জিডিপির হিসাব

আমাদের জিডিপি ছিল পুরো ইউরোপের চেয়েও বেশি

আমাদের জিডিপি ছিল পুরো ইউরোপের চেয়েও বেশি ৷

জিডিপির হিসাব

আমরাই ছিলাম সেরা
ধনে ধান্যে
ভরা ছিল আমাদের গোলা,
আসিলো মারাঠা দস্যু
করিলো লুট্যরাজ
ভাঙ্গিলাম চিরতরে,
মোরা উঠিতে পারিলাম না আর
হীন,
তাচ্ছিল্যে মোরা ধারায় আজ
এই ধারা আজ সাবৃদ্ধ
সেই লুট্যরাজ সাদা
চমড়িকার
‘ভদ্দরলোকে ‘
আর বখতিয়ার, খলজিরা
লুট্যরাজ, দস্যু বল,
সেই চমড়িকার লোকে।

আমাদের জিডিপি ছিল পুরো ইউরোপের চেয়েও বেশি:

১২ জুলাই, ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ… রাজমহলের যুদ্ধে মুঘল বাহিনীর হাতে দাউদ খান কররানীর পরাজয়ের মাধ্যমে পতন ঘটে স্বাধীন বাংলা সালাতা নাতের। এরই মাধ্যমে বাংলায় শুরু হয় সুবাদারি শাসনামল। তবে বাংলা নামে মাত্র মুঘল সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। মসনদ-ই-আলা ঈসা খাঁর নেতৃত্বাধীন বারো ভুঁইয়াদের কল্যাণে বাংলার স্বাধীনতা টিকে ছিলো আরো ৩৫ বছরের মতো।

আরও দেখুনঃ পৃথিবীর সেরা ফুটবলারের জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশে

১৬১২ সালে আফগান পাঠান খাজা উসমানের পরাজয়ের মাধ্যমে বাংলায় স্থায়িত্ব হয় মুঘল শাসন। বাংলা পরিচিতি পায় সুবাহ বাংলা নামে। সামরিক দিক দিয়ে সুবাহ বাংলা শ্রেষ্ঠ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। সুবাহ বাংলা থেকে ইউরোপে তখন রফতানি হতো বারুদসহ বেশকিছু সমরাস্ত্র। পর্তুগিজ ও মগ জলদস্যুরা একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সুবাহ বাংলার সীমানা আরাকান পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলা আরো সমৃদ্ধশালী হয়।
পুরো পৃথিবীর ১২% জিডিপি উৎপন্ন হতো তৎকালীন সুবাহ বাংলায়। যা ছিলো তৎকালীন পুরো ইউরোপের চেয়ে বেশি। টাকায় পাওয়া যেত আটমণ চাল। পরবর্তীতে মারাঠা দস্যুদের আক্রমণে বাংলার অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে। মারাঠা আক্রমণে প্রায় চার লক্ষ লোক নিহত হয়। ব্রিটিশদের লুটপাটে একসময় সেই সুবাহ বাংলায় অনাহারে মারা যায় এক কোটি মানুষ। আজ সেই লুটেরারা আমাদের কাছে সাদা চামড়ার “ভদ্দরনোক” আর বখতিয়ার খলজিরা পরিচিত লুটেরা,দস্যু হিসেবে ৷
শেয়ার করুন

Similar Posts