ভেরিকোসিল কি? ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
ভেরিকোসিল রোগটি অনেক পুরাতন। তবে বর্তমান সময়ে অনেকের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটা তেমন জটিল রোগ না। সঠিক চিকিৎসা করলে খুব সহজেই এ রোগ ভালো করা যায়। অনেকেই প্রশ্ন করে, ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।
বর্তমান সময়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যার ফলে খুব সহজেই সকল রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। ভেরিকোসিল হলে কোনভাবেই দেরি করা যাবে না। দেরি করলে অনেক ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ, এই রোগটি হলে অন্ডকোষে ব্যথা হয়।
অনেকদিন যাবত সমস্যাটি থাকলে শুক্রানুর পরিমাণ কমে যায়। যাতে করে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। চলুন জেনে নেই, ভেরিকোসিল এর সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে ।
ভেরিকোসিল কি? । ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
ভেরিকোসিল রোগের কারণ
- যক্ষা বা টিবি রোগ হলে।
- কোনভাবে অন্ডকোষে আঘাত লাগলে।
- বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়।
- যৌন উত্তেজনার ওষুধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
- ভারী জিনিস তুললে।
- অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে।
- অনেকদিন যাবত দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করলে।
- অতিরিক্ত গরম পরিবেশে থাকলে।
ভেরিকোসিল এর লক্ষণ । ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
- টেস্টিসের উপরের শিরাতে টক্সিক রক্ত জমে এবং শিরা গুলি ফুলে ওঠে।
- টেস্টিসের উপরের শিরাতে টক্সিক রক্ত জমে এবং কালো হয়ে যায়
- অন্ডকোষের শিরা গুলো পেঁচিয়ে যায়।
- অন্ডকোষে অনেক ব্যথা হয়।
- অন্ডকোষ নিচের দিকে ঝুলে যায়।
- অন্ডথলি ফুলে যায়।
- মাঝে মাঝে তলপেটে ব্যথা করে।
- ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
- পুরুষাঙ্গে ব্যথা হয়।
- পায়ুপথে মাঝে মাঝে ব্যথা হয়।
- পুরুষাঙ্গ শক্ত হয় এবং অনেক সময় বেঁকে যায়।
ভেরিকোসিল রোগের চিকিৎসা । ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
ভেরিকোসিল এর এলোপ্যাথিক ঔষধ
বর্তমান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে। আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সকল ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে। একইভাবে খুব সহজেই ভেরিকোসিল এর এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করা সম্ভব। ভেরিকোসিল সার্জারির মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব হচ্ছে।
অনেক সময় অপারেশন করার পরও এই সমস্যা পুনরায় সৃষ্টি হয়। এই সমস্যার সমাধানের জন্য পুনরায় এলোপ্যাথিক মতে চিকিৎসা করতে হয়। এলাপ্যাথিক চিকিৎসায় কোন ভুল হলে সারা জীবনের জন্য দুর্ভোগ বয়ে নিয়ে চলতে হয়। তাই চিকিৎসার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ভেরিকোসিল এর হোমিওপ্যাথি ঔষধ । ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে সকলের ভালো ধারণা রয়েছে। এই চিকিৎসা ব্যবস্থা কোন ধরনের অপারেশন করতে হয় না। ওষুধের মাধ্যমে সকল জটিল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়। কিন্তু এই চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেক সময় লাগে। সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারলে সম্পূর্ণভাবে রোগ নিরাময় হয়।
আরও পড়ুনঃ কৃমির ঔষধ এর নাম কি । কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো
ভেরিকোসিল এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করলে খুব সহজে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় লাগে। একবার ভালো হলে আর নতুন করে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ভেরিকোসিল এর হোমিওপ্যাথি ঔষধ অনেকদিন যাবত খেতে হয়। এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে খাবারের আগে।
ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না
ভেরিকোসিল সমস্যাটি অনেক জটিল। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না। এই সমস্যাটি হলে বাচ্চা হবে। কিন্তু সঠিক সময় চিকিৎসা করতে হবে। অনেকে ভয়ে চিকিৎসা করে না। এর ফলে আস্তে আস্তে সমস্যা বেড়ে যায়। সমস্যা বেড়ে গেলে ছেলেদের বীর্য শুক্রানুর পরিমাণ কমতে থাকে।
এই সমস্যাটি দীর্ঘদিন থাকলে বাচ্চার সম্ভাবনা কমে যায়। অনেক সময় অনেকের হয় না। তবে সঠিক সময় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিলে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব এই রোগের চিকিৎসা করা উত্তম।
ভেরিকোসিল সারতে কতদিন লাগে । ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
ভেরিকোসিল দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে এই সমস্যার সমাধান দ্রুত যত করা যায় তত ভালো। অনেকে জানতে চাই, ভেরিকোসিল সারতে কতদিন লাগে। এই প্রশ্নের উত্তর নির্দিষ্ট ভাবে দেওয়া সম্ভব না। কারণ, চিকিৎসার ধরনের উপর নির্ভর করে কত সময় লাগবে।
এলোপ্যাথিক মতে চিকিৎসা করলে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে সম্পূর্ণভাবে ভালো হতে। কোন সমস্যা হলে একটু বেশি সময় লাগতে পারে। আগেই বলেছি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অনেক সময় সাপেক্ষ। এই চিকিৎসা কোনভাবেই দ্রুত গতিতে করা সম্ভব না।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কত
কারণ, এই চিকিৎসা ব্যবস্থা কোন রোগীকে অপারেশন করা হয় না। সম্পূর্ণ চিকিৎসা করা হয় ওষুধের মাধ্যমে। এজন্য এই চিকিৎসায় অনেক সময় লাগে।
ভেরিকোসিল এর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার । ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
ভেরিকোসিল হওয়ার ফলে শিরা গুলির সমস্যা হয়। শিরার মধ্যে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্য। যাতে করে অন্ডকোষ এবং এবং পুরো পুরুষ প্রজনন পুষ্ট করা যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্ভিজ্জ প্রোটিন এবং তেল ভিটামিন ই অত্যন্ত জরুরী।
এসব ঘাটতি পূরণের জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় আরো সবুজ শাকসবজি এবং ফল রাখতে হবে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ বাদাম খেতে হবে। তাহলে শিরা গুলো ফসল হবে। এবং অন্ডকোষের ব্যথা কমবে। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি যত দুটা সম্ভব চিকিৎসা নিতে হবে।
কারণ, চিকিৎসা ছাড়া কোন খাদ্যের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। চিকিৎসা নিতে যত দেরি করবেন আপনার তত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা।
শেষ কথা: ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
ভেরিকোসিল রোগের কোন ঘরোয়া চিকিৎসা নেই। কারণ এই সমস্যাটি মানুষের ভিতরের। অপারেশন এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মাধ্যমে ভালো করা সম্ভব। তাই অবশ্যই ভেরিকোসিল বসে থাকা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করতে হবে। অনেক সময় দেরি করার ফলে বাচ্চা হওয়ার ক্ষমতা হারাতে হয়।
ভেরিকোসিল সমস্যাটি সাধারণ মনে হল অনেক জটিল। অনেকের মধ্যে এই সমস্যা রয়েছে। ভেরিকোসিল হলে কোন ধরনের লজ্জা না করে এর চিকিৎসা করা জরুরী। যাতে করে আপনার ভবিষ্যৎ সুন্দর হয়। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন। ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ফুলকোলি ব্লগকে ফলো করুন।