গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা ৩ মাসের গর্ভবতী লক্ষণ

গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা / ৩ মাসের গর্ভবতী লক্ষণ

গর্ভধারণ একজন মেয়ের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় আনন্দ, উদ্বেগ, শঙ্কা ইত্যাদি নানা অনুভূতি মিলে আচ্ছন্ন থাকে গর্ভবতী মায়ের মন। প্রথমদিকে কিছু বোঝা না গেলেও প্রথম তিন মাস সকল  গর্ভবতী মায়ের কাছে ভীষণ অন্যরকম বলে মনে হয়।

নতুন প্রাণীর আগমনের সংবাদ আনন্দিত করে তুলে নতুন মায়ের জীবন। গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা / ৩ মাসের গর্ভবতী লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টা মায়ের জন্য নয়, সন্তানের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়।

এই সময় খুব সতর্কতার প্রয়োজন। এই সময়টা সন্তানের একদম প্রথম পর্যায়। তাই সময় মাকে হতে হবে অনেক বেশি সতর্ক। কিন্তু অনেক সময় মায়েরা বুঝতে পারে না এই সময় কি হচ্ছে এবং কি হতে পারে। অনেকের নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কেও সঠিক জ্ঞান থাকে না।

জানা থাকে না কি হবে গর্ভের সন্তানের যত্ন নিতে হয়। আজকের আলোচনা থেকে জানতে পারবেন, গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা / ৩ মাসের গর্ভবতী লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা।

গর্ভবতী কি?

একজন মেয়ের নির্দিষ্ট বয়সে মাসিক শুরু আহবার পর থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণ পরিপক্ক হয়। এই ডিম্বাণু দুই মাসিকের মাঝামাঝি সময়ে ডিমের থলি থেকে বাহিরে ডিম্ববাহী নালীতে আসে। এ সময় যদি যৌন মিলন হয়, তাহলে পুরুষের শুক্রানু এবং ডিম্বাণু মিলিত হয়ে ভ্রুণ তৈরি হয়। একেই গর্ভধারণ বলে।
আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
এই ভ্রুণ কয়েকদিন পর জিরায়ুতে আসে এবং সেখানে বড় হয়ে বাচ্চাতে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াটি মেয়েদের গর্ভবতীর প্রক্রিয়া।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ:

একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার কিছুদিন পর থেকে বিভিন্ন লক্ষণ দেখতে পায়। অনেকে এই লক্ষণগুলো সাধারণ বলে মনে করে। এতে করে তারা বুঝতে পারে না। সে নিজেকে অসুস্থ বলে মনে করে। এই কারণে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। নিম্নে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলো।
  1. বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।
  2. পিরিয়ড মিস হওয়া।
  3. বারবার প্রস্রাব হওয়া।
  4. শারীরিক ক্লান্তি মনে হওয়া।
  5. খাবারের প্রতি অনিহা।
  6. মানসিক পরিবর্তন।
  7. স্তনযুগলে পরিবর্তন।

৩ মাসের গর্ভবতী লক্ষণ:

একজন নারীর সবচে আনন্দের মুহূর্ত হলো মা হওয়ার খবর। প্রতিটি মেয়ের জীবন পরিপূর্ণ হয় সন্তান জন্ম দেওয়ার মাধ্যমে। একজন মেয়ে গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো সকলের জানা প্রয়োজন। একজন মেয়ের গর্ভবতী হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই সকল লক্ষণ প্রকাশ পায়। নিম্নে, ৩ মাসের গর্ভবতী লক্ষণ তুলে ধরা হলো:
  1. মাসিক বন্ধ হওয়া।
  2. বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।
  3. পায়ে খিল ধরা বা খিচুনি।
  4. সাদা স্রাব ভাঙ্গা।
  5. পিঠে এবং তলপাটে ব্যথা।
  6. মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকা।
  7. খাবারের প্রতি অনিহারা হয়।
  8. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়?

