অনগ্রসরতা দূরীকরনে একজন আদর্শ শিক্ষকের দায়িত্ব

অনগ্রসরতা দূরীকরনে একজন আদর্শ শিক্ষকের দায়িত্ব

অনগ্রসরতা দূরীকরনে একজন আদর্শ শিক্ষকের দায়িত্ব

অগ্রসরতা ও শিক্ষকের দায়িত্ব (Backwardness and Teacher’s Responsibilities):

শিশুর মধ্যে সামগ্রিক বা বিষয়গত যে কোন ধরনের অনগ্রসরতাই হােক না কেন, শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব হবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার নিজস্ব ক্ষমতা অনুযায়ী জ্ঞান আহরণে সহায়তা করা এবং তারা যাতে তাদের মানসিক ক্ষমতা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের কাজে পারদর্শিতা অর্জন করে সে বিষয়ে নজর রাখা। এই উদ্দেশ্যে শিক্ষক নিম্নলিখিত কৌশলগুলাে অবলম্বন করতে পারেন।অনগ্রসরতা দূরীকরনে একজন আদর্শ শিক্ষকের দায়িত্ব

আরও দেখুনঃ একজন আদর্শ শিক্ষকের কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার

১.অনগ্রসরতার ক্ষেত্র নির্ধারণ:

শিক্ষককে শিক্ষার্থীর অনগ্রসরতার ক্ষেত্রটি নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে অনগ্রসর তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা প্রয়ােজন। এই নির্ণয়ের জন্য তিনি বিভিন্ন ধরনের আদর্শায়িত অভীক্ষার সাহায্য নেবেন। এবং ঐ অভীক্ষাগুলাে নিয়মিত বিদ্যালয়ে প্রয়ােগ করবেন।

২.অনগ্রসরতার কারণ নির্ধারণ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ:

শিক্ষার্থীর অনগ্রসরতা প্রমাণিত হলে শিক্ষকের পরবর্তী কাজ হবে সেই অনগ্রসরতার কারণ খুঁজে বের করা। যদি অনগ্রসরতা মানসিক ক্ষমতার স্বল্পতার জন্য না হয়, তবে কী কারণে হয়েছে তা শিক্ষককে নির্ণয় করতে হবে।

আরও দেখুনঃ একজন ছাত্রের অনগ্রসরতা দূর করার উপায়সমূহ

এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য শিক্ষক নিম্নলিখিত নীতিগুলাে অনুসরণ করবেন-

ক) অনগ্রসর শিশুদের কাজের চাপ হ্রাস করতে হবে। তারা যতটুকু কাজ পারে ততটুকু তাদের জন্য নির্ধারণ করতে হবে ।

খ) তাদের মধ্যে প্রেষণা সঞ্চারের জন্য যথাযােগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গ) শিশুদের বােধগম্যতার অভাব থাকলে তা দূর করার জন্য বেশি পরিমাণে শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করতে হবে।

ঘ) শিশুদের বিষয়বস্তু অনুধাবনে ঠিক কোন জায়গায় অসুবিধা, তা নির্ধারণ করে তাদের জন্য সংস্কারমূলক শিখনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ঙ) শিক্ষক অনগ্রসর শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি নির্বাচন করবেন।

চ) দৈহিক কারণে যেসব শিশুদের মধ্যে অনগ্রসরতা দেখা যায় তাদের সহায়তা করার জন্য শিক্ষক তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।

আরও দেখুনঃ একজন ছাত্রের অনগ্রসর হওয়ার কারনঅনগ্রসর শিক্ষার্থী কারা, অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের বৈশিষ্ট্য

৩.পিতামাতার সাহায্য গ্রহণ:

পারিবারিক কারণে অনেক সময় অনগ্রসরতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে অনগ্রসরতা দূর করার জন্য পিতামাতার সাহায্য নিতে হবে। সবশেষে শিক্ষককে একটি কথা মনে রাখতে হবে, অনগ্রসরতা কোন অস্থায়ী ও সময়ভিত্তিক সমস্যা নয়, যে কোন সময়ে কোন শিশু অনগ্রসর হয়ে পড়তে পারে। তাই একবার সমস্যার সমাধান করলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। এ ব্যাপারে তাকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে এবং যখনই সমস্যার উদ্ভব হবে তখনই যথাযােগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শেয়ার করুন

Similar Posts

5 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *