কৃমির ঔষধ এর নাম কি । কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো
কৃমি মানব দেহের জন্য অনেক ক্ষতি করে। তাই কৃমির আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য আমাদের নিয়মিত কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে চলতে হবে। কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো আজকে আমরা সেই বিষয়ে সম্পর্কে জেনে নেব এই পোষ্টের মাধ্যমে।
আপনারা যারা কৃমির মাধ্যমে আক্রান্ত রয়েছেন তারা কিভাবে কোন ঔষধটি খাবেন কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে দেখুন।
কৃমি কত প্রকার কি কি?
কৃমি রোগের লক্ষণ কি?
কৃমি রোগের লক্ষণ: কৃমি হলে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমনঃ
- বমি বমি ভাব
- পেট ব্যথা
- পেট মোটা বা ভারি হওয়া
- খাবারে অরুচি
- মুখে থুথু ওঠা এবং
- কোনো কোনো কৃমিতে পায়খানার রাস্তার পাশে চুলকানি হতে পারে।
- কৃমি হলে সাধারণত অপুষ্টি দেখা দেয়।
- রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
কৃমির ওষুধ নাম কি? । কৃমির ভালো ঔষধ কি?
আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা কৃমির ঔষধের নাম সম্পর্কে জানেন না এবং কৃমির ভালো ঔষধ কি বা কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো এই নিয়ে বিভিন্ন দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুবেন। আর তাই আজকে আমরা আপনাদের জন্য এই পর্যায়ে ক্রিমের ওষুধের নাম কি এবং কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো হবে সেই সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।
তাই চলুন তাহলে দেরি না করে এখন জেনে নেওয়া যায় কৃমির ঔষধের নাম কি সেই সম্পর্কেঃ
- অলবেন্ডাজোল (Albendazole)
- মেবেনডাজোল (Mebendazole)
- প্রাজিকোয়েন্টেল (Praziquantel)
- আইভারমেকটিন (Ivermectin)
- লেভামিসোল (Levamisole)
উপরে উল্লেখিত কৃমির ঔষধ গুলো ছাড়াও বাজারে অনেক ধরনের কৃমির ঔষধ পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই আপনারা কৃমির ঔষধ সেবন করার পূর্বে তিমির ঔষধ কোনটা ভালো এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই সেবন করবেন।
আশা করি নিজে থেকে কেউ কোন ঔষধ সেবন করবেন না ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিরেকে। কেননা আপনি হয়তো জানেন না যে কোন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিরকম সেটি জানার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
কৃমির সেরা কয়েকটি ওষুধের নাম – কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো
- অ্যালমেক্স ট্যাবলেট
- তিনটি অ্যালবেজেন ট্যাবলেট
- ট্যাবলেট এস্টাজল
- ডুরাজোলের ট্যাবলেট
- আইপ্যাড বেন-এ
অ্যালমেক্স ট্যাবলেট
Albezen ট্যাবলেট
Estazol ট্যাবলেট
Durazol ট্যাবলেট
বেন – এ ট্যাবলেট
মানুষের কৃমির চিকিৎসা
কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
কৃমির ঔষধ যখন তখন খেলেই চলবে না এটি খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। আপনাকে অবশ্যই সঠিক নিয়ম মেনেই কৃমির ঔষধ সেবন করতে হবে। আপনারা যারা কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না নিচে তাদের জন্য একটি তালিকা প্রকাশ করা হলো টিভির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা / ৩ মাসের গর্ভবতী লক্ষণ
- আপনি যখন কৃমিনাশক বড়ি খান তখন পরিবারের অন্য সদস্যদের অবশ্যই খাওয়াতে হবে। এবং কৃমি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হবে না যদি আপনি শুধুমাত্র নিজে খান এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের না।
- ছোট বড় সব সাইজের কৃমির জন্য ওষুধ একই।
- একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যার স্বাস্থ্য ভালো, তিনি চাইলে প্রতি তিন থেকে চার মাস অন্তর কৃমিনাশক ওষুধ খেতে পারেন। তবে কৃমির সমস্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
- কৃমি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় অস্তিত্বহীন বা প্রত্যাশিত নয়। যাইহোক, হালকা বমি বমি ভাব হওয়া সাধারণ। সেই অবস্থায় রোগীর বমি-ভরা মুখ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।
- কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের পরও যদি সমস্যাটি অব্যাহত থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ বাড়াতে হবে।
- অনেক ব্যক্তি বিশ্বাস করেন যে গ্রীষ্মে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। যদিও এটি একটি সামান্য ভুল ধারণা, তবে প্রচণ্ড এবং অস্বস্তিকর গরমের ফলে আপনি যদি দুর্বল বা উদ্বিগ্ন বোধ করেন তবে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল। যদিও গ্রীষ্মকালে কৃমিনাশক করা উচিত নয় এমন বলার কোনো বৈজ্ঞানিক যৌক্তিকতা নেই।
- আরেকটি ভিত্তিহীন দাবি হল যে কৃমিনাশকগুলিকে কার্যকর করার জন্য খাবারের সাথে গ্রহণ করতে হবে। যদিও কৃমিনাশক ওষুধ সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করা উচিত। কারণ এমনটা করলে শরীর কৃমির ট্যাবলেটের প্রভাব সহ্য করতে পারবে।
- কৃমি ওষুধের প্রশাসন অনুসরণ করে, আপনি যেকোনো সাধারণ খাবার খেতে পারেন।
- আপনি যদি সুস্থ হন এবং কৃমিমুক্ত না হন তবে প্রতি সপ্তাহে একবারের বেশি কৃমিনাশক ওষুধ খাবেন না। এর ফলে আরও বিরূপ প্রভাব হতে পারে এবং মাঝে মাঝে মৃত্যুও হতে পারে।
কৃমির ঔষধ খাওয়ার যথাযথ সময় কখন – কৃমির ঔষধ কখন খেতে হয়
কৃমিনাশক ওষুধ কখন গ্রহণ করবেন তা আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত। কারণ একজন ডাক্তারই একমাত্র যিনি আপনাকে পরামর্শ দিতে পারেন কোন ওষুধ কোন পর্যায়ে নিতে হবে।
অতএব, কখন কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়া শুরু করা উপযুক্ত তা নির্ধারণ করতে আপনার স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় – পেটের কৃমি দূর করার উপায়
আমরা অনেকেই জানিনা যে কৃত্রিম ঔষধ ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে কিন্তু আমরা কৃমি দূর করতে পারি। এই পেটের কৃমি দূর করার জন্য ঘরোয়া কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করবেন সে সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব এই পর্যায়ে।
আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
১। কাঁচা পেঁপেঃ
২। কুমড়োর বীজঃ
৩। নিমঃ
৪। রসুনঃ
৫। লবঙ্গঃ
কৃমির ওষুধ এর নাম কি?
ত্বক থেকে কৃমি বের হওয়ার কারণ কি?
বাচ্চাদের কৃমির লক্ষণ কি কি?
আমরা অনেক সময় বাড়ির বাচ্চাদের নিয়ে অনেক বেশি টেনশনে থাকি বাচ্চাদের কৃমির লক্ষণ গুলো কি কি এই সম্পর্কে না জানার কারণে। তাই বাচ্চাদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত তাদের চলাফেরা আচার ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রাখা আমাদের অত্যন্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায়
বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কখন খাওয়ানো উচিত?
কি খেলে কৃমি মারা যায়?
৬ মাসের বাচ্চার কৃমি খাওয়ানো যাবে কি?
শেষ কথাঃ কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো
আপনারা যারা প্রিমির ঔষধ কোনটা ভালো হবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করছিলেন আশা করি আপনাদের মধ্যে এখন পূর্ণাঙ্গ একটা ধারণা চলে এসেছে যে আপনার জন্য কৃমির ওষুধ কোনটা ভালো হবে। কেননা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি কৃমির ওষুধ কোনটা ভালো কখন কৃমির ওষুধ খেতে হবে ইত্যাদি নিয়ে।
এছাড়াও কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো এই সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আমরা আপনাদের কমেন্টের যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব সর্ব সময়ের ভিতরে।
আর আপনি যদি এই ধরনের নতুন নতুন পোস্ট রেগুলার পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটটি ভিজিট করুন এবং ওয়েবসাইটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও টুইটারে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন। এতে করে নতুন পোস্ট আপডেট করার সাথে সাথে আপনার কাছে নোটিফিকেশন চলে যাবে সবার প্রথমে।
আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টগুলো আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এতে করে আপনার মাধ্যমে তারাও উপকৃত হবে। ধন্যবাদ কষ্ট করে আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য।