খেজুর খাওয়ার নিয়ম? খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুর ফলটি আমরা কম বেশি সকলেই খেতে ভালবাসি। খেজুর গাছ বিশ্বের গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে হয়ে থাকে। বিশেষ করে মরুভূমি অঞ্চলে হয়ে থাকে। খেজুর পাকা এবং শুকনো অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে খেজুর ফল খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। একই সাথে খেজুরের পুষ্টিগুণ অনেক।
খেজুর খাওয়ার নিয়ম? খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা আমাদের প্রয়োজন। কারণ কোন ফল খাওয়ার আগে তার নিয়ম ও গুনাগুন সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে উপকারিতার থেকে অপকারিতা বেশি হয়ে থাকে।
চলুন জেনে নেই, খেজুর খাওয়ার নিয়ম? খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
খেজুরের ইংরেজি কি? । খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুর খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ, খেজুর অনেক মিষ্টি এবং সুস্বাদু ফল। বাচ্চা থেকে বড় সকলের কাছে প্রিয় খেজুর। খেজুরের ইংরেজি কি? অনেকেই জানতে চায়। খেজুরের ইংরেজি হল dates।
খেজুরের নাম কি কি?
খেজুরের স্বাদ এবং গঠনের উপর ভিত্তি করে অনেক জাত রয়েছে। খেজুরের জাত অনুযায়ী খেজুরের ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। নিম্নে, জনপ্রিয় খেজুরের নামগুলো তুলে ধরা হলোঃ
- মেডজুল
- আজওয়া
- মরিয়ম
- সাফাওয়ি
- মুসকানি
- খালাস
- ওয়াসালি
- বেরহি
- শালাবি
- আনবারা
- সাগি
- ডেইরি
- মাবরুম
- ওয়ান্নাহ
- সেফরি
- সুক্কারি
- খুদরি
খেজুরের পুষ্টি উপাদানঃ
খেজুরে প্রায় সকল ধরনের পুষ্টির উপাদান রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরের পুষ্টিমান নিম্নে তুলে ধরা হলো:
ভিটামিনের উপাদান:
ভিটামিন |
পরিমান |
ভিটামিন এ |
১০ আন্তর্জাতিক ইউনিট |
ভিটামিন সি |
০.৪ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন ই |
০.০৫ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন কে |
২.৭ মাইক্রগ্রাম |
ভিটামিন বি৬ |
০.১৬৫ মিলিগ্রাম |
নায়াসিন (বি২) |
১.২৭ মিলিগ্রাম |
ফোলেট (বি৯) |
১৯ মাইক্রগ্রাম |
খনিজের উপাদানঃ
উপাদান |
পরিমাণ |
ক্যালসিয়াম |
৩৯ মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম |
৪৩ মিলিগ্রাম |
লোহ |
১.০২ মিলিগ্রাম |
ম্যাঙ্গানিজ |
০.২৬ মিলিগ্রাম |
পটাশিয়াম |
৬৫৬ মিলিগ্রাম |
ফরফরাস |
৬২ মিলিগ্রাম |
জিংক |
০.২৯ মিলিগ্রাম |
পানি |
২০.৫৩ মিলিগ্রাম |
পুষ্টির উপাদানঃ
উপাদান |
পরিমাণ |
শক্তি |
১,১৭৮ ক্যালরি |
শর্করা |
৭৫.০৩ গ্রাম |
চিনি |
৬৩.৩৫ গ্রাম |
খাদ্য আঁশ |
৮ গ্রাম |
প্রোটিন |
২.৪৫ গ্রাম |
স্নেহ পদার্থ |
০.৩৯ গ্রাম |
খেজুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়? । খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
বাংলাদেশ ও খেজুর গাছ রয়েছে। তবে এসব খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত না। অনেকেই জানতে চাই, খেজুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়? খেজুর গাছ বিশ্বের গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে হয়। কারণ গরম ছাড়া খেজুর ভালো হয় না। যেসব দেশে খেজুর হয় সে সব দেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি।
আরও পড়ুনঃ তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুর চাষের জন্য উপযুক্ত দেশের নাম তুলে ধরা হলো: সৌদি আরব, মিশর, ইরান, আলজেরিয়া, ইরাক, সুদান, পাকিস্তান, ওমান, তিউনিসিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে বর্তমানে বাংলাদেশেও খেজুর চাষ নতুন করে শুরু করেছে।
খেজুর কোথায় বেশি উৎপাদন হয়?
