বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো
বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো সেটা যদি জানা না থাকে তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। বর্তমান সময়ে বাচ্চার জন্মের পর থেকে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে। কিন্তু এইসব প্রসাধনী বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হয়। কিছু কিছু প্রসাধনী রয়েছে যেসব শুধু বাচ্চাদের জন্য তৈরি।
বাচ্চাদের ক্রিম বলতে সাধারণত লোশন বোঝানো হয়। লোশন সাধারণত ব্যবহার করা হয় শীতের সময়। এই সময় আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার ফলে হাত পা ফেটে যায়। শীতের সময় বাচ্চাদের সমস্যাটা বেশি হয়। কারণ বাচ্চাদের ত্বক নরম ও মসৃণ থাকে। এই কারণে শীতের সময় ত্বক শুষ্ক হয়।
বাবা-মা চাই তার সন্তান যেন সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারে। সেজন্য শীতের সময় বিভিন্ন ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করে। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না এসব ব্যবহারের ফলে বাচ্চার ত্বকের সমস্যা হতে পারে। না বুঝে অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকে।
গুণগত মান সঠিক রয়েছে এরকম প্রসাধনী বাচ্চাদের জন্য ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান সময়ে বাচ্চা জন্মের পরে বিভিন্ন ধরনের সাবান, শ্যাম্পু, ক্রিম ও পাউডার করা হয়। ছোট বাচ্চাদের ত্বক অনেক নরম ও মসৃণ হয়ে থাকে। যার ফলে সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার না করলে বাচ্চার বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আজ আমি বাচ্চাদের কিছু ক্রিম এর নাম আলোচনা করব। কারণ সব ধরনের ক্রিম বাচ্চাদের ব্যবহার করা যায় না। বাচ্চাদের জন্য কিছু আলাদা বেবি ক্রিম রয়েছে। নিচে আলোচনা করা হলো।সূচিপত্রঃ
বাচ্চাদের ক্রিম এর নাম: | বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো
বর্তমান বাজারে অনেক কোম্পানির ক্রিম বা লোশন পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সবগুলো বাচ্চাদের ব্যবহার করা যাবে না। নিচে কিছু ভালো ব্র্যান্ডের লোশন নাম উল্লেখ করা হলো।
- Meril Baby Lotion.
- Johnson’s Baby Lotion.
- Johnson’s Baby cream.
- Aveeno Baby Daily moisturizing Lotion.
- Parachute Just for Baby Lotion.
- Sebamed Baby Lotion.
- Kodomo Baby Lotion.
- Babi Mild Baby Lotion.
- Cetaphil Baby Daily Lotion.
- Asda Little Angels Baby Lotion.
উপরে যেসব নাম উল্লেখ করা হলো সবগুলোই বাচ্চাদের লোশন। এসব নামের মধ্যে কিছু দেশ ব্র্যান্ড এবং কিছু বিদেশি ব্র্যান্ডের রয়েছে। সবগুলোই বাচ্চাদের জন্য তৈরি। এগুলোতে কোন ক্ষতিকর পদার্থ নেই। আপনার বাচ্চার জন্য যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।
ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম:
বাচ্চাদের ক্রিম ব্যবহার করা হয় শীতের সময়। এই সময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। অসুস্থ হওয়ার ফলে হাত পা ফেটে যায়। এই সমস্যা বেশি হয় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। এই কারণে বাচ্চাদের ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। ক্রিম ব্যবহারের ফলে হাত-পা মসৃণ হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়?
ক্রিম ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে। দিনে সব সময় ক্রিম ব্যবহার করা যায়। সাধারণত ক্রিম ব্যবহার করতে হয় বাচ্চাকে গোসল করানোর পরে। শীতের সময় বাচ্চাদের অনেক ধরনের পোশাক পরানো হয়। পোশাকের ঘর্ষণের ফলে ক্রিম উঠে যায়।
সে কারণে বাচ্চাদের পোশাক পরিবর্তনের পর ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। গোসল করার পরে সবকিছু পরিষ্কার থাকে। ওই সময় ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ থাকে। দিনের যেকোনো সময় ক্রিম ব্যবহার করা যায়।
ক্রিম বা লোশন বাচ্চাদের পুরো শরীরে ব্যবহার করা যায়। কিছু কিছু ক্রিম রয়েছে সেগুলো শুধু মুখে ব্যবহার করা যায়। আবার কিছু আছে শরীরের জন্য। সাধারণত বেশিরভাগ ক্রিম সব জায়গায় ব্যবহার করা যায়। ক্রিম ব্যবহারের ফলে বাচ্চাদের ত্বক শীতের হাত থেকে রক্ষা পায়। এই কারণে ক্রিম শীতের সময় ব্যবহার করতে হয়।
ক্রিম এর উপকারিতা
ক্রিম বাচ্চাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রসাধনী। কারণ ক্রিম ছাড়া শীতের সময় সকল বয়সের মানুষের অনেক সমস্যা হয়। হাত পা শুষ্ক হয়ে থাকে এবং ফেটে যায়। দেখতে খুব বিশ্রী লাগে। নিজের হাত পা নিজের কাছে খারাপ লাগে।
এ সমস্যাটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি। কারণ তারা ছোট নিজের যত্ন নিতে পারে না। ধুলাবালি খেলাধুলা করে। যার ফলে বাচ্চাদের হাত পা ফিরে যায়। বাচ্চাদের ত্বক খুব মসৃণ হয়। যার ফলে শীতের সময় বাচ্চাদের অনেক সমস্যা হয়।