প্রতিটি মেয়ের জীবনে পরিপূর্ণতা আসে মা হওয়ার মাধ্যম। মা হওয়ার জন্য মেয়েরা অনেক পরিশ্রম করে। মা হওয়ার অনুভূতি মুখে বলে প্রকাশ করা সম্ভব না। তবে মা হওয়ার আগে মেয়েদের মধ্যে অনেক উত্তেজনা কাজ করে। তারা বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ থেকে বুঝতে পারে মা হওয়ার খবর।
অনেকে জানতে চাই,  গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়? সাধারণত গর্ভধারণের সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই অনেক মেয়ের স্তনে ব্যাথা হয়, পাশাপাশি ভারী হয়ে যায়। দিনের যেকোনো সময়, বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠার পর বমি বমি ভাব হওয়া। এবং অনেক সময় বমি হয়।
আরও পড়ুনঃ দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর উপায়
গর্ভধারণের ৩০ দিন পর থেকেই এই লক্ষণ দেখা যায়। এই সময় মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। এ থেকে বোঝা যায় একজন মেয়ে গর্ভবতী হলে এক মাসের মধ্যেই বোঝা যায়।

গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা:

গর্ভধারণ প্রতিটি নারীর জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়। একটা সন্তান জন্ম নিতে সময় লাগে ৯ মাস বা ৪০ সপ্তাহ। এই সময়টাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম তিন মাসকে প্রথম ত্রৈমাসিক বা ফার্স্ট ট্রাইমেস্টার বলা হয়। এই সময় গর্ভবতী মেয়েদের শরীরে নানারকম পরিবর্তন দেখা যায়।
এই সময় বমি বমি ভাব, ক্লান্তিবোধ, স্তনে ব্যাথা ও ভারি হওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং খাবারের প্রতি অরুচি হওয়া হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাস সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ, গর্বের শিশুর সঠিক বিকাশ এর জন্য প্রথম তিন মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই তিন মাসেই শিশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠন এবং বিকাশ ঘটে। বেশিরভাগ জন্মগত ত্রুটি এবং গর্ভপাত এই সময়ে হয়ে থাকে। তাই এই সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। এই সময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। তবে এই সময়ে চলাফেরা এবং খাওয়ার উপর সতর্কতা রাখতে হবে।
এই সময় কিছু কিছু খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রথম তিন মাস যেসব খাবার খাবেন না সেসব হল:
  1. প্রক্রিয়াজাত খাবার
  2. সামুদ্রিক খাবার
  3. পেঁপে
  4. আনারস
  5. কামরাঙ্গা
  6. অর্ধ সিদ্ধ মাংস
  7. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার
  8. অতিরিক্ত লবণ
উপরে যেসব খাবারের কথা বলা হলো সেসব খাবার গর্ভকালীন সময় খাওয়া যাবে না। এসব খাবার খাওয়ার ফলে বাচ্চার বিকাশের সমস্যা হয় এবং অনেক সময় গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে প্রথম তিন মাস এসব খাবার খাওয়া যাবে না। এই খাবারগুলো গর্ভকালীন অবস্থায় না খাওয়াই উত্তম।

৩ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা:

গর্ভকালীন সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম তিন মাস। এই সময় বাচ্চার সার্বিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠন এবং বিকাশ ঘটে। বেশিরভাগ জন্মগত ত্রুটি এবং গর্ভপাত এই সময় হয়ে থাকে। বিশেষ করে এই সমস্যা গুলি হয়ে থাকে খাবারের কারণে। এই কারণে এই সময় প্রয়োজন সঠিক খাদ্য তালিকা। ৩ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা নিম্নে তুলে ধরা হলো:

যেসব খাবার খাবেন:

