লেবুর উপকারীতা ও গুনাগুণ

লেবুর উপকারীতা ও গুনাগুণ

লেবুর উপকারীতা ও গুনাগুণ

লেবু প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কারণ লেবুতে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, দস্তা, ফোলেট, তামা, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, নিয়াসিন থায়ামিন এবং আরও অনেক প্রোটিন রয়েছে।

এই পুষ্টিগুলি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। লেবু ভারতের আসাম ও চীনে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। বেশিরভাগ লোক পানিতে মিশ্রিত লেবুর রস খান। বিজ্ঞানীদের মতে, লেবু দীর্ঘদিন ধরে ঔষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লেবুতে অনেক ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা শরীরের অনেক রোগ দূর করে এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। আসুন লেবুর পুষ্টি ভিটামিন এবং গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নেই ।

আরও দেখুনঃ আমলকীর উপকারীতা ও পুষ্টিগুন

লেবুর উপকারীতা ও পুষ্টিগুন:

লেবুর অসংখ্য উপকারীতা এবং গুনাগুন রয়েছে। লেবুর উপকারীতা ও গুনাগুণ বলে শেষ করা অসম্ভব। তারপরও সংক্ষিপ্ত উপকারীতা ও পুষ্টিগুন আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল:
  • করোনা ভাইরাস দূরীকরনে ভূমিকা: বিশ্বব্যপী করোনা ভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে দেশের স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞরা বেশি বেশি ভিটামিন-সি গ্রহনের উপদেশ দিতেছেন। আর একমাত্র লেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন-সি। যা অন্য কোন ফলে সাধারনত কম পরিমানে থাকে। লেবু হচ্ছে ভিটামিন-সি এর একমাত্র উৎস।
  • ওজন বৃদ্ধির প্রতিবন্ধক হিসেবে: লেবু ওজন বৃদ্ধির প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। শরীরের ওজন কমাতে প্রতিদিন নিয়ম-মাফিক চা, গরম পানি এবং মধুর সাথে লেবুর রস মিশ্রিত করে খেলে ওজন অনেকাংশে কমে যায়।
  •  চুলের সমস্যার জন্য: লেবুর বিচি পিষে মাথায় মালিশ করলে টাক মাথায়ও নতুন করে চুল গজানো শুরু হয়। লেবুর রস মাথার চুলে মেসেজ করলে চুল অনেকাংশে কারো এবং ঝলমলে হয়। লেবুর রস মাথার  ‍চুলের জন্য অনেক উপকারী।
  • ত্বকের জন্য:  –চন্দনের পেস্টের সাথে লেবুর রস মিশ্রিত করে মুখে লাগালে পিম্পল নিরাময় হয়। লেবুর রস মুখের কালো দাগ দূর করতেও সাহায্য করে থাকে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে: লেবুর রসে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি থাকায় তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে। লেবুর রস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। প্রতিদিন লেবুর রস শরবতের সাথে পান করলে রক্তচাপ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয়।
  • দাঁতের হলুদভাব দূর করতে: লেবুর খোসা এবং লবন দিয়ে দাঁত ঘষলে, দাঁতের কালো ভাব দূর হয়। লেবুর খোসা দিয়ে নিয়মিত দাঁত ঘষলে দাঁত আগের মত সাদা এবং চকচকে হয়ে উঠবে।
  • দাদ ও চুলকানি দূরীকরনে: দাদ ও চুলকানির সমস্যা দূর করতে নিয়মিত লেবুর রস লাগান। দেখবেন, দাদ এবং চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। লেবু ত্বক সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যার জন্য উপকারী।
  • নখ পরিষ্কারে: নখের উপরে লেবুর রস লাগালে নখ পরিষ্কার ও চকচকে হয়। কনুইয়ের কালোভাব সহ দূর করতে হলে লেবুর রস লাগাতে পারেন। এটা বিশেষ উপকারী।
  • গ্যাসের সমস্যা দূরীকরনে: লেবু পেটের গ্যাস এবং বদহজম দূর করতে সাহায্য করে থাকে। পেটের গ্যাস এবং বদহজম জনিত সমস্যা দূর করতে লেবুর রস বিশেষ উপকারী।

