কিডনির পাথর দূর করার উপায়
মানব দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। একজন মানুষের দেহে দুইটি কিডনি থাকে। কিডনি শরীর থেকে বজ্র পদার্থ অপসারণের কাজ করে। তবে কিডনির অনেক ধরনের রোগ হয়। বিশেষ করে কিডনিতে পাথর হয়। কিডনিতে পাথর হলে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনির পাথর দূর করার উপায় রয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। যার ফলে অনেক কঠিন ও জটিল রোগের চিকিৎসা খুব সহজে করা যায়। নিম্নে, কিডনির পাথর দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কিডনির পাথর কি?
কিডনির পাথর কি? এবং কিডনির পাথর কেন হয়? এসব বিষয়ে অনেক জানতে চাই। কিডনিতে পাথর হয় ইউরোলিথিয়াসিস নামক পদার্থ থেকে। এই পদার্থ ক্যালসিয়াম এবং লবণের সমন্বয়ে গঠিত। কিডনির মধ্যে এই পদার্থ দুইটি একত্র হয়ে শক্ত হয়। এবং আস্তে আস্তে এর আকার বড় হয়।
কিডনির মধ্যের এই শক্ত পদার্থ কিডনির পাথর। অনেক সময় এই পাথর বাহিরে বের হয়ে আসে প্রস্রাবের সাথে। আবার কোন পাথর আকারে অনেক বড় হয় যার কারণে কিডনির মধ্যে থেকে যায়। এই ভাবেই কিডনিতে পাথর হয়।
কিডনিতে পাথর কি রোগ?
কিডনিতে পাথর যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। কিডনি মানুষের শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের করে। এই বজ্র পদার্থের মধ্যে থাকা লবণ এবং ক্যালসিয়াম একত্র হয়ে শক্ত পদার্থ তৈরি হয়। যা কিডনির পাথর নামে পরিচিত। কিডনিতে পাথর একটি রোগ।
সঠিক সময় চিকিৎসা করলে কিডনির পাথর দূর করা যায়। যদি অতিরিক্ত বড় হয়ে যায় তাহলে কিডনির ক্ষতি করতে শুরু করে। এ কারণে কিডনির পাথরের লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে চিকিৎসা করতে হবে।
কিডনিতে পাথর হলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে?
কিডনিতে পাথর হলে অনেক ধরনের শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায়। কারণ কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনি ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। আর কিডনির মধ্যে পাথর হলে কিডনির কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়।
যার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। নিম্নে, কিডনিতে পাথর হলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে? তুলে ধরা হলো:
- পিঠের ডান পাশে এবং বাম পাশে মৃদু ব্যথা হতে পারে।
- প্রস্রাবের রং লাল হতে পারে এবং সাথে রক্ত যেতে পারে।
- প্রস্রাবের সময় প্রস্রাব নালী জ্বালাপোড়া করবে।
- প্রস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত হবে।
- ঘন ঘন প্রস্রাব হবে এবং অল্প পরিমাণে হবে।
- হঠাৎ করে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
- কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসবে।
কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবো?
কিডনিতে পাথর হলে শরীরের মধ্যে অনেক পরিবর্তন দেখা দেয়। কারণ কিডনি আমাদের দেহের ছাঁকনি। কিডনির শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের করে ফেলে। যদি কিডনিতে পাথর হয় তাহলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়। যার কারণে শরীরে বজ্র পদার্থ বেড়ে যায়। এবং শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়।
কিডনিতে পাথর হলে পিঠে দুই পাশে ব্যথা হয়। অনেক সময় তলপেটে ব্যথা হয়। প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া করে। প্রস্রাবের রং লাল অথবা ঘোলাটে হয়ে যায়। অনেক সময় প্রস্রাবে সাথে রক্ত বের হয়। এছাড়াও উপরে কিডনির পাথরের লক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। সেখান থেকে জেনে নিতে পারেন।
কিডনি পাথরের সাইজ:
কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি। কিডনির পাথরের সাইজ অনেক রকমের হয়ে থাকে। যদি কিডনিতে পাথর ছোট আকারের হয় তাহলে প্রস্রাবের মাধ্যমে খুব সহজেই বের হয়ে যায়। তবে যদি কিডনির পাথরের সাইজ ৫ মিলিমিটার হয় তাহলে আর প্রস্রাবের সাথে বের হতে পারে না।
কারণ, ৫ (০.২ ইঞ্চি) মিলিমিটার পাথর অনেক বড় সাইজ থাকে। তবে অনেকের কিডনিতে ৮ মিলিমিটার পাথর হয়ে থাকে। পাথরে কোন নির্দিষ্ট সাইজ নেই। যখন সাইজ বড় হয়ে যায় তখন কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে পেটে তীব্র ব্যাথা শুরু হয়।
কিডনিতে কত বড় পাথর হলে অপারেশন করতে হয়?
বর্তমান সময়ে অনেক মানুষের কিডনির সমস্যা রয়েছে। কিডনির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কিডনিতে পাথর। কিডনিতে পাথর হলে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই কারণে পাথর ভালো করার জন্য সাথে সাথে চিকিৎসা নিতে হয়। অনেকে জানতে চাই, কিডনিতে কত বড় পাথর হলে অপারেশন করতে হয়?
কিডনিতে পাথর হলে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে অপারেশন করা। তবে পাথরের আকারের উপর ভিত্তি করে অপারেশন করতে হয়। এছাড়াও পাথরের অবস্থানের কারণেও অপারেশন করতে হয়। যদি পাথর কিডনি দেয়ালের সাথে আটকে থাকে তাহলে অপারেশন করতে হয়।
কিছু কিছু পাথর হয়েছে যেগুলো প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে আসে। এবং ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে আস্তে আস্তে গলে যায়। যদি পাথরের আকার ৪ মিলিমিটার হয় তাহলে অপারেশন করতে হয়। কারণ এই পাথর খুব সহজে গলানো যায় না।
৪ মিলিমিটার কিডনি পাথর কত বড়
কিডনির পাথরের অনেক সাইজ হয়ে থাকে। তবে সর্বোচ্চ বড় সাইজের পাথর হয়ে থাকে ৬ মিলিমিটার পর্যন্ত। তবে সাধারণ পাথরের সাইজ ২ মিলিমিটার থেকে ৫ মিলিমিটার। এই থেকে বোঝা যায় ৪ মিলিমিটার পাথর আকার অনেকটাই বড়। ৪ মিলিমিটার পাথর অপারেশন ছাড়া কিডনি থেকে বের করা যায় না।
কিডনি পাথর কিডনির কার্যক্ষমতা প্রভাবিত করে:
কিডনি শরীরের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে। শরীরের সম্পূর্ণ রক্ত কিডনি ছাঁকে এবং রক্তে থাকা বজ্র পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। হবে অনেক সময় বজ্র পদার্থগুলো কিডনির মধ্যে আটকে থাকে। এবং আস্তে আস্তে সেটা শক্ত হয়ে পাথরে রূপান্তরিত হয়।
কিডনিতে পাথর হওয়ার ফলে কিডনির মধ্যে জায়গা দখল করে। এবং এর কার্যক্ষমতা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। অনেক সময় পাথরে রাখার বড় হওয়ার কারণে কিডনি কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। এই থেকে বোঝা যায়। কিডনি পাথর কিডনির কার্যক্ষমতা প্রভাবিত করে।
কিডনির পাথর দূর করার উপায়:
বর্তমান সময়ে কিডনির পাথর দূর করার উপায় রয়েছে। যদি পাথরে আকার ছোট হয় তাহলে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পাথর দূর করা যায়। তবে পাথর অনেক বড় হলে তা আর সম্ভব হয় না। কিডনির পাথর দূর করার উপায় নিম্নে তুলে ধরা হলো:
পর্যাপ্ত পানি:
কিডনি ভালো রাখতে পানির বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে প্রস্রাবের সাথে অনেক সময় পাথর বের হয়ে যায়। এছাড়াও মিনারেলস ও নিউট্রেশন গলাতে সাহায্য করে পানি। এই কারণে কিডনির পাথর দূর করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
সাইট্রিক অ্যাসিড:
কিডনিতে পাথর হলে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিক অ্যাসিড গ্রহণ করতে হবে। কারণ কিডনির পাথর তৈরি হয় লবণ এবং ক্যালসিয়ামের সমান নয়। ক্যালসিয়াম এবং লবণ গলাতে সাহায্য করে সাইট্রিক অ্যাসিড। এই কারণে কিডনিতে পাথর হলে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিক অ্যাসিড যুক্ত খাবার খেতে হবে।
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ:
কিডনিতে পাথর হয় ক্যালসিয়াম এবং লবণের সমন্বয়। এ কারণে, অনেকে ধারণা করে কিডনিতে পাথর হলে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেলে কিডনির পাথর খুব সহজে দূর হয়ে যায়। এই কারণে কিডনির পাথর দূর করতে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারে।
শাকসবজি:
কিডনির পাথর দূর করতে শাকসবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে শসা, ক্ষিরা, মোলা এবং লেবু। এসব সবজি পাথর নিরাময় করতে সাহায্য করে। এই কারণে কিডনিতে পাথর হলে এসব খাবার খেতে পারেন।
হোমিও চিকিৎসা:
হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে সকল ধরনের চিকিৎসা করা যায়। হোমিও চিকিৎসা ব্যবস্থা কোন ধরনের অপারেশন করা হয় না। হোমিও ওষুধের মাধ্যমে খুব সহজে কিডনির পাথর গলানো যায়। এই কারণে কিডনির পাথর দূর করার ভালো উপায় হচ্ছে হোমিও চিকিৎসা।
অপারেশন:
কিডনির পাথর দূর করার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে অপারেশন। কারণ কিছু কিছু পাথরে আকার অনেক বড় হয়ে যায়। যার কারণে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ভালো করা যায় না। এই কারণে অপারেশনের মাধ্যমে বের করতে হয়। বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। যার কারণে খুব সহজে কিডনির অপারেশন করা যায়।
কিডনি পাথর অপারেশন খরচ কত?
বর্তমান সময়ে কিডনির অপারেশন করে পাথর বের করা হয়। এটা অনেক ব্যয়বহুল একটি অপারেশন। কিডনির পাথর যন্ত্রের মাধ্যমে বের করা হয়। কিডনির অপারেশন দুই ভাবে করা হয়ে থাকে। এবং এদের খরচ দুই রকম হয়ে থাকে।
এক্সট্রাকর্পোরিয়াল শক ওয়েভ লিথোট্রিপসি: এই প্রক্রিয়ায় অপারেশন করলে খরচ কম হয়। এই অপারেশন ব্যবস্থায় শক ওয়েভ ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে পাথর ছোট ছোট টুকরা করা হয়। এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করা হয়। এর খরচ ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো।
ইউরেটেরোস্কোপি এবং লেজার লিথোট্রিপসি: এই পদ্ধতিতে মূত্রনালী, মূত্রাশয় এবং মূত্রনালীতে ইউরেটারোস্কোপ নামে একটি পাতলা নমনীয় স্কোপ কিডনিতে প্রবেশ করানো হয়। তারপর লেজার শক্তি ব্যবহার করে পাথর ভাঙ্গা হয়। তারপর সম্পূর্ণ পাথর সেখান থেকে অপসারণ করা হয়। এই পথে যেতে অপারেশন করতে ৭০ হাজার থেকে ১.৫ লাখ টাকা খরচ হয়।
কিডনিতে পাথর হলে কি খেতে হবে?
কিডনিতে পাথর হলে খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ খাবারের সমস্যা হলে কিডনির পাথরের আকার বড় হয়ে যাবে। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে পাথর আস্তে আস্তে গলে যায়।
কিডনিতে পাথর হলে ক্যালসিয়াম অক্সালিক অ্যাসিড বা অক্সালেট যুক্ত খাবার খেতে হবে। যথা: কমলালেবু, সরিষার শাক, পেয়ার, কামরাঙ্গা, কলা, অ্যাভোকাডো, কিউই ইত্যাদি বাদ দিয়ে সবকিছু খাওয়া যাবে।
কিডনিতে পাথর হলে কি খাওয়া যাবে না?
কিডনিতে পাথর হলে কিছু কিছু খাবার না খাওয়াই ভালো। এসব খাবার খেলে কিডনি রাখার খুব সহজে বড় হয়ে যায়। এছাড়াও চিকিৎসার সময় সমস্যা হতে পারে। কিডনিতে পাথর হলে কি খাওয়া যাবে না? সেগুলো হল: কমলালেবু, সরিষার শাক, পেয়ার, কামরাঙ্গা, কলা, অ্যাভোকাডো, কিউই।
কিডনির পাথর গলানোর ওষুধ:
কিডনির পাথর খুব জটিল এবং বড় সমস্যা। তবে বর্তমান সময়ে চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনির পাথর গলানো যায়। এছাড়াও অপারেশনের মাধ্যমে খুব সহজে কিডনির পাথর বের করা যায়। অনেকেই জানতে চাই কিডনির পাথর গলানোর ওষুধ। কিডনির পাথর গলানোর ওষুধ পাওয়া যায় হোমিও।
তবে হোমিও ওষুধের নাম ডাক্তারেরা সবাইকে জানাই না। এই কারণে কিডনির পাথর গলানোর ওষুধের নাম জানা যায় না। তবে কিডনির পাথর হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
মূত্রনালীর পাথর দূর করার উপায়:
কিডনিতে পাথর হলেই মূত্রনালীতে পাথর হয়। কারণ কিডনি থেকে পাথর মূত্রনালির মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তবে অনেক সময় পাথরে আকার বড় হওয়ার কারণে মূত্রনালী দিয়ে বের হতে পারে না। তবে কিডনির পাথর দূর করার উপায় গুলোর মাধ্যমে মূত্রনালী পাথর দূর করা যায়।
মূত্রনালীতে পাথর হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। তাহলে খুব সহজে মূত্রনালীর পাথর দূর করা যাবে।
কিডনির পাথর অপসারণের চিকিৎসা পদ্ধতি:
কিডনির অপারেশন অনেক জটিল একটি প্রক্রিয়া। কিডনির অপারেশন করা হয় যন্ত্রের সাহায্যে। কারণ কিডনি মানবদেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনির কোন ধরনের সমস্যা হলে মানুষ মারা যায়। কিডনির পাথর অপসারণের চিকিৎসা পদ্ধতি দুই ধরনের। নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- এক্সট্রাকর্পোরিয়াল শক ওয়েভ লিথোট্রিপসি
- ইউরেটেরোস্কোপি এবং লেজার লিথোট্রিপসি
কিডনি পাথর অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে:
বর্তমান সময়ে কিডনি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে কিডনির পাথর বেশি দেখা দিচ্ছে। তবে অপারেশনের মাধ্যমে কিডনির পাথর বের করা যায়। অনেকে জানতে চাই, কিডনি পাথর অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে।
উপরে কিডনি অপারেশনের খরচের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এক্সট্রাকর্পোরিয়াল শক ওয়েভ লিথোট্রিপসি পদ্ধতির মাধ্যমে কিডনির পাথর অপারেশন করলে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়।
এবং ইউরেটেরোস্কোপি এবং লেজার লিথোট্রিপসি পদ্ধতির মধ্যে কিডনির পাথর অপারেশন করলে ৮০ হাজার ১.৫ লাখ টাকার মত খরচ হয়। তবে সময়ের ব্যবধানে খরচ কম বেশি হতে পারে।
শেষ কথা:কিডনির পাথর দূর করার উপায়
কিডনির পাথর একটি বড় ধরনের সমস্যা। কারণ কিডনি আমাদের শরীরের ছাঁকনি। কিডনি শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের করে দেয়। তবে অনেক সময় কিডনিতে পাথর হয়। যার কারণে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়। তবে বর্তমানে, কিডনির পাথর দূর করার উপায় রয়েছে।
সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে খুব সহজেই কিডনির পাথর দূর করা যায়। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।