গ্রীষ্মকালীন অঞ্চলে খেজুর চাষের জন্য উপযুক্ত। বিশেষ করে মরুভূমির দেশগুলোতে খেজুরের উৎপাদন ভালো হয়। খেজুর বেশি উৎপাদন হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। খেজুর উৎপাদনের শীর্ষ দেশ মিশর।
মিশর প্রতিবছর ১,১০০,০০০ টন খেজুর উৎপাদন করে। প্রধান খেজুর উৎপাদনকারী দেশগুলোর নাম ক্রমান্বয়ে নিম্ন তুলে ধরা হলো:
- মিশর
- ইরান
- সৌদি আরব
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
- পাকিস্তান
- আলজেরিয়া
- সুদান
- ওয়ান
- লিবিয়া
খেজুরের সর্বোচ্চ দাম কত?
সবচেয়ে দামি খেজুর মেডজুল। এই খেজুর সৌদি আরবে পাওয়া যায়। এ খেজুর দুই ধরনের হয়ে থাকে। বড় আকারের এই খেজুর জাম্বো মেডজুল নামে পরিচিত।
এই খেজুর এক কেজির দাম ১৩০০ টাকা। এর পরের অবস্থানে রয়েছে আজওয়া খেজুর। আজওয়া খেজুর এক কেজির দাম প্রায় ১ হাজার টাকা।
খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়ঃ
খেজুর দিনের যে কোন সময় খাওয়া যায়। তবে রাত্রে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে অনেক উপকারিতা রয়েছে। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস, হৃদয় ও লিভার ভালো রাখতে প্রতিদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন।
সকল করে খেজুর খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়। খেজুর অ্যাফ্রোডিসিয়াক হিসেবে কাজ করে। তবে দিনের যে কোন সময় খেজুর খেতে পারেন। এতে করে কোন সমস্যা নেই।
তবে খাওয়ার আগে খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত খাওয়া না পড়ে। অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে বদ হজম হতে পারে। কারণ খেজুর শুকনো জাতীয় খাবার।
খেজুর খাওয়ার নিয়ম?। খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রতিদিন সকালে খেজুর খাওয়া ভালো। সকাল করে খেজুর খেলে দেহের শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও সকালে ব্যায়াম করার আধা ঘন্টা আগে খেজুর খাওয়া উচিত। এতে করে সহজে শরীরে ক্লান্তি আসে না। এবং খেজুর খাওয়ার পর ব্যায়াম করলে পেট থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ শীতকালীন শাক-সবজির উপকারীতা
রাত্রে ঘুমানোর আগে খেজুর খেতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে সারা দিনে ক্লান্তি খুব সহজেই দূর হয়ে যায়। এবং সকালে শরীর সতেজ থাকে।
এছাড়াও রাত্রে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন। এতে করে অনেক উপকার পাওয়া যায়। যারা চিকন তারা এভাবে খেতে পারেন। এতে করে ওজন বাড়ে।
খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম । খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। খেজুর ভিজিয়ে রেখে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। খেজুর ভিজিয়ে রাখার নিয়ম হচ্ছে দুধে।
রাতের ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের মধ্যে দুইটি খেজুর ছোট ছোট করে কেটে রাখুন। সকালে দেখবেন দুধের স্বাদ মিষ্টি হয়ে গেছে।
এভাবে খেলে অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যারা শারীরিকভাবে দুর্বল তারা নিয়মিত খেজুর ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। এতে করে খুব সহজে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়ে যায়।
খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতাঃ
সকল কিছুর উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। ঠিক একই ভাবে খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। তবে খেজুরের মধ্যে কোন ধরনের খারাপ পদার্থ নেই। খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
খাবার খাওয়ার কম-বেশির কারণে খেজুরের অপকারিতা হয়ে থাকে। খেজুরের অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- শরীরের শক্তি বাড়ায়।
- ওজন বাড়ানোর জন্য কার্যকরী।
- হাড় শক্তিশালী করে।
- যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি বাড়ায়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
- হার্টের সমস্যা দূর করে।
- বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
