের কথা বলা হলো সেসব নিয়মিত খেলে অবশ্যই ওজন বৃদ্ধি পাবে। তবে শারীরিক কোন সমস্যা আছে নাকি সেটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

মোটা হওয়ার ওষুধ খেলে কি হয়?

যারা চিকন তারা মানসিক অনেক সমস্যা থাকে। কারণ, তারা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে থাকে। এই কারণে বর্তমানে অনেকে মোটা হওয়ার ওষুধ খায়। যার ফলে খুব কম সময়ের মধ্যে মোটা হয়ে যায়। তবে মোটা হওয়ার ওষুধ খেলে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। 

মোটা হওয়ার ওষুধ খেলে কি হয়

বিশেষ করে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে আবার চিকন হয়ে যায়। অনেক সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শরীরের শক্তি কমে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের  শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে। 

তবে বর্তমানে অনেক ধরনের মোটা হওয়ার ওষুধ পাওয়া যায়। সে সব ওষুধ খেলে খুব সহজে মোটা হওয়া যায়। এতে করে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না।

মোটা হওয়ার জন্য কি করতে হবে?

মোটা হওয়ার জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকে। ওষুধ খাওয়া ছাড়াও মোটা হওয়া সম্ভব। তার জন্য সঠিকভাবে চলাফেরা করতে হবে। এবং সঠিক সময় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। 

তাহলেই মোটা হওয়া সম্ভব। নিম্নে, মোটা হওয়ার জন্য কি করতে হবে? তুলে ধরা হলো:

  1. ব্যায়াম করা
  2. কিছুক্ষণ পর পর খাবার খাওয়া।
  3. খাদ্য তালিকায় ক্যালরিযুক্ত খাবার রাখা।
  4. প্রতাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন খাওয়া।
  5. ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া।
  6. সঠিক পরিমাণ ঘুমানো।
  7. ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু খাওয়া।
  8. ফাস্ট ফুড খাওয়া।

বেশি করে পানি খেলে কি মোটা হওয়া যায়?

অনেকে মনে করে অতিরিক্ত পানি খেলে মোটা হওয়া যায়। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ পানিতে মোটা হওয়ার মতো কোনো উপাদান থাকে না। তবে পানি কম খেলে চিকন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কারণ পানি কম খেলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়। যার ফলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তবে বেশি করে পানি খেলে মোটা হওয়া যায় না। সুস্থ থাকতে হলে পরিমাণ মতো পানি খেতে হবে।

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়?

যারা চিকন তারা মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। সেজন্য কোন সময় কি খেলে মোটা হওয়া যায় সে সম্পর্কে জানতে চাই। অনেকেই জানতে চাই, সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়?

আরও পড়ুনঃ হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ

কিছু খাবার আছে যেসব খেলে ওজন ভিত্তি হয়। সেসব হল, কাঁচা ছোলা, দুধ ও কিসমিস, মধু, ফলের রস, খেজুর শসা। এসব খাবার সকালে খালি পেটে খেলে মোটা হতে পারেন। 

চিকন থেকে মোটা হওয়ার উপায় কি?

বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ রয়েছে যারা নিজের ওজন নিয়ে সন্তুষ্ট না। তারা মনে করে ওজন যদি একটু বেশি হত তাহলে ভালো হতো। প্রতিটি মানুষের উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট ওজন রয়েছে।

অতিরিক্ত ওজন এবং কম ওজন দুটাই শারীরিক সমস্যার কারণ। যারা চিকন তারা মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের চেষ্টা করে।

উপরে চিকন থেকে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সেসব ফলো করলে সহজে মোটা হতে পারবেন। আবারো তুলে ধরা হলো:

  1. ব্যায়াম করা
  2. চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া।
  3. কিছুক্ষণ পর পর খাবার খাওয়া।
  4. খাদ্য তালিকায় ক্যালরিযুক্ত খাবার রাখা।
  5. প্রতাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন খাওয়া।
  6. ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া।
  7. সঠিক পরিমাণ ঘুমানো।
  8. টেনশন মুক্ত থাকা।
  9. ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু খাওয়া।
  10. ফাস্ট ফুড খাওয়া।

মোটা হওয়ার ঔষধের নাম:

যদি আপনি চিকন হন, তাহলে ওষুধ খেয়ে অল্প সময়ের মধ্যে মোটা হতে পারেন। তবে সঠিক মাত্রায় ওষুধগুলো সেবন না করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। নিম্নে, মোটা হওয়ার ঔষধের নাম তুলে ধরা হলো:

  1. সিনকারা সিরাপ
  2. পিউটন সিরাপ
  3. রুচিবেট সিরাপ
  4. রুচিভিট সিরাপ
  5. আমলকি প্লাস
  6. আলফালফা প্লাস সিরাপ
  7. কারমিনা সিরাপ
  8. ছাফী সিরাপ
  9. জিনকোভিট ট্যাবলেট

মোটা হওয়ার ভিটামিন সিরাপ:

মোটা হওয়ার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ মোটা হওয়ার ওষুধ ভিটামিন সিরাপ। এসব ওষুধ খেলে খুব সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে মোটা হওয়া যায়। 

