হরিতকীর উপকারীতা ও গুনাগুণ
হরিতকীর উপকারীতা ও গুনাগুণ
পরিচিতি:
হরিতকীর বৈজ্ঞানিক নাম হল টের্মিনেলিয়া চেব্যুলা (Terminalia chebula)। হরিতকী একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। ত্রিফলার তিনটি ফলের একটি ও অন্যতম ফল হচ্ছে হরিতকী। হরতকী গাছ সাধারণত মাঝারী থেকে বৃহৎ আকারের হয়ে থাকে। উচ্চতায় প্রায় ২০-৩০ মিটার লম্বা হয়।
আরও দেখুনঃ লেবুর উপকারীতা ও গুনাগুণ
এর বাকল গাঢ় বাদামী রঙের হয় এবং বাকলে লম্বা ফাটল থাকে। গাছের পাতা লম্বাকৃতির এবং ৭-২০ সে.মি. হয়। হরতকীর ফুল সাদা বা হলুদ রঙের হয় এবং ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। ফল ড্রপ, ঝুলন্ত ও প্রায় ৪-৫ সে.মি লম্বা সবুজ রঙের হয়। কাঠের রং ঘন বেগুনি, খুব শক্ত, ভারী ও মাঝারি আকারের টেকসই।
হরিতকীর উপকারীতা:
হরিতকীর গুনাগুন:
হরিতকী হচ্ছে সর্ব-রোগের মহৌষোধ। হরিতকী গাছকে ভেষজ চিকিৎসকেরা মায়ের সাথে তুলনা করেছেন। এ বৃক্ষ মানুষের কাছে মায়ের মতেই আপনজন। মানুষের শরীরের সকল প্রকার রোগের চিকিৎসায় হরিতকী ব্যবহৃত হয়। সকল সংক্রমিত রোগের হরনে এটি ব্যবহৃত হয় বলে এর নাম হরিতকী রাখা হয়েছে। অশ্ব রোগে হরিতকী গুঁড়া (৩-৫) গ্রাম পরিমাণ ঘোলের সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে খেলে সেরে যাবে। কাশি ও শ্বাসকষ্টে হরিতকী খুবই কর্যকর।
আরও দেখুনঃ বিভিন্ন প্রকার ফলের উপকারীতা ও সংরক্ষনের উপায়
মনে রাখা ভালো, হরতকী ফলটি মানব দেহে প্রবেশ করলেই উপকারিতা পাওয়া যায়। এটা এমনই একটি ফল যা শরীরে কোনো ক্ষতি করে না বরং উপকারই করে থাকে। তবে হরতকীতে কারো কোনো সমস্যা থাকলে বা ত্বকের কোনো জটিল রোগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটি ব্যবহার করবেন।
আরো জানুন, আমলকির উপকারীতা ও পুষ্টিগুন।