খুরমা খেজুরের উপকারিতা । খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুর এবং খুরমা খেজুরের উপকারিতা একই। কারণ খেজুর শুকিয়ে খুরমা খেজুর তৈরি করা হয়। খুরমা খেজুরে খেতে শক্ত হয়। তবে খুরমা খেজুরের তুলনায় মিষ্টি হয়ে থাকে। খুরমা খেতে হয় ভিজিয়ে রেখে।
এতে করে খেজুরের সম্পূর্ণ গুনাগুন পাওয়া যায়। খেজুর অনেক দিন সংরক্ষণ করে রাখার জন্য খুরমা করে রাখা হয়।
আজওয়া খেজুরের উপকারিতা: খেজুর খাওয়ার নিয়ম?
আজওয়া খেজুরের উপকারিতা অনেক। প্রাচীনকাল থেকে আজও খেজুরের সুনাম রয়েছে। আজওয়া খেজুর খেলে হৃদরোগের সমস্যা নিরাময় হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং খুব সহজে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। এছাড়াও বিষ ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে আজওয়া খেজুরে।
মরিয়ম খেজুরের উপকারিতা । খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
মরিয়ম খেজুরের উপকারিতা অনেক। সকলকে খেজুরের তুলনায় মরিয়ম খেজুরের গুনাগুন বেশি। মরিয়ম খেজুর বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। অন্য খেজুরের তুলনায় খেজুরের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে। নিম্নে, মরিয়ম খেজুরের উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
- মরিয়ম খেজুর স্নায়ুবিক বৃদ্ধি করে।
- শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করে।
- গ্লুকোজ এর ঘাটতি পূরণ করে।
- ডায়েটরি ফাইবার যা কলেস্টোরেল থেকে মুক্তি দেয়।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- পাতলা পায়খানা বন্ধ করে।
- নারীদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
পুরুষদের জন্য খেজুরের উপকারিতাঃ
খেজুর অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল। এই ফল খেলে খুব সহজে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এবং নিয়মিত খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়। এই কারণে পুরুষদের জন্য খেজুরের উপকারিতা অনেক।
কারণ পুরুষদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। এবং দিন শেষে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তবে খেজুর খেলে খুব সহজে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
আরও পড়ুনঃ ফালুদা প্রস্তুত প্রণালী
এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও নিয়মিত খেজুর খেলে পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। এই কারণে যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ডাক্তারেরা খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতাঃ
দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। দুধু ও খেজুর একসাথে খেলে সকল ধরনের পুষ্টির উপাদান পাওয়া যায়। কারণ দুধ একটি সুষম খাদ্য। সকল ধরনের ভিটামিনের উপাদান রয়েছে দুধে। এর পাশাপাশি খেজুরও অনেক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ ফল।
তবে দুধ ও খেজুর খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। রাত্রে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের সাথে দুই থেকে তিনটি খেজুর কেটে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবং সেটা সকালে খালি পেটে যেতে হবে। এতে করে সকল ধরনের শারীরিক সমস্যা দূর হয়। কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
সকাল বেলা খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়? । খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুর দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যায়। তবে সকাল বেলা খালি পেটে খেজুর খেলে অনেক ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। কারণ, সকালে আমাদের পেট ফাঁকা থাকে। যার কারণে খেজুর খেলে খুব ভালোভাবে হজম হয়ে যায়। যার কারণে পেটে থাকা ব্যাকটেরিয়া খেজুর ধ্বংস করে।
এবং খেজুরের সকল উপাদান পাওয়া যায়। এছাড়াও খেজুরে চর্বি থাকে না। সকালে খেজুর খেলেও চর্বি বৃদ্ধি পায় না। তবে শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত খাওয়া না পড়ে।
গর্ভবতী অবস্থায় খেজুর খেলে কি হয়?