চোখ মুখ ফেটে যায় অনেক সময় রক্ত বের হয়। এসব সমস্যার জন্য ক্রিম ব্যবহার করতে হয়।ক্রিমের উপকারিতা অনেক। ক্রিম ব্যবহারের ফলে হাত পা নরম ও মসৃণ থাকে। কিছু কিছু ক্রিম রয়েছে যেসব ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। বেশিরভাগ ক্রিম ভিটামিন সি থাকে।
ভিটামিন সি ত্বকের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শীতের সময় ক্রিম ব্যবহার না করলে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। বাঁচাতে দেখতে খুব খারাপ লাগে। ক্রিম বাচ্চাদের শারীরিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই কারণে ক্রিম ব্যবহার করা প্রয়োজন।
ক্রিমের বর্তমান দাম
বর্তমান বাজারে অনেক ধরনের ক্রিম রয়েছে। কিছু ক্রিম রয়েছে দেশি কিছু বিদেশী। প্রায় সবগুলোই ভালো মানের। কিন্তু দামের অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেগুলো ক্রিম দেশে তৈরি হয় তার দাম একটু কম। আর বিদেশি ক্রিমের দাম একটু বেশি। দাম কম বেশি হলেও প্রোডাক্ট এর গুণগত মান সমান।
দাম কম বেশি হয়ে থাকে দেশি-বিদেশি কারণে। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে, বিদেশ থেকে কোন কিছু আমদানি করার সময় আমদানি ট্যাক্স দিতে হয়। ট্যাক্স দেওয়ার ফলে সেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু দেশের পণ্য দেশের মধ্যে থাকার ফলে আমদানি ট্যাক্স দিতে হয় না। এই কারণে দেশীয় পণ্যের দাম একটু কম হয়।
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন মাপের ক্রিম পাওয়া যায়। এই কারণে বিভিন্ন রকমের। সাধারণ ১০০ মিলিগ্রাম ক্রিমের দাম ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মতো। সর্বোচ্চ ভালো মানের ক্রিমের দাম ৫০০ টাকা হতে পারে। উপরে যেসব ক্রিম এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে সবগুলোই ভাল। এগুলো দাও ৫০০ টাকার নিচে।
ক্রিম ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
বাচ্চাদের ক্রিম এরমধ্যে কোন ক্ষতিকর উপাদান থাকে না। সকল কোম্পানি বাচ্চাদের পণ্য ভালোভাবে তৈরি করে। বাচ্চাদের ত্বক খুব নরম হয়ে থাকে যার ফলে কোন ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করলে সাথে সাথে সমস্যার সৃষ্টি হয়। যার ফলে কোম্পানির খারাপ প্রসার ঘটে।
বাবা মারা নিজের ক্ষতি হতো বাচ্চার ক্ষতি মেনে নিতে পারে না। তারা জীবন দিয়ে হলেও সন্তানকে আগলে রাখে। বাচ্চা হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এসব কথা মাথায় রেখে ক্রিম তৈরি করা হয়। এ কারণে বাচ্চাদের কৃমি কোন ক্ষতিকর পদার্থ থাকে না।
আরও পড়ুনঃ ছেলেদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
এ কারণে সকল ধরনের বাচ্চাদের ক্রিমক্রিম নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু বয়সী লোকের জন্য সমস্যা রয়েছে। তাদের ক্রিম গুলো অনেক সময় ভেজাল হয়ে থাকে। যার ফলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। ব্যবহারের ক্ষতিকর কিছু দিক রয়েছে।
সব ধরনের প্রসাধনীর ভালো খারাপ দিক রয়েছে। ক্রিম ব্যবহার করার ফলে ত্বক পাতলা হয়ে যায়। অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ দেখা যায়। কিছু কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো খারাপ কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি। সেসব ক্রিম ব্যবহারের ফলে এই সমস্যাগুলো হয়।
আপনারা ইচ্ছা করলে বাচ্চাদের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। সেটা ব্যবহার করলে ত্বকের কোন সমস্যা হবে না। একই সাথে আপনার বাচ্চার আপনারও ত্বকের যত্ন হয়ে যাবে
উপসংহার: বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো
বাচ্চা হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তার যত্ন কোন ধরনের ত্রুটি থাকে না। মানুষ নিজের যত্ন নিতে পারলেও বাচ্চার যত্ন সময় মত নেই। কারণ বাচ্চারা ভবিষ্যতে সম্ভব। এই কারণে বাচ্চা কে সুস্থ সুন্দর ভাবে মানুষ করে। বাচ্চাদের কোন ক্ষতি যেন না হয় সে কারণে বর্তমান সময় অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করছে।
উপরে যে সব ক্রিম এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে সবগুলোই ভাল। আপনার বাচ্চার জন্য এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। যেসব নাম দেওয়া আছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ভালো মানের ক্রিম।
ক্রিম এর ব্যবহার নিয়মাবলী এবং উপকারিতা সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।আমার বিশ্বাস এই কনটেন্ট পড়ার পর সকল ক্রিম সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছেন। কনটেন্ট পরে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পাশে থাকবেন। সম্পন্ন লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।