অনগ্রসরতা দূর করার উপায় (Remedy of Backwardness):
অনগ্রসরতা অনগ্রসরতা দূর করতে হলে দুই ধরনের পন্থা অবলম্বন করতে হবে। যথা-
ক. নিরাময়মূলক পন্থা ও
খ. প্রতিরােধমূলক পন্থা।
ক. নিরাময়মূলক পন্থা:
প্রথমতঃ দেখতে হবে শিক্ষার্থীর অনগ্রসরতার প্রকৃত কারণটি কী এবং সেই কারণটি দূর করাই শিক্ষার্থীর অনগ্রসরতা দূর করার প্রকৃষ্ট উপায়।
যেমন- যদি দেখা যায় যে, শারীরিক অসুস্থতা, ইন্দ্রিয়জনিত দুর্বলতা বা প্রলক্বিত ব্যাধির জন্য অনগ্রসরতা সৃষ্টি হয়েছে, তাহলে ঐ বিশেষ কারণটি দূর করলেই শিক্ষার্থীর অনগ্রসরতাও দূর হয়ে যাবে। সেই রকম যদি অনুপযােগী পাঠ্যক্রম, প্রতিকূল পরিবেশ বা কোন বিশেষ ঘটনা জনিত বিরাগ প্রভৃতি কারণে শিক্ষার্থীর মধ্যে অনগ্রসরতার সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে ঐ কারণটি দূর করাই হলাে অনগ্রসরতা নিরাময়ের প্রধান উপায়।
যে সব ক্ষেত্রে প্রক্ষোভজনক প্রতিরােধ থেকে অনগ্রসরতার সৃষ্টি হয়, সেই সব ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর মন থেকে এ প্রতিরােধ দূর করতে হবে। পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেযণের সাহায্যে শিক্ষার্থীর প্রক্ষোভমূলক প্রতিরােধের কারণটি খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই কারণটি দূর করলেই শিক্ষার্থীর মন থেকে প্রক্ষোভমূলক বিরূপতাও দূরীভূত হবে।
উদাহরণস্বরূপ- যদি কোন শিশুর বিদ্যালয় কিংবা শিক্ষকমণ্ডলী কিংবা লেখাপড়ার প্রতি মনে ঘৃণা, ভয় বা বিরাগের সৃষ্টি হয়, তাহলে তার মন থেকে ঐ বিরূপ প্রক্ষোভটি দূর করতে পারলে শিক্ষার প্রতি তার অনুকূল মনোভাব ফিরে আসবে।
সাধারণভাবে শিক্ষার্থীরা যাতে লেখাপড়ায় অনগ্রসর হয়ে না ওঠে সেজন্য নিচের প্রতিরােধমূলক পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
১. উন্নত গৃহ পরিবেশ: শিশুর গৃহ পরিবেশ সমুন্নত করা দরকার। গৃহ পরিবেশ উন্নত হলে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য বজায় থাকবে এবং তার ফলে শিশুর মধ্যে অনগ্রসরতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা অনেক কম হবে।
২. মনােবৈজ্ঞানিক শিখন পদ্ধতি প্রবর্তন: শিখন পদ্ধতি আধুনিক ও মনােবিজ্ঞান সম্মত হলে অনগ্রসরতা অনেকাংশে প্রতিরােধ হয়।
৩. পাঠ্যক্রমের আধুনিকীকরণ: পাঠ্যক্রমটিকে শিশুর সামর্থ্য ও চাহিদা অনুযায়ী গড়ে তােলা অনগ্রসরতা রােধ করার জন্য বিশেষভাবে প্রয়ােজন।
8. সমাজধর্মী বিদ্যালয় পরিবেশ: বিদ্যালয়ের পরিবেশকে সমাজধর্মী এবং শৃঙ্খলার উপর প্রতিষ্ঠিত করা অনগ্রসরতা প্রতিরােধের একটি কার্যকর উপায়।
৫. প্রক্ষোভমূলক সমতা: শিক্ষার্থীর মধ্যে যাতে প্রক্ষোভমূলক সমতা বজায় থাকে তার জন্য যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৬. স্বাস্থ্য পরীক্ষার আয়ােজন: শিক্ষার অগ্রগতি শিক্ষার্থীর দৈহিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভরশীল। সেজন্য শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষণের আয়ােজন রাখা বিদ্যালয়ের কর্মসূচির অপরিহার্য অঙ্গ হওয়া উচিত।
৭. বিশেষ সাহায্য প্রদান: বিদ্যালয়ে দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষার্থী কোন পাঠ্য বিষয়ে অনগ্রসর হয়ে পড়লে তার অপঠিত অংশ পূরণের জন্য তাকে বিশেষ ও স্বতন্ত্রভাবে সাহায্য দানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. ইন্দ্রিয়জনিত ক্রটির চিকিৎসা: শিক্ষার্থীর কান শারীরিক বা ইন্দ্রিয়জনিত ক্রটি থাকলে অবিলম্বে তার চিকিৎসা করে তা দূর করার ব্যবস্থা করা দরকার।