  1. দুধ ও দুধ দিয়ে তৈরি খাবার। যেমন দই, পনির ,মাখন ইত্যাদি।
  2. গার্লস সবুজ শাকসবজি। যেমন পালং শাক, মটরশুঁটি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়স ইত্যাদি
  3. ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার।
  4. শস্য দানা।
  5. ডিম, মাছ, মাংস, বিভিন্ন শস্য বীজ ও বাদাম
  6. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
  7. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার
  8.  প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার
  9. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
  10. স্টার্চ জাতীয় খাবার
উপরের যেসব খাবারের কথা উল্লেখ করা হলো এসব গর্ভ অবস্থায় গেলে বাচ্চার সঠিক বিকাশ ঘটবে। এই সময়টা চাই বাচ্চার সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন।

যেসব খাবার খাবেন না:

  1. প্রক্রিয়াজাত খাবার
  2. সামুদ্রিক খাবার
  3. পেঁপে
  4. আনারস
  5. কামরাঙ্গা
  6. অর্ধ সিদ্ধ মাংস
  7. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার
  8. অতিরিক্ত লবণ
এসব সব খাবার গর্বের বাচ্চার ক্ষতি করে। বিশেষ করে এসব খাবার খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে এসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

পেটে বাচ্চা থাকলে কি কি ফল খাওয়া উচিত নয়?

গর্ব অবস্থায় মেয়েদের অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বিশেষ করে চলাফেরা ও খাবার দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। একটু ভুলের জন্য অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই সময় কিছু কিছু ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। নিয়মে ফলগুলোর নাম তুলে ধরা হলো:
  1. আনারস
  2. পেঁপে
  3. আঙ্গুর
  4. হিমায়িত ফল

আনারস: 

আনারস টক মিষ্টি ফল। এতে রয়েছে ব্রোমেলাইন নামক উপাদান। যা জরায়ুর পথকে কোমল করে যার ফলে প্রারম্ভিক ব্যথা সৃষ্টি হয়। আনরাস খাওয়ায় গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়ার হতে পারে। আনারস খাওয়ার ফলে অনেক সময় গর্ভপাত হয়ে থাকে।

পেঁপে:

আধা পাকা পেঁপেতে রয়েছে ল্যাটেক্স। ল্যাটেক্স গর্ভপাতের জন্য দায়ী। পেঁপে খাওয়ার ফলে পেট ব্যাথা করে এবং গর্ভের সন্তানের ক্ষতি করে। এ কারণে এই সময় পেতে না খাওয়াই ভালো।

আঙ্গুর: 

আঙ্গুর একটি পুষ্টিকর খাবার। তবে গর্ভবতী মেয়েদের আঙ্গুর খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে শেষের তিন মাস। আঙ্গুরে থাকা রেসভেরাট্রল নামক যৌগ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা করে তুলে। এছাড়াও আঙ্গুরে রয়েছে তাপ উৎপাদন কারী পদার্থ যা মা ও শিশুর ক্ষতির কারণ হতে পারে।

হিমায়িত ফল:

ফল হিমায়িত করে অনেকদিন যাবত সংরক্ষণ করা হয়। এতে করে ফলের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ করে। গর্ভবতী অবস্থায় এসব ফল খেলে মা ও শিশুর দুজনেই অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে গর্ভ অবস্থায় হিমায়িত ফল খাওয়া পরিহার করতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের ফল খাবার তালিকা:

গর্ভাবস্থায় মায়ের পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। কারণ, মায়ের খাবারের মাধ্যমে বাচ্চা খাবার খেয়ে থাকে।, এই সময় পুষ্টিকর খাবার খেলে মা ও শিশু দুজনেই ভালো থাকার। এবং গর্ভের বাচ্চার সঠিক বিকাশ ঘটে। এসব দিক লক্ষ রেখে গর্ভবতী অবস্থা হয় মাকে বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়।
আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায়
পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম ফল। ফলে প্রায় সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। চলুন জেনে নেই গর্ভবতী অবস্থায় মায়ের ফল খাওয়ার তালিকা:
  1. পেয়ারা
  2.  কমলাৎ
  3. কলা
  4. আপেল
  5. খেজুর
  6. ডালিম
  7. বেদনা
উপরে যে  সব ফলের কথা বলা হলো এসব ফলে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে। এসব খাবার খেলে মা ও বাচ্চা উভয়ই সুস্থ থাকবে। কিন্তু এসব ফল খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন ফলগুলো হিমায়িত না হয়।
এবং কোন ফলে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া যাবে না। এতে করে ফলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কম কম করে দিনে অনেকবার খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় লবণ খাওয়া যাবে কি?

