বাংলাদেশে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় । সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যাদের মাঝে মাঝে হঠাত করেই লোনের প্রয়োজন পড়ে এবং কিভাবে কোন জায়গা থেকে লোন নেবে সেই মুহূর্তে অনেকে সমস্যায় পড়ে যান। তাই সেই সমস্যা থেকে বাচার জন্য অনেকেই এখন আমাদের বাংলাদেশে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় খুজে বাহির করছেন।
ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে অনেক ধরনের কাগজ পত্রের প্রয়োজন পড়ে এবং তারা দীর্ঘ সময় নিয়ে লোনের প্রক্রিয়া পরিচালনা করে থাকে। তবে অপরদিকে কেউ যদি বাংলাদেশে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় খুজে থাকেন আমাদের এই পোস্ট তাদের জন্য।
আরও পড়ুনঃ আমাদের জিডিপি ছিল পুরো ইউরোপের চেয়েও বেশি
কেননা আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যেমে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো যে কিভাবে খুব সহজেই তেমন কোন সমস্যায় না জড়িয়ে কিভাবে দ্রুত অনলাইন থেকে লোন পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়।
বাংলাদেশে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় গুলো কি কি?
বাংলাদেশে বর্তমানের ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে তুলনা মূলক হারে। পাশাপাশি বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক ব্যাংক এবং মোবাইল ফাইন্যানসিয়াল প্রতিষ্ঠান আছে যারা তাদের গ্রাহকদের লোন দিচ্ছে অনেক সহজেই তাদের অনলাইন লোন সেবার মাধমে।
আর এখন আমরা আপনাদের সাথে বাংলাদেশে এমনই কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম শেয়ার করতে চলেছি, যারা অনলাইনে লোন দেয়। চলুন তাহলে দেরি না করে সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের নাম গুলো জেনে নেওয়া যাক।
- বিকাশ
- ঢাকা ব্যাংক
- প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
- কর্মসংস্থান ব্যাংক
- ব্র্যাক ব্যাংক
- সিটি ব্যাংক
যেভাবে অনলাইনে লোনের আবেদন করবেন
বর্তমানে সকল প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি তৈরী করা হয়ে থাকে এপস। আর তাই গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে যেন গ্রাহকরা লোনের আবেদন করতে পারে, এই জন্য তাদের মোবাইল এপে বা তাদের ওয়েব সাইটে নির্দিষ্ট কিছু অপশন রেখে দেয়ার মাধ্যমে লোনের আবেদন করার সুবিধা রাখে।
এই সমস্ত এপে থাকা অপশন থেকে গ্রাহকগন তাদের চাহিদা মতো লোনের আবেদন করতে পারে। তবে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত নিচে থেকে।
Loan without mortgage in Bangladesh বিকাশ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ
আমরা সকলেই জানি যে জনপ্রিয় একটি মোবাইল ফাইন্যানসিয়াল সার্ভিস হচ্ছে বিকাশ, যারা তাদের মোবাইল এপের মাধ্যমে ঋণ সেবা দিয়ে থাকে। আপনি যদি তাদের একজন রেগুলার ইউজার হয়ে থাকেন তবে আপনি তাদের এই লোন নিতে পারবেন ঘরে বসেই।
এই পর্যায়ে আমরা আলোচনা করবো যে কিভাবে আপনারা বিকাশ মোবাইল এপ থেকে আপনি ঋণ নিতে পারবেন সেই সম্পর্কে।
- #১. বিকাশের অ্যাপে লগইন করুন এবং MORE অপসনে গিয়ে Loan এ ট্যাপ করুন।
- #২. আপনার তথ্য শেয়ার করার অনুমতি প্রদান করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
- #৩. তারপর Take Loan এ ট্যাপ করে পরের ধাপে লোনের পরিমাণ এবং কিস্তির মেয়াদ নির্বাচন করে এগিয়ে যান।
- #৪. আপনি ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ পেতে পারেন এবং আপনাকে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে তা দেখুন, এবং পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
- #৫. লোন সম্পর্কে নির্দেশাবলী এবং নিয়মাবলী পড়ুন এবং “Agree” তে ট্যাপ করুন।
- #৬. লোন নিশ্চিত করতে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন দিন এবং বিকাশের উপর ট্যাপ করে লোন রিকুয়েস্ট সম্পন্ন করুন।
সিটি ব্যাংকের অনলাইনে ঋণ আবেদন
আমরা জানি যে একটি ব্যবসা বড় পরিসরে পরিচালনা করতে হলে পার্টনারশীপে কাজ করতে হয়। আর পার্টনারশীপে কাজ করলে ব্যবসা অনেকাংশে দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যায়। তাই বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক মিলেই বিকাশে লোনের সুবিধা চালু করেছে।
আর এখানে সিটি ব্যাংক রয়েছে বিকাশের সাথে পার্টনারশীপে। তাই আপনাদের মাঝে কেউ যদি সিটি ব্যাংকের অনলাইন লোন নেয়ার কথা ভেবে থাকেন তাহলে তিনি তা বিকাশ থেকে নেয়ার কথা ভাবতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন, মেয়েদের সেফটি পিনের আসল রহস্য
ঢাকা ব্যাংক কতৃক চালু হওয়া অনলাইনে লোন আবেদন (ই-ঋণ)
প্রথম বারের মতো কর্মজীবীদের জন্য ঋণের সুবিধা চালু হয়েছে। কোনো কাগজ পত্র ছাড়া গ্রাহকের তথ্য যাচাই বাছাই করে ১৫ মিনিটের মতো সময় নিয়ে গ্রাহকের ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে লোনের টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে ২০২৩ সালে ঢাকা ব্যাংক ই-ঋণ বা e-loan এপের মাধ্যমে এই সেবা গ্রাহক পর্যায়ে পৌছে দিবে।
কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইনে লোন আবেদন
প্রথমে ব্যাংকের ওয়েব সাইটে লোন এপ্লিকেশন ফর্মে চলে আসতে হবে। লোন এপ্লিকেশন ফর্মে আসার পর যা করবেন তা নিচে তুলে ধরা হলো।
- প্রথমে আপনাকে আপনার প্রজেক্ট এরিয়া সিলেক্ট করতে হবে।
- তারপর আপনার নাম।
- জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার।
- মোবাইল নাম্বার।
- বাবার নাম/ স্পাউসের নাম।
- মায়ের নাম।
- বর্তমান এবং স্থায়ি ঠিকানা দিতে হবে।
- তারপর গ্যারান্টারের নাম।
- তার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার।
- বার্থ ডেট।
- সবার শেষে প্রজেক্ট টাইপ বা প্রজেক্টের নাম সিলেক্ট করতে হবে। লিখা হয়ে গেলে “Submit” অপশনে ক্লিক করে ফর্মটি জমা দিয়ে দিন।
বিকাশ ও সিটি ব্যাংকের লোন দেওয়ার উদ্দেশ্য
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, সবসময় আমরা আমাদের গ্রাহকদের চাহিদার মূল্য দিতে চেষ্টা করি। বাংলাদেশে অনেকের, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হঠাৎ করে টাকার প্রয়োজন হয়।
এই ডিজিটাল লোনের যাত্রা মাথায় রেখে কীভাবে এটি তাদের কাছে আরও সহজলভ্য করা যায় এবং তারা যাতে সেই অর্থ সহজে ব্যবহার করতে পারে। আমরা আশা করি আমাদের এই পাইলট প্রজেক্টে অর্জিত অভিজ্ঞতার উন্নতি ঘটিয়ে গ্রাহকদের জন্য আরও ভালো সেবা দিতে সক্ষম হবে।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিকাশের সিইও কামাল কাদির বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ই-সেবা ব্যবহার করে সৃজনশীল নতুন সেবা চালু করতে পারে।সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল লোন স্কিম এর একটি উদাহরণ। আমরা বিশ্বাস করি, জরুরী পরিস্থিতিতে এই অনিরাপদ ঋণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, তরুণ-তরুণী, প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে থাকবে।
অনলাইন লোন নিয়ে প্রশ্ন এবং উত্তর
জামানত ছাড়া কি অনলাইনে লোন পাওয়া যাবে?
এমন অনেক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে কোনো আমানত না নিয়েই অনলাইনে লোন দিয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি তো আমি এই পোস্টেই উল্লেখ করলাম।
কোন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন লোন নেয়া সুবিধাজনক?
আপনি হয়তো সব প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নাও পেতে পারেন বা যোগ্য নাও হতে পারেন তাদের চাহিদা অনুযায়ি। তাই আপনার উচিত হবে মুটামুটি যে প্রতিষ্ঠান গুলোর তথ্য নেয়া এবং নিজের জন্য কোনটা পারফেক্ট তা বাছাই করা।
শেষকথাঃ বাংলাদেশে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়
আপনারা আশা করি আমাদের এই পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ে থাকলে বাংলাদেশে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পেয়ে গেছেন। এই ধরনের নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ফুলকলি ব্লগের সাথেই থাকুন।
আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি গুলো আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে এই সম্পর্কে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিতে পারেন।