আরো জানুন, অনগ্রসরতা দূর করতে একজন শিক্ষকের কি কি ভূমিকা থাকতে পারে।
লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধি করার উপায়সমূহ মনােযােগ দেওয়ার কাজটি বিশ্লেষণ করলে আমরা কতকগুলাে উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্যের সন্ধান পাই। মনােযােগ একটি ইচ্ছামূলক প্রক্রিয়া ও আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে যে কোন একদিকে মনােযােগী হই। এই মানসিক প্রক্রিয়াটিকে একটি বিশেষ দিকে চালিত করতে হয়। এই প্রক্রিয়া চেতনাকে বস্তুর উপর কেন্দ্রীভূত করে বস্তুর ধারণাকে সুস্পষ্ট করে। আরও দেখুনঃ জেনে নিন, লেখাপড়ায় কিভাবে মনোযোগ…
আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা কিনা পড়াশুনা করতে অনেক বেশি মনযোগী এবং সময় পেলেই বিভিন্ন সাধারণ জ্ঞান- বিজ্ঞান বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর বা বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন ও উত্তর ইত্যাদি খুজে থাকেন। আর তাই আপনাদের কথা মাথায় রেখে আমরা এখানে নিয়মিত সাধারন জ্ঞান বা বিভিন্ন বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রশ্ন ও উত্তর সংযুক্ত করছি। আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের…
শিশুর শারীরিক ও অঙ্গ সঞ্চালনের বিকাশ: আজকের শিশু মনােবিজ্ঞানীরা শিশুর দৈহিক বৃদ্ধিকে বেশ গুরুত্ব দেন। মানব শিশুর দেহের ও মনের মধ্যে একটি নির্ভরযোগ্য সম্পর্কের কথা মনােবিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেন এবং এটাও সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে যে, মানসিক আবেগ ও সামাজিক প্রবণতায় শারীরিক বৈশিষ্ট্য বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। এমনকি শিশুর লেখাপড়ার প্রস্তুতিতেও দেহের কিছু কিছু অঙ্গের…
মানসিক বিকাশ (Mental Development): বিধাতার সৃষ্টির মধ্যে একমাত্র মানুষই সর্বাধিক মানসিক শক্তির অধিকারী। মানুষই একমাত্র প্রাণী যে মানসিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য আত্মনিয়ােগ করে। বিদ্যালয়ে মানুষ যে শিক্ষালাভের চেষ্টা করে, তা প্রধানত মানসিক উৎকর্ষ সাধনের শিক্ষা। জন্মের পর থেকেই শিশু তার নানা আচরণের মধ্য দিয়ে তার মানসিক বিকাশের পরিচয় দিতে থাকে। মানব শিশু ধীরে ধীরে বিভিন্ন…
অনগ্রসর শিক্ষার্থী কারা, অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের বৈশিষ্ট্য অনগ্রসর শিক্ষার্থী: যে সব শিক্ষার্থী তাদের সহপাঠীদের চেয়ে বুদ্ধিমত্তা এবং লেখাপড়ায় আগে থেকেই পশ্চাৎপদ হয়ে আছে, তাদেরকেই অনগ্রসর শিক্ষার্থী বলে। অর্থাৎ, যে সব শিক্ষার্থীর শ্রেণী উপযােগী গড় বয়স কমপক্ষে এক বছরের বেশি, কিন্তু শিক্ষায় বা বুদ্ধিমত্তায় কম কৃতিত্ত্ব অর্জন করে, তাদেরকেই অনগ্রসর শিক্ষার্থী হিসেবে অভিহিত করা হয়। অনগ্রসর শিক্ষার্থীরা…
মানুষ নিজের স্বাথের জন্য অন্যকে বশীকরণ করে থাকে। বশীকরণ করলে মানুষকে নিজের ইচ্ছায় পরিচালনা করা যায়। এই সব মানুষ প্রাচীন কাল থেকে করে আসছে। বর্তমান সময়ে গ্রামে মানষেরা বশীকরণ করে। বশীকরণ কি সত্যি কাজ হয়? অনেকে জানতে চায়। বশীকরণ সবচেয়ে বেশি করে থাকে ভারতের মানুষেরা। তারা তন্ত্র-মন্ত্র নিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে অনেক সাধু রয়েছে। সাধুরা মূলত বশীকরণ…