গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে?

আজকের আলোচ্য বিষয়বস্তুঃ

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে: একজন বিবাহিত মহিলার জীবনে পরিপূর্ণ আসে মা হওয়ার মাধ্যমে। আর মা হওয়ার প্রথম ধাপ গর্ভবতী হওয়া। একজন মহিলা গর্ভবতী হওয়ার পরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে। বিশেষ করে প্রথম দিকে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। তারপর আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে এ বিষয় নিয়ে অনেকের মধ্যে আগ্রহ কাজ করে। তবে গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে জরুরী নিজের যত্ন নেওয়া। কারণ সেই সময় একটু ভুলের কারণে মা ও গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।  নিম্নে, গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃসূচিপত্রঃ

গর্ভাবস্থার লক্ষণ কতদিন পর প্রকাশ পায়ঃ

গর্ভাবস্থার প্রথম লক্ষণ হল পিরিয়ড মিস করা। পিরিয়ড মিস করার প্রথম সপ্তাহে ৮০ শতাংশ মহিলা সমস্যায় ভুগে। বিশেষ করে এই সময় বমি ভাব ও বমি হয়। আবার ৫০ শতাংশ মহিলাদের ৬ সপ্তাহের আগে থেকেই বমি শুরু হয়। তখনই গর্ভাবস্থার লক্ষণ প্রকাশ পায়।

গর্ভাবস্থায় ৯ মাস কত সপ্তাহঃ

একজন মহিলা গর্ভবতী হলে সময় নিয়ে অনেক চিন্তা করে। কারণ, বাচ্চা কতদিন পর হবে এই বিষয় নিয়ে সবসময় ভাবে। সাধারণত বাচ্চা হয়ে থাকে নয় মাস দশ দিন পর। 

গর্ভ অবস্থায় ৯ মাস সমান ৩৮ সপ্তাহ। তবে বেশিরভাগ সময় বাচ্চা হতে সময় লাগে ৪০ সপ্তাহের মত। কারো কারো ৩৮ থেকে ৩৯ সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় কত ত্রৈমাসিক হয়ঃ

গর্ভাবস্থায় ত্রৈমাসিক হিসেবে গণনা করা হয়। গর্ভাবস্থায় ত্রৈমাসিক তিনটি পর্বে বিভক্ত করা হয়। নিম্নে পর্বগুলো তুলে ধরা হলো:

  1. প্রথম ত্রৈমাসিক পর্ব। গর্ভাবস্থায় শুরু থেকে ১৩ সপ্তাহ পর্যন্ত।
  2. দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক পর্ব । ১৪ তম সপ্তাহ থেকে ২৭ তম সস্তাহ পর্যন্ত।
  3. তৃতীয় ত্রৈমাসিক পর্ব। ২৮ তম সপ্তাহ থেকে বাচ্চা জন্মের পূর্ব পর্যন্ত।

দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক কখন শুরু হয়ঃ

১৪ সপ্তাহ থেকে ২৭ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় কালকে গর্ভাবস্থায় বলা হয় সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার বা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক। এ সময় শরীরের ওজন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়। এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। মানসিক পরিবর্তন হয় এই সময়। এ সময় বাচ্চা অনেকটা বড় হয়ে যায়।

শিশুর পেটের একপাশে থাকা কি স্বাভাবিক?

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের মধ্যে নড়াচড়া করে। বিশেষ করে ৬ মাস বয়স পার হয়ে গেলেই বাচ্চা নড়া শুরু করে। এই সময় পেটের আকার বড় হয়ে যায়। যার কারণে শুয়ে থাকার সময় পেট একদিকে নেমে যায়। তখন মনে হয় বাচ্চা পেটের এক পাশে রয়েছে। তবে শিশু নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে। 

আরও পড়ুনঃ বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ – প্রতিরোধ ও প্রতিকার

কিন্তু অনেক সময় বামে অথবা ডানে নড়াচড়া করে। সেই সময় মনে হয় বাচ্চা এক পাশে রয়েছে। তবে শিশুর পেটের একপাশে থাকা স্বাভাবিক। যদি এক পাশে থাকার কারণে শারীরিক কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় তাহলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এক পাশে শিশু থাকা স্বাভাবিক।

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে কতটা খিঁচুনি স্বাভাবিক?