উপরে মোটা হওয়া ভিটামিন সিরাপ এর নাম তুলে ধরা হয়েছে। উপরে যেসব সিরাপের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেসব খেলেই খুব সহজে মোটা হতে পারবেন।

মোটা হওয়ার ভিটামিন ক্যাপসুল:

যারা চিকন তারা মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ক্যাপসুল সেবন করে থাকে। তবে এসব ওষুধ খেয়ে স্থায়ীভাবে মোটা হওয়া যায় না। তারপরও অনেকে ক্যাপসুল খেয়ে থাকে। মোটা হওয়ার ভিটামিন ক্যাপসুল এর নাম তুলে ধরা হলো:

  1. হেলফিট ট্যাবলেট
  2. জিনকোভিট ট্যাবলেট
  3. Cavic C Plus ট্যাবলেট
  4. Filwel Gold ট্যাবলেট
  5. Bextram Gold ট্যাবলেট

কিভাবে খাবার খেলে ওজন বাড়ে না?

সঠিক পরিমাণ খাবার না খেলে ওজন বাড়ে না। সঠিক পরিমাণে খাবারের সাথে সঠিক নিয়মে খাবার খেতে হয়। অনেক ব্যক্তি রয়েছে খুব কম পরিমাণ খাবার খায়। এছাড়াও একসাথে খাবার খায় না। যার কারণে সব সময় ক্ষুধা লেগে যাবে। এভাবে খাবার খেলে ওজন বাড়ে না। 

আরও পড়ুনঃ সিজারের পর পেট কমানোর উপায়

সব সময় কম পরিমাণ খাবার খেতে হবে। খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে হবে। খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমানো যাবে না। এইভাবে খাবার খেলে ওজন বাড়ে না। এবং খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে।

ছেলেদের মোটা হওয়ার ঔষধের নাম:

বর্তমান সময়ে চিকন হওয়ার সমস্যা নিয়ে ভুগছে ছেলেরা। ছেলেরা চিকন হলে দেখতে খুব খারাপ লাগে।এসব কারণে ছেলেরা মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খুঁজে। নিম্নে, ছেলেদের মোটা হওয়ার ওষুধের নাম তুলে ধরা হলো:

  1. সিনকারা সিরাপ
  2. পিউটন সিরাপ
  3. রুচিবেট সিরাপ
  4. রুচিভিট সিরাপ
  5. আমলকি প্লাস
  6. হেলফিট ট্যাবলেট
  7. জিনকোভিট ট্যাবলেট
  8. Cavic C Plus ট্যাবলেট

মোটা হওয়ার ঔষধ খেলে কি ক্ষতি হয়:

বর্তমান সময়ে মোটা হওয়ার জন্য অনেক ধরনের ওষুধ খাচ্ছে। এসব ওষুধ খেলে তাৎক্ষণিকভাবে মোটা হওয়া যায়। তবে স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়া যায় না। ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে আবার আগের মত হয়ে যায়। তবে মোটা হওয়ার ওষুধ খেলে অনেক ধরনের ক্ষতি হয়।

মোটা হওয়ার ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে খাবারের প্রতি রুচি কমে যায়। শরীর আগের মত চিকন হয়ে যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক সময় কিডনির সমস্যা হয়ে থাকে। 

কারণ মোটা হওয়ার ওষুধ খাওয়ার ফলে কিডনিতে পানি জমতে শুরু করে। এসব কারণে মোটা হওয়ার ওষুধ না খাওয়াই উচিত।

মোটা হওয়ার জন্য কি করা উচিত?

অনেক মানুষ রয়েছে যারা নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সুখে না। তারা মনে করে যদি একটু মোটা হতাম। আর যারা মোটা তারা মনে করে যদি একটু চিকন হতাম। তবে শারীরিকভাবে মোটা বা চিকন যেটাই হোন না কেন শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাটাই উত্তম। 

তবে অনেকে অতিরিক্ত চিকন তারা সঠিকভাবে চলাফেরা করলে মোটা হতে পারবেন। মোটা হওয়ার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এছাড়াও কিছুক্ষণ পরপর খাবার খেতে হবে। কোন ধরনের বদ অভ্যাস থাকলে সেটা পরিত্যাগ করতে হবে। 

ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। তাহলে আপনি আস্তে আস্তে ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। এ পদ্ধতিতে ওজন বৃদ্ধি করলে ওজন দীর্ঘস্থায়ী হয়।

শেষ কথা: মোটা হওয়ার ঔষধের নাম

বর্তমান সময়ে সকলেই চাই মোটা হতে। অনেক মা-বাবা নিজের সন্তানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগে। সেই কারণে তারা মোটা হওয়ার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ায়। এতে করে বাচ্চারা মোটা হয় কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয় না। 

এসব ওষুধের বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। এসব কারনে মোটা হওয়ার ওষুধ না খাওয়াই উত্তম। সঠিকভাবে খাবার খেলে এবং শরীরের যত্ন করলে আস্তে আস্তে ওজন বৃদ্ধি করতে পারবে না। 

এতে করে কোন ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

Similar Posts