আরও দেখুনঃ মধুর উপকারীতা ও পুষ্টিগুণ

সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার আলোকে আমরা বলতে পারি যে, লেবুর রস আমাদের শরীরের সার্বিক উপকারীতা সাধন করে থাকে। তাই আমরা নিয়মিত লেবুর রস পান করব এবং আমাদের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখব।
শেয়ার করুন

Similar Posts

  • ভেরিকোসিল কি? ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা

    ভেরিকোসিল রোগটি অনেক পুরাতন। তবে বর্তমান সময়ে অনেকের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটা তেমন জটিল রোগ না। সঠিক চিকিৎসা করলে খুব সহজেই এ রোগ ভালো করা যায়। অনেকেই প্রশ্ন করে, ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যার ফলে খুব সহজেই সকল রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। ভেরিকোসিল হলে কোনভাবেই দেরি…

    শেয়ার করুন
  • মধুর উপকারীতা ও পুষ্টিগুণ

    মধুর উপকারীতা ও পুষ্টিগুণ আরবি পরিভাষায় মধুপোকা বা মৌমাছিকে ‘নাহল’(نحل) বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এই নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা বিদ্যমান আছে। সূরা নাহল এর আয়াত-৬৯ এ আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- “তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার। “মধু হচ্ছে ওষুধ এবং খাদ্য উভয়ই। মধুকে বলা হয়- বিররে এলাহি…

    শেয়ার করুন
  • পেটে ইনফেকশন হলে করণীয়

    সাধারণত খাবার আর পানি থেকে পেটের ইনজেকশন হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়। পেটের ইনফেকশন প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে। বিশেষ করে এই সমস্যাটি হয় গরমের সময়। পেটে ইনফেকশন হলে পেট ব্যথা, পেটে জ্বালা এছাড়াও একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। এর সাথে খাবারের প্রতি অনিহা আসে। বমি বমি ভাব হয় খাবার হজম হয় না। সব সময়…

    শেয়ার করুন
  • ব্যায়াম করার সঠিক সময় ও ব্যায়াম করার উপকারিতা!

    ব্যায়াম করার সঠিক সময় => শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে শরীর সুস্থ থাকে। শরীর সুস্থ থাকলে আমাদের মন ভালো থাকে। আর মন ভালো থাকলে সবকিছু ভালো লাগে। এই জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে সুস্থ থাকা সম্ভব। কিন্তু ব্যায়াম করার সঠিক সময় রয়েছে। সঠিক সময়ে ব্যায়াম নাম করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে…

    শেয়ার করুন
  • গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে?

    গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে: একজন বিবাহিত মহিলার জীবনে পরিপূর্ণ আসে মা হওয়ার মাধ্যমে। আর মা হওয়ার প্রথম ধাপ গর্ভবতী হওয়া। একজন মহিলা গর্ভবতী হওয়ার পরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে। বিশেষ করে প্রথম দিকে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। তারপর আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে এ বিষয় নিয়ে অনেকের মধ্যে…

    শেয়ার করুন
  • শিশুর দৈহিক বিকাশের লক্ষণসমূহ

    দৈহিক বিকাশের বিভিন্ন দিক (Sequence of Physical Development): শিশুর দৈহিক বিকাশের উপর যেসব গবেষণা হয়েছে, সেগুলাে বিশ্লেষণ করলে দৈহিক বিকাশের বিভিন্ন দিক সম্বন্ধে ধারণা লাভ করা যায় । নিচে সেগুলি আলােচনা করা হলাে- ১.দৈহিক উচ্চতার বিকাশ: জন্মের সময় শিশুর উচ্চতা ১৭” -২০” পর্যন্ত হতে পারে। বয়সবৃদ্ধির সাথে সাথে তার উচ্চতা বাড়তে থাকে। চারমাস বয়সে শিশুর…

    শেয়ার করুন