গর্ভবতী নারীদের খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বিশেষ করে খাবারের ক্ষেত্রে। কারণ, গর্ভবতী নারীদের সঠিক সময় সঠিক খাবার না খেলে নিজ এবং বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়ে। এই কারণে পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। গর্ভবতী অবস্থায় সবচেয়ে ভালো ফল হচ্ছে খেজুর।
খেজুর খেলে বাচ্চার শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পায়। এবং স্মৃতিশক্তি অনেক শক্তিশালী হয়। তাই নিয়মিত খেজুর খাওয়া গর্ভবতী অবস্থায় উত্তম। তবে অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া যাবেনা। কারণ এতে করে বদহজম হতে পারে।
খেজুর খেলে কি বীর্য ঘন হয়? খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুরে প্রায় সকল ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। খেজুর খেলে পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। কারণ খেজুর খেলে বীর্য ঘন হয়। যাদের বীর্য পাতলা তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে বীর্য ঘন হয়। এছাড়াও পুরুষের যৌন কামনা বৃদ্ধি পায়। এ কারণে বিবাহিত পুরুষদের নিয়মিত খেজুর খাওয়া উত্তম।
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত । খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুর অনেক উপকারী একটি ফল। এ কারণে অনেকে খেজুর খেয়ে থাকে। তবে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত অনেকেই জানে না। দিনে ৪ থেকে ৫ টি খেজুর খাওয়া উত্তম। এতে করে খেজুরের সকল গুণাগুণ পাওয়া যায়। কারণ ১০০ গ্রাম খেজুরে ২৭৭ ক্যালোরি থাকে।
এই কারণে অতিরিক্ত খেজুর খেলে খুব সহজেই ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ খেজুর অনেক মিষ্টি এবং সুস্বাদু ফল। তাই অনেকে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে। একজন সুস্থ মানুষ সর্বোচ্চ দিনে চার থেকে পাঁচটি খেজুর খাওয়া উত্তম।
খেজুর খাওয়ার অপকারিতাঃ
সকল কিছুর উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে। ঠিক একই ভাবে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। তবে খেজুরে কোন ধরনের ক্ষতিকার উপাদান থাকে না। যা খেয়ে মানুষের অপকার হবে।
খেজুর খাওয়ার অপকারিতা হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ এবং নির্দিষ্ট সময় না খাওয়ার কারণে। খেজুরের
অপকারিতা নিম্ন তুলে ধরা হলো:
- অতিরিক্ত মাত্রায় খেজুর খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়।
- অতিরিক্ত খেজুরের ছেলে কিডনির সমস্যা হয়। কারন খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।
- অতিরিক্ত খেজুর খেলে বদহজম হয়।
- খেজুরে এলার্জি থাকলে খেজুর খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
শেষ কথা: খেজুর খাওয়ার নিয়ম? খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুর অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টি সম্পন্ন একটি ফল। ভিটামিনের প্রায় সকল ধরনের উপাদান খেজুরে রয়েছে। তবে খেজুর খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অতিক্রম করে খেলে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে।
তাই সম্পূর্ণ দিক ভেবে খেজুর খেতে হবে। খেজুর খাওয়া প্রতিটা মানুষের জন্য উত্তম। কারণ খেজুর খেলে কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ফেসবুকে ফলো করুন এখানে ক্লিক করে।