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে খিঁচুনি স্বাভাবিক। তবে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে যে পরিমাণ খিঁচুনি হয়। তা সহজেই সয্য করতে পারে। তবে অনেক সময় মাত্রা অতিরিক্ত খিঁচুনি হতে পারে। প্রথমবার গর্ভধারণ করলে খিঁচুনির মাত্রা বেশি থাকে। খিঁচুনির পাশাপাশি বমি বমি ভাব ও বমি হয়। 

তবে গর্ভাবস্থায় এটা স্বাভাবিক বিষয়। তবে যে পরিমাণ খিঁচুনি হয় সেটা সবাই সয্য করতে পারে। অনেকের মাত্রা অতিরিক্ত খিঁচুনি হয়ে থাকে। মাত্রা অতিরিক্ত খিঁচুনি হলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা নিতে হবে।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়?

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ প্রথম মাস থেকেই বোঝা যায়। কারণ একজন মহিলার ২৮ দিন পর পর পিরিয়ড হয়ে থাকে। আর গর্ভবতী হলে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। তখনই বোঝা যায় গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ। এছাড়াও ৮০ শতাংশ মহিলার পিরিয়ড মিস আগে বমি বমি ভাব এবং বমি শুরু হয়। 

এই থেকে বোঝা যায় গর্ভবতী হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে অনেকের এই সমস্যা নাও হতে পারে। এই সমস্যা গুলো বেশিরভাগ প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। দ্বিতীয়বার অনেকের ক্ষেত্রে লক্ষণ গুলো দেখানোও দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে:

সাধারণত বাচ্চা পেটে আসলেই মহিলারা বিভিন্ন ধরনের চিন্তা থাকে। বিশেষ করে বাচ্চা ছেলে হবে না মেয়ে হবে এটা নিয়ে। তবে বাচ্চা গর্ভের নির্দিষ্ট স্থানে থাকে। বাচ্চার আকার আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়। যার কারণে বাচ্চা অনেক সময় এক পাশে সরে যায়। গ্রাম অঞ্চলে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।

যদি ছেলে সন্তান হয় তাহলে পেটের আকার ছোট থাকে। এবং বাচ্চা বাম পাশে নড়াচড়া করে। আর যদি মেয়ে বাচ্চা হয় তাহলে পেটে আকার বড় হবে এবং ডান পাশে বেশি নড়াচড়া করবে। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল। বিভিন্ন কারণে বাচ্চা এক পাশে নড়াচড়া করে। 

বিশেষ করে রাত্রে কাত  হয়ে শুয়ে থাকলে বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে। এখানে কোন ভাবনার বিষয় নেয়। বাচ্চা পেটের ডান এবং বাম দুই পাশে থাকতে পারে। এগুলো হয়ে থাকে চলাফেরার কারণে।

বাচ্চা পেটের ডান পাশে থাকে কেন?

বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় বাচ্চা ডান পাশে থাকে। তবে অনেকের বাম পাশে ও বাচ্চা থাকে। ডান পাশে বাচ্চা থাকার কারণ হচ্ছে বেশিরভাগ সময় আমরা ডান কাত হয়ে শুয়ে থাকি। যার কারণে পেট ডান দিকে থাকে। গর্ব অবস্থায় পেট বড় হয়ে যায়। এবং শুয়ে  থাকলে পেট ডান দিকে নেমে যায়। 

এবং বাচ্চাও আস্তে আস্তে ডান পাশে চলে আসে। সাধারণত এই কারণে বাচ্চা ডান দিকে চলে আসে। তবে গর্ব অবস্থায় অতিরিক্ত শুয়ে থাকা যাবে না। এতে করে পেটের মাংস পেশি ব্যথা হয়। এবং শুয়ে থাকলে বাচ্চা ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারে না। এই কারণে বাচ্চা স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

