শারীরিক বৃদ্ধির প্রভাবকসমূহ/বাধা সৃষ্টিকারী উপাদানসমূহ
শারীরিক বৃদ্ধির প্রভাবকসমূহ
নিম্নলিখিত উপাদানগুলাে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে বা বাধা সৃষ্টি করে থাকে:
১. পুষ্টি:
দেহের বৃদ্ধিতে যেসব বিষয় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তার মধ্যে অপুষ্টির প্রভাব সবচাইতে মারাত্মক। পুষ্টির অভাবে দেহের বৃদ্ধি যেমন ব্যাহত হয়, তেমনি শিশুর ব্যক্তিত্বেও যথেষ্ট পরিবর্তন আসে। শিশুকালেই লেখাপড়াসহ সামাজিকতা, নৈতিকতা প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষালাভ হয়। এ সময় উপযুক্ত পুষ্টির অভাবে এসবের বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয় ।
২. জন্মগত ত্রুটি:
অনেক সময় উপযুক্ত খাদ্যগ্রহণ করা সত্ত্বেও শিশুর দেহ ঠিকমতাে বাড়ে না। সাধারণত দেহের বিপাক ক্রিয়ার ত্রুটি, ডায়াবেটিস, অ্যালার্জি, হরমােনের অসমতা প্রভৃতি জন্মগত ত্রুটির জন্যও শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
আরও দেখুনঃ শিশুর দৈহিক বিকাশ কি? শিশুর দৈহিক বিকাশের বৈশিষ্ট্যসমূহ
৩. রােগ-ব্যাধি:
কিছু কিছু সংক্রামক রােগ, যেমন- যক্ষ্মা, কৃমিরােগ, পােলিও শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতি হুমকিস্বরূপ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পানির বিশুদ্ধতা ও প্রতিষেধক ঔষধের ব্যাপারে সচেতন না হওয়ার ফলে উক্ত রােগগুলাে দেখা যায় এবং এগুলাে শিশুর শারীরিক বিকাশকে ব্যাহত করে ।
৪. বাবা-মার রক্ষণশীলতা:
দৈহিক বৃদ্ধিতে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের বাবা-মায়েরা একটু বেশি মাত্রায় রক্ষণশীল হন এবং অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন থাকেন। এর ফলে শিশুরা অমিশুক ও জেদী প্রকৃতির হয় যা তাদের পরবর্তী সুষ্ঠু ব্যক্তিত্ব বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে