ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো

ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো

গরম কালের অন্যতম সমস্যা হলো ঘামাচি। গরমের সময় শরীর অনেক ঘামে। ঘামের উপরে ময়লা পড়ার কারণে ঘামগ্রন্থি নালি বন্ধ হয়ে যায়। যার করণে শরীর থেকে ঘাম বের হতে পারেনা। যার কারণে সে সব ঘাম ত্বকের নিচে হয়ে থাকে।

সেখান থেকেই ঘামাচি েতৈরি হয়। বর্তমানে ঘামাচি দূর করার অনেক পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো। সে সর্ম্পকে জেনে থাকা আমাদের সকলে উচিত। 

কারণ গরমের সময় আমরা সকলেই ঘামাচি নিয়ে সমস্যা পড়ি। এই জন্য ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

ঘামাচি কি?

গামাচি শব্দের সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। ঘামাচি হলো এক ধরনের চর্মরোগ। গরমের সময় অতিরুক্ত গা ঘামলে আমাদের গায়ে এক ধরনের ফুসকুড়ির মতো দেখা যায়। যা দেখতে লাল হয়ে থাকে। গরম লাগলেই চুলকাই। এই লাল লাল ফুসকুড়িয় হলো ঘামাচি।

গরমে ঘামাচি হয় কেন?

আমাদের ত্বকে ঘাম বের হওয়ার জন্য গ্রন্থি থাকে। যাকে বলা হয় ঘামগ্রন্থি। গরমের সময় অতিরুক্ত গা ঘামে। য়ার ফলে গায়ে ময়লা জমে। ময়লা জমার কারণে ঘামগ্রন্থি থেকে ঘাম বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

যার কারণে ত্বকের মধ্যেয় ঘাম আটকে থাকে। যা ফুসকুড়ির মতো হয়ে আমাদের গায়ে দেখা যায়। এই ভাবে গরমে ঘামাচি হয়।

বাচ্চাদের ঘামাচি হলে কি করবো?

বাচ্চাদের ঘামাচি হলে কি করবো

গরমের সময় বাচ্চাদের সব থেকে বড় সমম্যা হলো ঘামাচি। ঘামাচি হলে প্রচুর চুলকায়। যার কারণে বাচ্চাদের অনেক সমস্যা হয়। বাচ্চাদের ঘামাচি হলে ঠিক মতো যত্ন করলে ভলো হয়ে যায়। বাচ্চাদের ঘামাচি হলে যা করতে হবে তা হলো:

  1. ঘামাচি চুলকালে নখ দিয়ে চুলকানো যাবেনা।
  2. সাবান দিয়ে গোসল করাতে হবে।
  3. বাচ্চার গা যেনো না ঘামে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  4. ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করতে হবে।

বাচ্চাদের জন্য কোন পাউডার ভালো?

বাচ্চাদের জন্য কোন পাউডার ভালো

গরমের সময় আসলেই আমরা বাচ্চা নিয়ে সমস্যা পড়ি। কারণ গরমের সময় বাচ্চাদের গায়ে ঘামাচি বের হয়। তবে বর্তমানে ঘামাচি পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। যার ফলে বাচ্চাদের নিয়ে আর কোনো চিন্তা নেয়। বাচ্চাদের জন্য কোন পাউডার ভালো নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  1. Sebamed Baby Powder.
  2. Johnson’s Baby Powder.
  3. Himalaya Baby Powder.
  4. Pigeon Baby Powder.
  5. Mee Mee Baby powder.
  6. Mothercare- All we know Baby powder. 
  7. Mother Sparsh Talc-Free Natural Dusting Powder for Babies.

ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো

গরমের সময় সকলের গায়ে কম বেশি ঘামাচি হয়। অতিরুক্ত গরম লাগলে ঘামাচি হয়। এখণ বাজারে অনেক ঘামচি পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। যা ব্যবহার করলে সহজে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিম্নে ঘামাচি পাউডার কোন গুলো ভালো তুলে ধরা হলো:

  1. আইস কুল পাউডার
  2. তিব্বত ঘামাচি পাউডার
  3. মিল্লাত ঘামাচি পাউডার
  4. মেরিল পাউডার
  5. ডার্মিকুল পাউডার

বেবি পাউডার নির্বাচন:

গরমের সময় বাচ্চাদের নিয়ে অনেক সমস্যা থাকতে হয়। কারণ গরম লাগলেই বাচ্চাদের গায়ে ঘামাচি বের হয়। ঘামাচি বের হলে বাচ্চাদের অনেক কষ্ট হয়। কারণ ঘামাচি হলে গা চুলকায়। বর্তমানে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ব্রণের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো

বাজারে অনেক বেবি পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। যা ব্যবহার করলে আর ঘামাচি বের হবে না। বার্তমানে অনেক বেবি পাউডার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে সব গুলো বাচ্চাদের ব্যবহার করা যাবেনা। উপরে বাচ্চাদের ভালো কিছু পাউডারে নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সে গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

বাচ্চাদের ঘামাচি পাউডার এর নাম:

বাজারে অনেক ধরনের পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। তবে সব পাউডর বাচ্চাদের গায়ে ব্যবহার করা যাবে না।কারণ বাচ্চাদের ত্বক অনেক পাতলা ও নরম। যার কারণে বাচ্চাদের ভালো মানের পাউডার ব্যবহার করতে হবে। নিম্নে বাচ্চাদের ঘামাচি পাউডার এর নাম উল্লেখ করা হলো:

  1. Sebamed Baby Powder.
  2. Johnson’s Baby Powder.
  3. Himalaya Baby Powder.
  4. Pigeon Baby Powder.
  5. Mee Mee Baby powder.
  6. Mothercare- All we know Baby powder. 
  7. Mother Sparsh Talc-Free Natural Dusting Powder for Babies.

কোন বেবি পাউডার নিরাপদ:

বাচ্চাদের নিয়ে অনেক সাবধাণে থাকতে হয়। কারণ বাচ্চাদের ত্বক অনেক মশ্রিণ হয়ে থাকে। যার কারণে যে কোন কিছু ব্যবহার করা যায় না। বাচ্চাদের জন্য তৈরী পাউডার বাচ্চাদের ব্যবহার করতে হবে। 

তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না। উপরে কোন বেবি পাউডার নিরাপদ তুলে ধরা হয়েছে। ওই সবের মধ্যে যে কোনটা ব্যবহার করতে পারেন।

তিব্বত ঘামাচি পাউডার উপকারিতা:

বর্তমানে বাজারে অনেক ভলো পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্য অন্যতম হলো তিব্বত ঘামাচি পাউডার।তিব্বত ঘামাচি পাউডার প্রতি দিন ব্যবহার করলে ঘামাচি হয় না। এবং যদি ঘামাচি হয়ে থাকে তাহলেও ভালো হয়ে যায়। যদি ঘামাচি চুলকাই তিব্বত পাউডার লাগালে চুলকানি বন্ধ হয়ে যায়। 

আইস কুল পাউডার এর উপকারিতা:

আইস কুল পাউডার এর সাথে আমরা প্রায় সকলে পরিচিত। আইস কুল পাউডার ব্যবহার করলে গা ঠন্ডা হয়ে থাকে। এছাড়াও ঘামাচি দূর কারতে গুরুত্বপূর্ণ ভূসিকা রাখে। আইস কুল পাউডার ব্যবহার করলে ত্বকের কোন ধরনের সমস্যা থাকলে ভালো হয়ে যায়।

মিল্লাত ঘামাচি পাউডার দাম:

মিল্লাত ঘামাচি পাউডার অনেক ভালো। অনেকে মিল্লাত ঘামাচি পাউডারের দাম জানতে চাই। বর্তমান সময়ে মিল্লাত ঘামাচি পাউডার ১০০ গ্রামের দাম ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। অনেক সময় দাম কম বেশি হয়ে থকে।

ট্যালক ফ্রি পাউডার কি শিশুর জন্য নিরাপদ:

বাচ্চাদের ত্বক অনেক সেনসেটিভ হয়ে থাকে। যার কারণে কোন ধরনের কেমিক্যাল ত্বকে স্পর্শ হলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ পাউডারে ট্যালক ব্যবহার করা হয়। ট্যালক এক ধরনের খনিজ পদার্থ।

অনেক সময় রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। এই পাউডার ব্যবহার করা হয় কোন ধরনের ঘর্ষণ প্রতিরোধে বা কোন কিছু মসৃণ করতে। বর্তমান সময়ে পাউডার ট্যালক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ট্যালক ফ্রি পাউডার শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।

বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায়:

বাচ্চাদের ঘামাচি হয়ে থাকে গরম লাগলে। সঠিকভাবে বাচ্চাদের দেখাশোনা করলে ঘামাচি হাত থেকে বাচ্চাদের সম্ভব। নিম্নে বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো তুলে ধরা হলো:

  1. সাবান দিয়ে গোসল করানো।
  2. বাচ্চাদের গায়ে ঢিলেঢালা জামা পরানো।
  3. একটু পর পর বাচ্চাদের পানি পান করানো।
  4. বাচ্চাদের সরাসরি রোদ থেকে দূরে রাখা।
  5. অতিরিক্ত ঘামাচি হলে নিম পাতার পানি দিয়ে গোসল করানো।
  6. বিভিন্ন ধরনের ঘামাচি নাশক পাউডার ব্যবহার করা।

ঘামাচি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়:

গরম আসলেই আমরা ঘামাচি নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়ি। কারণ ঘামাচি হলে গা সারাক্ষণ চুলকায়। যার কারণে অনেক অস্বস্তি বোধ হয়। তবে ঘামাচি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় রয়েছে। নিম্নে ঘরোয়া উপায় গুলো তুলে ধরা হলো:

বরফ সেঁক:

ঘামাচি রোধে বরফ ভালো ভালো কাজ করে। এক টুকরো বরফ নিয়ে যেসব স্থানে ঘামাচি হয়েছে সেসব স্থানে ভালো করে লাগাতে হবে। ৫ থেকে ১০ মিনিট ভালোভাবে বরফ দিয়ে সেঁক দিলে চুলকানি বন্ধ হয়। এবং ঘামাচি আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যায়।

নিম পাতা:

এক মুঠো নিম পাতা নিন। নিম পাতা ভালোভাবে বেটে নিতে হবে। তারপর ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় ভালোভাবে নিমপাতার পেস্ট লাগাতে হবে। এভাবে দু-তিন দিন লাগালে ঘামাচি ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও নিম পাতা দিয়ে পানি গরম করে, পানি ঠান্ডা করে গোসল করতে পারেন। এতে করেও ঘামাচি দূর হয়।

বেসন:

ঘামাচির জন্য বেসন অনেক কার্যকরী। বেসন এবং পানি মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর ভালোভাবে ঘামাচির উপর লাগান। এইভাবে লাগালে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে ঘামাচি ভালো হয়ে যায়।

বাচ্চাদের ঘামাচির ঔষধ:

বাচ্চাদের কোন ধরনের সমস্যা হলে মা-বাবা অনেক চিন্তায় পড়ে। তবে ঘামাচি হলে তেমন কোনো চিন্তার বিষয় নেই। ঘামাচি হলে বাচ্চাদের কোন ধরনের ঔষধ খাওয়াতে হয় না। 

আরও পড়ুনঃ বেবি লোশন কোনটা ভালো

নিয়মিত বাচ্চাদের বেবি পাউডার ব্যবহার করলেই ঘামাচি দূর হয়ে যায়। বাচ্চাদের গরমের সময় সচেতন ভাবে রাখতে হবে। যাতে বাচ্চাদের অতিরিক্ত গরম না লাগে।

ঘামাচি মারার সাবান:

গরমের সময় ঘামাচি হওয়া একটি সাধারণ বিষয়। অতিরিক্ত গরম লাগলে আমাদের ঘামাচি হয়ে থাকে। ঘামাচি মারার জন্য কোন সাবান নেই। তবে ঘামাচি হলে যে কোন সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। কারণ ত্বকের নিচে জীবাণুর আক্রমণের কারণে ঘামাচি হয়। 

যেকোনো ধরনের সাবান ব্যবহার করলেই ঘামাচির জীবাণু দূর হয়। এছাড়াও ঘামাচি হলে ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান সময়ে বাজারে অনেক ধরনের ঘামাচি পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। 

উপরে কিছু ভালো পাউডারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করলে ঘামাচি মরে যায়।

শেষ কথা: ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো

গরমের সময় ঘামাচি হবে এটা একটি সাধারণ বিষয়। অতিরিক্ত গরম পড়লে আমাদের গায়ে ঘামাচি বের হয়। তবে বর্তমানে ঘামাচির অনেক পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। যেসব পাউডার আগে থেকে ব্যবহার করলে শরীলে ঘামাচি হয় না। এবং যদি ঘামাচি হয়েও যায় তাও ভালো হয়ে যায়।

উপরে ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো আলোচনা করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস সম্পূর্ণ লেখা পড়লে ঘামাচি পাউডার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

Similar Posts