কি ধরনের স্তন ব্যথা গর্ভাবস্থার লক্ষণ:

গর্ভাবস্থায় শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। ঠিক একই ভাবে গর্ব অবস্থায় স্তন ব্যথা করে। গর্ভাবস্থায় হালকা ব্যাথা বা চাপা চাপা লাগতে পারে। তবে এটি খুব পরিচিত একটি লক্ষণ গর্ভাবস্থায়। গর্ভাবস্থায় শরীরের মধ্যে অনেক ধরনের হরমোন পরিবর্তন ঘটে। 

এছাড়াও শরীরে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। যার প্রভাবে স্তন ও স্তনের বোঁটায় ব্যাথা হয়। এটা গর্ভধারণের সময় টি স্বাভাবিক বিষয়। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় স্তনে চর্বি জমা হতে পারে। এবংস্তনের কোষগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে।

গর্ভাবস্থায় জরায়ু ব্যথা: গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে

গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে ব্যথা হয়। এই ব্যথা সাধারনত হয় গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিক পর্ব। কারণ, এই সময় বাচ্চা জরায়ুর কাছাকাছি অবস্থায় চলে আসে। এবং বাচ্চার মাথা নিচের দিকে হয়ে যায়। যার ফলে জরায়ুতে চাপ সৃষ্টি করে। কারণ এই সময় জরায়ু প্রসারিত হতে শুরু করে। 

আরও পড়ুনঃ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কি করা উচিত?

এটা একটি স্বাভাবিক বিষয়। এছাড়াও যদি প্রসব ব্যথা শুরু হয় তাহলেও জরায়ুতে ব্যাথা হতে পারে। অনেক সময় গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে ইনফেকশন হয়। যার ফলে জরায়ুতে ব্যথা হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ:

গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে। কারণ এই সময় জরায়ু আকার বড় না হলে বাচ্চা হওয়া সম্ভব না। যার কারণে জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে। নিম্নে, গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ তুলে ধরা হলো:

  1. অস্বাভাবিক অনুভূতি।
  2. দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কোমরে ব্যথা হতে পারে।
  3. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
  4. ঋতুস্রাবের রাস্তায় কোন কিছু বের হয়ে আসা।
  5. জায়গাটা ভার ভার মনে হওয়া।
  6. কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা অসম্পূর্ণ হওয়া।
  7. প্রস্রাব অসম্পূর্ণ হওয়া।

গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ:

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ বন্ধ থাকে। কারণ, এই সময় বাইরে থেকে সংক্রমণ যেন বাচ্চার কোন ধরনের ক্ষতি করতে না পারে। মিউকাস বা শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ দিয়ে জরায়ু মুখ বন্ধ থাকে। বাচ্চা প্রসবের সময় হলে জরায়ুর মুখ খুলে যায়। এবং সেই সময় পানি ভাঙ্গে। 

এবং সাথে সাথে রক্ত মিশ্রিত স্রাব নিঃসৃত হয়। এটাই গর্ব অবস্থায় জরায় খোলার লক্ষণ বা প্রসব শুরু হওয়ার লক্ষণ। এই অবস্থা শুরু হলে বুঝবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই বাচ্চা প্রসব হবে।

গর্ভাবস্থায় কত মাসে পেট বড় হয়:

মেয়েরা গর্ভবতী হলে পেট বড় হয়। গর্ভাবস্থায় কত মাসে পেট বড় হয় অনেকেই সেই সম্পর্কে জানে না। গর্ভবতী হলে সাথে সাথে পেট বড় হয় না। সাধারণত গর্ভবতী হওয়ার পাঁচ মাস পর থেকে পেট আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করে। কারণ পাঁচ মাস পর থেকে বাচ্চার অঙ্গ পতঙ্গ খুব দ্রুত বড় হয়।

