মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো

মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো

আজকের আলোচ্য বিষয়বস্তুঃ

মুখের জন্য কোন পাউডার ভালোঃ নিজেকে সুন্দর দেখাতে আমরা সকলেই চেষ্টা করি। এই কারণে ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি। ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনে ব্যবহার ব্যবহার করতে হয়। গরমের সময় আসলে সকলেই বিভিন্ন ধরনের পাউডার ব্যবহার করে।

কারণ, পাউডার ব্যবহার না করলে পকেটে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং গা ঘামে। মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে। কারণ, নকল পাউডার ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। এবং পিম্পল বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

ছাড়াও জীবাণুর হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষা রাখতে পারে না। এ কারণে মুখের জন্য ভালো পাউডার ব্যবহার করতে হবে। নিম্নে মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

লুজ পাউডার কি?

লুজ পাউডার হচ্ছে নরমাল সেটিং পাউডার। এই পাউডারের দায়িত্ব কম হয়। এই পাউডার খুব সহজে লিকুইড বা ক্রিম মেকআপ কে সুন্দরতম বসিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও আই মেকআপের সময় চোখের নিচে ব্যবহার করা হয়।

লুজ পাউডার কি

হতে পারে মেকআপ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এসব পাউডার আমাদের দেশে পাওয়া যায়। এগুলোর নাম হল: কাভার গার্ল, জ্যাকলিন, এল এ গার্ল, লা ফেমের লুজ পাউডার। 

পাউডার কেন ব্যবহার করতে হয়? । মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো

গরমের সময় আসলে আমাদের পাউডারের কথা মনে পড়ে। কারণ শীতের সময় হাত পা শুষ্ক থাকে সেই সময় পাউডার ব্যবহার করা যায় না। তবে গরম আসলেই পাউডার সকলকে ব্যবহার করতে হয়। পাউডার ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এবং গা ঘামার হাত থেকে রক্ষা করে।

আরও পড়ুনঃ ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো

গরমের সময় প্রচুর পরিমাণ শরীর ঘামে। যাতে করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। যার ফলে গায়ে ঘামাচি বের হয়। এসব কারণে পাউডার ব্যবহার করতে হয়। পাউডার ব্যবহার করলে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি জীবনের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো:

মুখে পাউডার ব্যবহার করলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। তবে মুখের জন্য ভালো পাউডার ব্যবহার করতে হবে। নিম্নে মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো তুলে ধরা হলো:

  1. হোয়াইট টোন পাউডার
  2. পর্নস পাউডার
  3. কম্প্যাক্ট পাউডার
  4. প্রেসড পাউডার
  5. বিবি পাউডার
  6. শিমার পাউডার
  7. ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার
  8. জনসন বেবি পাউডার
  9. লুজ পাউডার

সেটিং পাউডার কি ধরনের ব্যবহার করা উচিত:

সেটিং পাউডারকে মূলত মেকআপের গেইম চেঞ্জার বলা হয়। কারণ এটা ব্যবহার করার ফলে মেকাপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এই পাউডার ত্বকের এক্সট্রা অয়েল অ্যাবজর্ব করে নেয়। 

সেটিং পাউডার কি ধরনের ব্যবহার করা উচিত

এছাড়ও সেটিং পাউডার একইসাথে পোরস মিনিমাইজ করে, ফাউন্ডেশন, কনসিলার এবং ফাইন লাইনের ভিজিবিলিটি কমায়। এই পাউডার যেকোনো ধরনের স্কিনে ব্যবহার করা যায়। অবশ্যই সেটিং পাউডার নরমাল ব্যবহার করা উচিত। 

বিশেষ করে লুজ পাউডার। এতে করে ত্বকের সৌন্দর্য বজায় থাকে। কোন ধরনের পিম্পল এর সম্ভাবনা থাকে না। তাই সাধারণ মানের সেটিং পাউডার ব্যবহার করা উচিত।

লুজ পাউডার ও ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার কি এক? । মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো

লুজ পাউডার ও ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার সম্পূর্ণ এক। এর মধ্যে কোন ভিন্নতা নেই। লুজ পাউডার ও ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার সাধারণ সেটিং পাউডার। এই পাউডারের সাহায্যে মেকাপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এবং মেকাপের দায়িত্ব বাড়ানোর জন্য হেডিং পাউডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

প্রেসড পাউডার এর কাজ কি?

আমরা অনেকে কম্প্যাক্ট পাউডারকেই প্রেসড পাউডার মতো মনে করি। তবে দুই পাউডারের কাজ দুই রকম।প্রেসড পাউডার অনেক সময় সেমি কাভারেজ দেয়। অনেক সময় নরমাল মেকআপ লোক করার জন্য আমরা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে চায়না।

সেই সময় প্রেসড পাউডার দিয়ে সেমি কাভারেজ দেশ তৈরি করা যায়। প্রেসড পাউডার সাধারণ অর্থ মেকআপের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়।

সেটিং পাউডার কিসের কাজ করে:

সেটিং পাউডার ছাড়া মেকআপ করা যেন অসম্ভব হয়ে পড়ে। কারণ, সেটিং পাউডারের সাহায্যে মেকাপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এবং এর সাহায্যে সঠিকভাবে মেকআপ করা যায়। সেটিং পাউডার কিসের কাজ করে নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  1.  চোখের নিচের মেকআপ বেক করতে।
  2. ব্লাশ ও ব্রোঞ্জার টোন ডাউন করতে।
  3. আইশ্যাডোর ফল আউট ইজিলি ক্লিন করতে।
  4.  লিপস্টিকে ম্যাট ফিনিশ আনতে।
  5. আইল্যাশে ভলিউম আনতে।

তৈলাক্ত ত্বকের ফেস পাউডার । মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো

যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। কারণ, তৈলাক্ত ত্বকের কারণে মেকাপের স্থায়িত্ব থাকেনা। যার কারণে নিজেকে সুন্দর দেখাতে ব্যর্থ হয়। তবে তৈলাক্ত ত্বকের ফেস পাউডার রয়েছে। যেসব ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে। 

তৈলাক্ত ত্বকের ফেস পাউডার

বর্তমান সময়ে বাজারে অনেক ধরনের ফেস পাউডার রয়েছে। যেসব ব্যবহার করলে খুব সহজেই তোকে তৈলাক্ত ভাব দূর করা যায়। তবে সঠিক ফেস পাউডার ব্যবহার না করলে সমস্যা হতে পারে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেস পাউডার গুলো হল: ম্যাক ব্লট প্লেসড পাউডার, বব্বি ব্রাউন স্কিন ওয়েটনেস পাউডার ফাউন্ডেশান ও ক্লিনিকিউ স্টে-ম্যাট শির প্রেসড পাউডার।

তৈলাক্ত মুখে কি পাউডার ব্যবহার করা যায়:

তৈলাক্ত মুখের কারণে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ সব সময় ত্বক তেল তেলে হয়ে থাকে। যার কারণে মুখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। বিশেষ করে বরুন বের হয়। এতে করে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ ব্রণের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো

বর্তমানে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এর জন্য পাউডার ব্যবহার করতে হবে। মুখের জন্য কিছু নির্দিষ্ট পাউডার রয়েছে। যেসব ব্যবহার করলে তাকে তৈলাক্ত ভাব দূর হয় এবং মেকআপ অনেকক্ষণ স্থায়ী থাকে। তৈলাক্ত মুখে কি পাউডার ব্যবহার করা যায় তুলে ধরা হলো:

  1. ক্লিনিকিউ স্টে-ম্যাট শির প্রেসড পাউডার।
  2. ল্যাকমে নাইন টু ফাইভ ফ্ললেস ম্যাট কমপ্লেক্সান কমপ্যাক্ট
  3. বব্বি ব্রাউন স্কিন ওয়েটনেস পাউডার ফাউন্ডেশান
  4. মেবিলাইন নিউ ইয়র্ক ফিট মি প্রেসড পাউডার
  5. ম্যাক ব্লট প্লেসড পাউডার

তৈলাক্ত মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো:

তৈলাক্ত মুখ নিয়ে আমরা অনেকে দুশ্চিন্তায় থাকি। তৈলাক্ত মুখের কথা ভেবে কিছু পাউডার উৎপাদন করা হয়েছে। যেসব মুখে ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

উপরে লাগতো মুখের জন্য কিছু পাউডারের নাম তুলে ধরা হয়েছে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ওইসব পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

ফেস পাউডার ব্যবহারের নিয়ম:

কম বেশি সকল মেয়েরাই মেকআপ করে থাকে। আর মেকআপ করতে প্রয়োজন পড়ে ফেস পাউডারের। কারণ চোখের কাজল, ঠোঁটে লিপস্টিক এবং হালকা ফেস পাউডার দিয়ে সহজেই সাজা যায়। অনেকেই ফেস পাউডার ব্যবহার নিয়ম জানতে চাই।

ফেস পাউডার ব্যবহারের তেমন কোন নিয়ম নেই। যে কোন ভাবে ফেস পাউডার ব্যবহার করা যায়। তবে মেকআপ করার সময় ফেস পাউডার ব্যবহার কিছু নিয়ম রয়েছে। যে যেভাবে মেকআপ করতে চাই ঠিক সেভাবে ফেস পাউডার ব্যবহার করে থাকে। এর কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।

কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহারের নিয়ম । মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো

কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। তা ভালোভাবে মেনে মেকআপ করলেই মেকআপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। প্রথমে কমপ্যাক্ট পাউডার একটি ব্রাশে নিতে হবে তারপর তোকে এপ্লাই করতে হবে। 

প্রথমবার মুখে লাগানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সব জায়গায় ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে ব্লেন্ড করে নিতে হবে মুখে। এতে করে ত্বকের সব জায়গা কভার হবে। এবং তেমনই ফ্ললেস ত্বকও পাবেন। 

কিভাবে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে কমপ্যাক্ট পাউডার  তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করা উচিত না।

কিভাবে ফেস পাউডার নির্বাচন করব:

সকলেই চাই নিজেকে সুন্দর দেখাতে। এ কারণে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে। তবে সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার না করলে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। আমরা অনেকেই অন্যের দেখা দেখি প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি।

এতে করে সমস্যা বেশি হয়। সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ফেস পাউডার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিভাবে ফেস পাউডার নির্বাচন করব অনেকে বুঝে উঠতে পারে না। ফেস পাউডার নির্বাচন করার আগে আপনার ফেস সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। 

আরও পড়ুনঃ  বেবি লোশন কোনটা ভালো

আপনার ফেস কি অয়েলি না নরমাল সেটা দেখতে হবে। এছাড়াও আপনার ত্বকের রং কেমন সেটা ঠিক করতে হবে। এসব লক্ষ্য করে ফেস পাউডার নির্বাচন করতে হবে।

ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো:

গরমের সময় আসলে ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে ঘামাচির সমস্যা বেশি হয়। ঘামাচির কারণে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এবং সম্পূর্ণ শরীর চুলকায়। যার কারণে অনেক অস্বস্তি বোধ হয়। তবে ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভালো ঘামাচি পাউডারের নাম নিম্ন তুলে ধরা হলো:

  1. আইস কুল পাউডার
  2. মেরিল পাউডার
  3. কুল পাউডার
  4. তিব্বত ঘামাচি পাউডার
  5. পর্নচ পাউডার
  6. ডার্মিকুল পাউডার
  7. মিল্লাত ঘামাচি পাউডার

গরমে কোন পাউডার ভালো:

গরমের সময় আসলেই আমাদের পাউডার ব্যবহার করতে হয়। কারণ, গরমের সময় প্রচুর পরিমাণ গা ঘামে। যার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয়। এবং অনেক ধরনের ত্বকের সমস্যার সৃষ্টি হয়। 

গরমে কোন পাউডার ভালো

এইসব সমস্যা থেকে বাঁচতে পাউডার ব্যবহার হয়। নিয়মিত পাউডার ব্যবহার করলে গরম থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও গরমের সময় পাউডার ব্যবহার করলে গা কম ঘামে। এবং ঘামাচি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের পার্লার রয়েছে। গরমে কোন পাউডার ভালো নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  1. অ্যাক্টিভ কুলিং পাউডার
  2. ডার্মি কুল পাউডার
  3. নাইচিল কুল পাউডার
  4. পর্নস পাউডার
  5. আইস কুল পাউডার
  6. ডার্মিকুল পাউডার
  7. মেরিল পাউডার
  8. তিব্বত ঘামাচি পাউডার
  9. কুল পাউডার

হোয়াইট টোন পাউডার মাখলে কি হয়?

সকলেই চাই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে। এর জন্য অনেক ধরনের কসমেটিক্স পণ্য ব্যবহার করে থাকে। তবে পাউডার ব্যবহার করার মাধ্যমে তোকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। 

হোয়াইট টোন পাউডার মাখলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। কারণ এ পাউডার তৈরি করা হয়েছে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য। এ কারণে হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বক সুন্দর হয়।

শেষ কথা: মুখের জন্য কোন পাউডার ভালো

প্রতিটা মানুষের ইচ্ছা করে নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে। এজন্য রূপচর্চা করে থাকে। রূপচর্চার একটি প্রসাধনী মুখের পাউডার। যা ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। সাধারণত পাউডার ব্যবহার করা হয় মেকাপের দায়িত্ববৃত্তির জন্য। 

এছাড়াও মেকাপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। তবে বাজারে অনেক ধরনের পাউডার পাওয়া যায়। অবশ্যই যাচাই করে ভালো পাউডার ব্যবহার করতে হবে। কারণ একটু ভুলের জন্য ত্বকের অনেক ক্ষতি হতে পারে। 

তাই সচেতন ভাবে পাউডার বাছাই করতে হবে। লেখার মধ্যে ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

Similar Posts