হাদীসে বর্ণিত আছে, “কালোজিরা হল সকল রোগের মহৌষধ।‘‘ মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহা-ঔষধ কালোজিরার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কারণ পাঁচফোড়ন থেকে শুরু করে সিঙ্গারা এবং নানান রকম ভর্তায় কালোজিরার উপস্থিতি আমাদের বাঙালীদের জন্য অপরিহার্য। শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, আয়ুর্বেদিক, ইউনানী ও কবিরাজী চিকিৎসাতেও কালোজিরার ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে।
এই কারণে একে “কালো হীরা”ও বলা হয়ে থাকে। কালোজিরার বিজ্ঞানসম্মত নাম হল- ‘‘নাইজেলা স্যাটিভা (Nigella Sativa)।“ আরব সংস্কৃতিতে কালোজিরাকে বলা হতো “হাব্বাত আল বারাকাহ ”(Habbat Al Barakah) অর্থাৎ “আশির্বাদের বীজ”।
এই বিস্ময়কর এই জিনিসটির প্রশংসা করেছেন স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! হযরত আবূ হুরায়রাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এরশাদ করেন, “মৃত্যু ছাড়া এমন কোন রোগ নেই যার আরোগ্য কালোজিরায় নেই।” (মুসলিম শরীফ: ৫৬৬১)।
কালোজিরার উপকারিতাঃ
আসুন জেনে নেওয়া যাক, কালোজিরার ব্যবহারে আমরা কি কি উপকার পেতে পারি–
১. কালোজিরা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। কালোজিরার চূর্ণ ও ডালিমের খোসার চূর্ণ মিশ্রণ এবং কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ভীষণ উপকারী।
২. মাথা ব্যথা থেকে আরাম দেয়। মাথাব্যথা হলে কপালে ও কানের পার্শ্ববর্তী স্থানে দৈনিক ৩-৪ বার কালোজিরার তেল মালিশ করতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
৩. ওজন কমাতে কালোজিরার জুড়ি মেলা ভার। যারা ওজন কমাতে চান, তারা হাল্কা গরম পানি, মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণে কিছু পরিমাণ কালোজিরা পাউডার ছিটিয়ে দিন। এটি পান করে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দারুণ উপকার পাবেন।
৪. কালোজিরাতে আছে চুলের পড়ে যাওয়া আটকানোর ক্ষমতা। লেবু দিয়ে পুরো মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষে ফেলুন। তারপর ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পূর্ণ মাথার খুলিতে কালোজিরার তেল ভালভাবে মালিশ করুন। এতে ১ সপ্তাহেই চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
৫. কালোজিরা লিভারকে সুস্থ-সবল রাখে। ১ কাপ দুধ ও ১ টেবিল চামচ কালোজিরার তেল দৈনিক ৩ বার যদি ৫-৭ দিন নিয়মিত সেবন করা যায় তাহলে পেটে গ্যাসের সমস্যা কমে যাবে।
৬. কালোজিরা ব্রণ থেকে মুক্তি দেয়। এটি পরিষ্কার, মসৃণ এবং চকচকে ত্বক প্রদান করে। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। অলিভ অয়েল ও কালোজিরার তেল মিশিয়ে মুখে মেখে ১ ঘণ্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ত্বক আগের চেয়ে অনেকাংশে পরিষ্কার এবং উজ্জল হয়ে গেছে।
কালোজিরার গুণাগুণ:
কালোজিরার তেলে ১০০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে মানব দেহের জন্য। কালোজিরার অন্যান্য উপাদানের মধ্যে রয়েছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল। এতে আরও রয়েছে আমিষ, শর্করা সহ ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড সমূহ ।
পাশাপাশি কালোজিরার তেলে আছে লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি২, নিয়াসিন ও ভিটামিন-সি।
এই তেলের মধ্যে আরও রয়েছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশকের বিভিন্ন উপাদান সমূহ। এতে রয়েছে ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হরমোন ও প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান সমূহ। এছাড়াও আরো রয়েছে এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।
মানব দেহে যেমন রোগের শেষ নেই, তেমনি নিরাময়ের ব্যবস্থাও আছে। প্রকৃতির মাঝেই আছে রোগমুক্তির অনেক উপাদান। কালোজিরা এগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর বোটানিক্যাল নাম হচ্ছে ‘নাইজিলা সাটিভা’ (Nigella sativa)।
দুই হাজার বছর ধরে ঔষধ হিসেবে কালোজিরার বীজ ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিন ও শক্তিশালী হরমোন। প্রস্রাবসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধি উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক এই কালোজিরা। এর প্রধান উপাদানের মধ্যে আমিষ ২১ শতাংশ, শর্করা ৩৮ শতাংশ, স্নেহ বা ভেষজ তেল ও চর্বি ৩৫ শতাংশ।
ব্যায়াম করার সঠিক সময় => শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে শরীর সুস্থ থাকে। শরীর সুস্থ থাকলে আমাদের মন ভালো থাকে। আর মন ভালো থাকলে সবকিছু ভালো লাগে। এই জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে সুস্থ থাকা সম্ভব। কিন্তু ব্যায়াম করার সঠিক সময় রয়েছে। সঠিক সময়ে ব্যায়াম নাম করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে…
লেবুর উপকারীতা ও গুনাগুণ লেবু প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কারণ লেবুতে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, দস্তা, ফোলেট, তামা, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, নিয়াসিন থায়ামিন এবং আরও অনেক প্রোটিন রয়েছে। এই পুষ্টিগুলি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। লেবু ভারতের আসাম ও চীনে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। বেশিরভাগ লোক পানিতে মিশ্রিত লেবুর রস খান।…
গনোরিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা: গনোরিয়া হচ্ছে একটি যৌন রোগ। এই রোগটি নারী পুরুষ হয়ে থাকে। তবে নারীদের তুলনায় পুরুষের এই রোগটি বেশি হয়। পুরুষের গনোরিয়া হলে প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া করে। এবং মূত্রনালী দিয়ে পোজ বের হয়। এই সমস্যাটি নারীদের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে। তবে তাদের লক্ষণ দেখা যায় না। গনোরিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা। সম্পর্কে যারা জানতে চান…
আমাদের সকলের ঘরেই এলাচ (Cardamom) পাওয়া যায় সহজে। সুগন্ধি মশলা হিসাবে এলাচের রান্নাঘর যথেষ্ট মর্যাদা রয়েছে। এটি বিভিন্ন রান্নায় যোগ করে অনন্য গন্ধ ও স্বাদ। এটি গরম মশলার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে আমাদের অনেকেই এই মশলার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানি না। স্বাস্থ্যের জন্য এলাচের উপকারিতা শেষ করা যাবে না। গরম মশলা বলতে আমরা যে মশলাগুলোকে বুঝি,…
ছোলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন ছোলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন: ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। ছোলা বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে অতি পরিচিত একটি উপাদান। নিম্নে কাঁচা ছোলা এবং রান্না করা ছোলার উপকারীতা আলোচনা করা হল: হজমে সহায়ক: হজমক্রিয়া সহজ করার জন্য আবশ্যক একটি উপাদান হল ভোজ্য আঁশ। আর…
বাজারে বর্তমানে দুই ধরনের চিনি পাওয়া যায়। যথা: সাদা চিনি ও লাল চিনি। বিশেষ করে সাদা চিনি বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিতভাবে সতর্ক করে যাচ্ছে চিনি খাওয়ার ব্যাপারে। কারণ, চিনিতে থাকা গ্লুকোজ নিয়মিত শর্করা জাতীয় খাবার খেলে পাওয়া যায়। এজন্য চিনি খেলে শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজ আমরা জানবো,…