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ:

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই। তবে এইসব ধারণা সবসময় সঠিক হয় না। তবে প্রাচীনকাল থেকেই অনেকেই বিশ্বাস করে আসছে। কিছু লক্ষণ রয়েছে ছেলে সন্তান হওয়ার। নিম্নে,ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ তুলে ধরা হলো:

  1. বাচ্চা পেটের বাম পাশে বেশি নড়াচড়া করবে।
  2. গর্ভাবস্থায় মায়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
  3. গর্ভাবস্থায় যদি ঝাল এবং টক জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়।
  4. ছেলে সন্তান হলে কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা হয় না।
  5. ছেলে সন্তান হলে গর্ভাবস্থায় মায়ের মন ভালো থাকে।

মেয়ে বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে:

মেয়ে বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে অনেকে জানতে চাই। তবে সঠিকভাবে বলা যায় না। তবে অনেক গবেষণা এবং কিছু পারিবারিক তথ্য অনুযায়ী জানা যায় মেয়ে সন্তান পেটের মাঝ বরাবর থাকে। মাঝে মাঝে পেটের ডান পাশে নড়াচড়া করে। এই কারণে মেয়ে সন্তান হওয়ার আগে পেট অনেক বড় হয়।

গর্ভাবস্থায় কোন পাশে ঘুমাবে:

গর্ভাবস্থায় কোন পাশে ঘুমাবে এটা জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ, গর্ভাবস্থায় অনেক সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়। তা না হলে বাচ্চা ও নিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভাবস্থায় প্রথম ত্রৈমাসিকের যেকোনো ভাবেই ঘুমাতে পারবেন। তবে ডান পাশে ঘুমানো সকলের উচিত। 
কারণ বাম পাশে হৃদপিণ্ড থাকে। যার কারণে বামে কাত হয়ে ঘুমালে হৃৎপিণ্ড সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।

 তবে গর্ভাবস্থায় ঘুমানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গর্ভবতী হওয়ার পাঁচ মাস পর থেকে পেট বড় হতে শুরু করে। সেই সময় যে কোন ভাবে শুয়ে থাকতে কষ্ট হয়।

পেট বড় হওয়ার পর থেকে চিত হয়ে বা কাত হয়ে শুয়ে থাকতে হবে। যদি কাত হয়ে শুয়ে থাকতে সমস্যা হয় তাহলে নিচে কোলবালিশ দিতে হবে। এতে করে পেটে চাপ কম পড়বে। অবশ্যই সাত মাস পার হলে খুব সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে হবে।

বাচ্চার পজিশন বোঝার উপায়:

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে সেই সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি। তবে বাচ্চার পজিশন বোঝার কিছু উপায় রয়েছে। যদি পেটের আকার বড় হয় তাহলে বুঝবেন বাচ্চা পেটের মাঝ বরাবর রয়েছে। আর যদি পেট নিজ দিকে নেমে যায় তাহলে বুঝবেন বাচ্চা নিচের দিকে আছে।

এছাড়াও বাচ্চা অনেক সময় বাম পাশে ও ডান পাশে নড়াচড়া করে। বাচ্চার নড়াচড়া দেখেও বোঝা যায় বাচ্চার পজিশন। তবে বেশিরভাগ সময় বাচ্চা পেটের মাঝ বরাবর থাকে।

শেষ কথা: গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে

গর্ভবতী মহিলারা অনেক ধরনের মানসিক টেনশন এর মধ্যে থাকে। বিশেষ করে বাচ্চা ছেলে হবে না মেয়ে হবে। এবং গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে। এসব নিয়ে সবসময় ভাবে। কারণ গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে মেয়েদের মধ্যে অনেক আতঙ্কের কাজ করে।

তবে সঠিকভাবে চলাফেরা করলে বাচ্চার পজিশন ঠিক থাকে। এবং বাচ্চা সুস্থ থাকে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

Similar Posts