শারীরিকভাবে সুস্থ ও সুস্থ থাকার অবস্থাকে কি বলে?
শারীরিকভাবে সুস্থ ও সুস্থ থাকার অবস্থাকে কি বলে? শারীরিক সুস্থ বলতে আমরা বুঝি সুস্থ থাকা। সুস্থ থাকার প্রথম সত্ত হচ্ছে শারীরিকভাবে সুস্থতা। শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকলে মন ভালো থাকেনা। আর মন ভাল না থাকলে কোন কাজই ভালো লাগেনা।
এ কারণে সুস্থ ভাবে বসবাস করতে হলে অবশ্যই শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ ও সুস্থ থাকার অবস্থাকে কি বলে এ সম্পর্কে আলোচনা করব। সম্পন্ন লেখাটি পড়লে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন।
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে কোন কিছুই কোন কিছুই ভালো লাগেনা। সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য কিছু করণীয় রয়েছে। সেসব করণীয় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল।
শারীরিক স্বাস্থ্য কি?
শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে মানবদেহের বাইরের অংশকে বলা হয়। শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে সুস্থ থাকা। সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করতে অবশ্যই শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হবে। শারীরিক স্বাস্থ্যতার পাশাপাশি প্রয়োজন মানসিক সুস্থতা। আর আমাদের মনকে অসুস্থ করে তোলে মানসিক দুশ্চিন্তা।
দুশ্চিন্তা করা মানুষের সাধারণ অভ্যাস। মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ আমাদের দেহে আক্রমণ করে। মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা নিমেষের মধ্যে কেড়ে নেয় মনের সুখ শান্তি। যার ফলে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক রোগ সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুনঃ মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়াম বা দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
সেজন্য ভালো থাকতে হলে অবশ্যই দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। শারীরিক ভাবি সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাহলে শারীরিক সুস্থ থাকা সম্ভব।
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়:
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় অনেকে জানেনা। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য সবাই চেষ্টা করে। কিন্তু সুস্থ থাকার সঠিক উপায় অনেকে জানেনা। সুস্থ থাকো বলতে বুঝায় শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে মন ভালো থাকে।
ভালো স্বাস্থ্য আমাদেরকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য আমাদের কিছু নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে চলাচল করতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এবং সময়মতো খাবার খেতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
কারণ, পরিশ্রম না করলে দিনদিন শক্তি কমে যায়। যার ফলে রোগ জীবাণু শরীরে বাসা বাঁধে। এ কারণে প্রতিদিন শারীরিক ভাবে পরিশ্রম করতে হবে। কোন কাজ না থাকলে হাটাহাটি অথবা খেলাধুলা করতে হবে।
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকতে হবে। মানসিক দুশ্চিন্তা মানুষকে দিনে দিনে দুর্বল করে তোলে। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব কারণে অনেক ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। এ কারণে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে।
সঠিক খাদ্য তালিকা:
সঠিক খাদ্য তালিকা ছাড়া শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা অসম্ভব। কারণ খাবার আমাদের শক্তির যোগান দেয়। শক্তি ছাড়া শারীরিকভাবে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। এজন্য সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই সঠিক খাদ্য তালিকা থাকতে হবে। সঠিক খাদ্য তালিকা বোঝানো হয় পুষ্টিকর খাবার।
পুষ্টিকর খাবার খেলে শারীরিক গঠন ঠিক থাকে। এবং শারীরিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে। আমরা অনেকেই মনে করি পুষ্টিকর খাবার বলছে দামি খাবার কে বোঝায়। কিন্তু এ ধারণা পুরোপুরি ভুল। খাবারের দাম বেশি হলে খাবারের পুষ্টি বেশি থাকেনা। সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি খেতে হবে।
শাকসবজিতে পুষ্টি বেশি থাকে। এবং নিয়মিত ফলমূল খেতে হবে। দুধে সব ধরনের ভিটামিনের উপাদান থাকে। দুধ সুষম খাবার। এ কারণে প্রতিদিন কমপক্ষে এক গ্লাস দুধ খেতে হবে। রাতে খাবার খেতে হবে। কারণ রাত্রে ভারী খাবার খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: শারীরিকভাবে সুস্থ ও সুস্থ থাকার অবস্থাকে কি বলে
নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে শরীর সুস্থ থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ, নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায় ঘাম এর সাহায্যে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে হাত পায়ের পেশি সচল থাকে। এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গা লিগামেন্ট সচল থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি হয়। এবং খাবার চাহিদা বেড়ে যায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে বিভিন্ন ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ব্রেন সচল হয়।
নিয়মিত ব্যায়াম করলে মাংসপেশি শক্তিশালী হয়। যার ফলে কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এ কারণে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম:
সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমাতে হবে। কারণ, সারাদিন কাজ করার পর শারীরিকভাবে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। আস্তে আস্তে দিনশেষে কর্মক্ষমতা কমে যায়। এসব কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। ঘুমানোর ফলে আমাদের দেহে নতুন করে কোষ উৎপন্ন হয়। নতুন কোষ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এ কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হয় তা না হলে শরীরের কোষ তৈরি অসম্ভব। শারীরিক পরিশ্রম না করলেও ঘুমাতে হয়। কারণ, শারীরিক পরিশ্রম না করলে ও ব্রেন সব সময় কাজ করে। সারাদিন কাজ করার ফলে ব্রেন ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মস্তিষ্ক ক্লান্ত হওয়ার ফলে পুরো শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
এ ধরনের শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই ঘুমাতে হবে। ঘুমের কিছু নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। কিন্তু ঘুমাতে হবে রাত্রে। রাত্রে ঘুমালে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব। দিনে ঘুমালে পরিপূর্ণ ঘুম হয় না।
এ কারণে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই রাত্রে ঘুমাতে হবে। সুস্থ থাকার অবস্থাকে কি বলে।
সুস্থ থাকার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা:
দিনদিন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এর কারণ হচ্ছে, নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে চলাফেরা না করা। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে চলাফেরা করতে হবে। নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে চলাফেরা বলতে বোঝায় সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া।
সঠিক সময়ে ঘুমানো। নিয়মিত ব্যায়াম করা। এভাবে চলাফেরা করলে সুস্থ থাকা খুব সহজ। এরপরেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। সুস্থ থাকার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। কারণ, শরীরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
অনেক সময় রক্তের কোন উপাদান কমে গেল অথবা বেড়ে গেল। এ কারণে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা উচিত। অনেকের ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকে। মাঝে মাঝে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। বর্তমান সময়ে অনেক রাত হয়েছে। অনেক সময় রক্তের চাপ কম বেশি হতে পারে। এ কারণে মাঝে মাঝে রক্তের চাপ মাপার প্রয়োজন। সুস্থ থাকার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা এ কারণে করতে হবে।
শেষ কথা: শারীরিকভাবে সুস্থ ও সুস্থ থাকার অবস্থাকে কি বলে
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলাফেরা করতে হবে। শরীর ঠিক থাকলে মন ঠিক থাকে। এ কারণে সব সময় শরীরের যত্ন নিতে হবে। নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সুস্থ থাকতে হলে প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় অনেকেরই জানা ছিলনা। আমার বিশ্বাস আপনারা সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।