গর্ভ অবস্থায় মেয়েদের খাওয়ার উপর লক্ষ্য রাখতে হয়। এই সময় একটু ভুলের কারণে অনেক সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। খাবারের সমস্যার কারণে বাচ্চা বিকলাঙ্গ হয়ে থাকে। অনেক সময় গর্ভপাতের মত ঘটনাও ঘটে।
এ কারণে সব সময় খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। অনেকের খাবারের সময় অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। গর্ভাবস্থায় লবণ খাওয়া যাবে কি? এই বিষয় নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। লবণে প্রচুর পরিমাণ আয়োডিন এবং সোডিয়াম এসিড থাকে।
এই কারণে গর্ভাবস্থায় লবণ না খাওয়াই ভালো। অনেকের হাই প্রেসার থাকে তাদের জন্য কাচা লবণ খাওয়া হারাম এর মত। তবে যদি হাই প্রেসার না থাকে তাহলে সবার সমান অল্প পরিমাণ লবণ খেতে পারেন।

গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম:

গর্ভবতী অবস্থায় মেয়েরা অনেক মানসিক দুশ্চিন্তায় ভোগে। এই সময় মেয়েদের পেটের আকার অনেক বড় হয়ে থাকে। যার কারণে চলাফেরা করতে অনেক সমস্যা হয়। বিশেষ করে বসে থাকতে। গর্ভ অবস্থায় বসার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে পেটে চাপ না পড়ে।
কারণ পেটে চাপ লাগলে আপনার এবং বাচ্চার উভয়েরই ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে গর্ভবতী অবস্থায় চেয়ার অথবা উঁচু জায়গায় বসাই ভালো। এইভাবে বসলে পেটের উপর কোন ধরনের চাপ পড়ে না।
সব সময় পায়ের উপর ভর দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পায়ের উপর দিয়ে বসার ফলে পেটে সাপ পড়ে। এবং পেটে ব্যথা অনুভব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে পায়ের উপর ভর দিয়ে বসা থেকে বিরত থাকতে হবে। মেঝেতে বসলে অবশ্যই পা লম্বা করে সামনে বাড়িয়ে দিয়ে বসতে হবে। এতে করে পেটের উপর কোন ধরনের চাপ পড়ে না।

শেষ কথা: গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা / ৩ মাসের গর্ভবতী লক্ষণ

প্রতিটা মানুষের জীবনের স্বপ্ন থাকে বাবা মা হওয়ার। বাবা না হওয়ার ফলে প্রতিটা মানুষের জীবন সম্পন্ন হয়। বাবা মা হওয়ার জন্য বেশি কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় মাকে। এই কারণে মাকে অনেক ধরনের সতর্কতা অবলম্বন। বিশেষ করে, গর্ভবতী হওয়ার তিন মাস সময় পর্যন্ত।
এই সময় একটু ভুলের কারণে অনেক বড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এইজন্য গর্ভবতী অবস্থায় তিন মাসের লক্ষণ এবং কি করনীয় সকল কিছু বিষয় ধারণা থাকা প্রয়োজন।
উপরে গর্ভবতী অবস্থায় কি কি সর্তকতা এবং লক্ষণ মনে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ে থাকলে গর্ভবতী অবস্থায় সর্তকতা এবং লক্ষণগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পন্ন লেখাটি পড়ার জন্যে আপনাকে ধন্যাবাদ।
শেয়ার করুন

Similar Posts

  • একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার দৈনিক খাদ্যের পরিমাণ

    একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার দৈনিক খাদ্যের পরিমাণ একজন পুর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির কতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত তা তার শারীরিক পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে। আর প্রোটিনের চাহিদা নির্ভর করে ব্যক্তির ওজনের উপর। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার যে পরিমাণ খাদ্য প্রয়োজন তা নিম্নে বর্ণিত হল: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার দৈনিক খাদ্যের পরিমাণ: হালকা শ্রমে:          …

    শেয়ার করুন
  • ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

    ডুমুর এমন একটি ফল যা বলতে গেলে অযত্নের মধ্যেই বড় হয়ে থাকে। আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় ডুমুরের গাছ দেখা যায়। ডুমুর ফল খুবই উপকারী এবং সুস্থ রাখতে সহায়ক। যদিও এ ফলটিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় না,তবে এই ফলটি কতটা উপকারী এ বিষয়ে হয়তো আমাদের ধারণা নেই। চলুন তাহলে আজ এ বিষয় নিয়ে জানা যাক ডুমুর…

    শেয়ার করুন
  • ব্যায়াম করার সঠিক সময় ও ব্যায়াম করার উপকারিতা!

    ব্যায়াম করার সঠিক সময় => শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে শরীর সুস্থ থাকে। শরীর সুস্থ থাকলে আমাদের মন ভালো থাকে। আর মন ভালো থাকলে সবকিছু ভালো লাগে। এই জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে সুস্থ থাকা সম্ভব। কিন্তু ব্যায়াম করার সঠিক সময় রয়েছে। সঠিক সময়ে ব্যায়াম নাম করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে…

    শেয়ার করুন
  • সাফি সিরাপ এর উপকারিতা

    বর্তমান সময় হামদাদ কোম্পানি অনেক জনপ্রিয়। এই কোম্পানি সকল মানুষের কাছে বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছে। এই কোম্পানির একটি জনপ্রিয় ওষুধ সাফি সিরাপ। সাফি সিরাপ খেলে অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান হয়। বিশেষ করে রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সাফি সিরাপ এর উপকারিতা অনেক। মানব দেহের প্রায় সকল ধরনের সমস্যার সমাধান হয় সাফি সিরাপ খেলে। বিশেষ করে রক্ত ও চর্ম রোগের…

    শেয়ার করুন
  • শাক-সবজির উপকারীতা ও সংরক্ষনের উপায়সমূহ

    শাক-সবজির উপকারীতা ও সংরক্ষনের উপায়সমূহ শাক-সবজির উপকারীতা ও সংরক্ষনের উপায়সমূহ: শাক-সবজি মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। খাবার টেবিলে তরকারী হিসেবে প্রতিদিনের তালিকায় শাক-সবজি থাকা অত্যন্ত জরুরী। আরও দেখুনঃ বিভিন্ন প্রকার ফলের উপকারীতা ও সংরক্ষনের উপায় শাক-সবজি মানুষের দেহের অনেক পুষ্টিকর চাহিদা পূরণ করে। তরকারী হিসেবে শাক-সবজি গ্রহন না করলে মানুষ সুস্থ…

    শেয়ার করুন
  • একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দৈনিক খাদ্যের পরিমাণ

    একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দৈনিক খাদ্যের পরিমাণ বয়সের তারতম্যের উপর ভিত্তি করে মানুষের খাবারের ধরণও পরিবর্তিত হয়। কারণ শৈশব এবং কৈশোরে যে পরিমাণ খাদ্যে শরীর সুন্দরভাবে চলে, সেই পরিমাণ খাদ্যে কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দেহের গঠন সুঠাম থাকবে না। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের যে পরিমাণ খাদ্য প্রয়োজন তা নিম্নে বর্ণিত হল: একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দৈনিক খাদ্যের…

    শেয়ার করুন