কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা
|

আসুন জেনে নেই, কিসমিসের রহস্যজনক উপকারীতা

আসুন জেনে নেই, কিসমিসের রহস্যজনক উপকারীতা

কিসমিসের উপকারীতা
চিত্র: কিসমিসের উপকারীতা।

খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়?

কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত ​​পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই।

আরও দেখুনঃ জেনে নিন, মেয়েদের সেফটি পিনের আসল রহস্য

এছাড়া কিসমিস হৃদয় ভালো রাখে। নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল। কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ আছে। আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা সহজে রোগমুক্তির কারণ। আর আছে প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।

ভেজানো কিসমিসের উপকারিতা:

কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় সারারাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেটা খান। ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। তাছাড়া এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের কোনও ক্ষতি করে না।

হাই ব্লাডপ্রেসারের সমস্যা থাকলেও এটি তা নিয়ন্ত্রণে রাখে। একই ভাবে কিসমিস ভেজানো পানিও শরীরের পক্ষে উপকারি।

আরও দেখুনঃ শাক-সবজির উপকারীতা ও সংরক্ষনের উপায়সমূহ

১. ব্লাড প্রেসার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি কিসমিস। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার বশে রাখে।

২. রক্ত স্বল্পতা কমায় রক্ত স্বল্পতা কমাতে কিসমিস যথেষ্ট উপকারি। নিয়মিত খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

৩. হজমশক্তি বাড়ায় সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন দিন পনেরো পরেই।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়াতে চান তবে ভেজা কিসমিস এবং তার জল নিয়মিত খান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৫. বিষমুক্ত শরীর শরীরকে দূষণমুক্ত করতে কিসমিস খান নিয়মিত। চারিদিকের দূষণে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানিও খেতে পারেন।

৬. কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিসমিস খান। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান তাঁরা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখতে পারেন।

উপরের আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, কিসমিস মানুষের শরীরে এক অভাবনীয় পুষ্টি পূরণ করে থাকে। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ উপরে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী, নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমান কিসমিস গ্রহন করা।

“স্বাস্থ্যই সম্পদ, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল”।

আমাদের সাথেই থাকুন, আরো জানুন ,বিভিন্ন প্রকার ফলমূলের উপকারীতা ও বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির উপকারীতা।

শেয়ার করুন

Similar Posts

  • ঘি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

    ঘি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা: ঘি একটি প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার। এটি সহজে হজমযোগ্য চর্বি। ঘি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। ঘি অনেক উপকারী একটি খাবার। তাই ঘি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ প্রতিটি খাবারের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে। ঘি তৈরি হয় দুধ থেকে। ঘি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। এছাড়াও রান্নার কাজে ঘি ব্যবহার করা হয়। রান্না সময়…

    শেয়ার করুন
  • দেহে খাদ্য উপাদানের কাজ

    খাদ্য উপাদান ১. প্রোটিনের কাজ: প্রােটিন জীবিত প্রাণী, উদ্ভিদ ও অনুজীবের দেহের অপরিহার্য উপাদান। পিত্তরস ছাড়া মানব দেহের প্রতিটি কোষে এবং দেহতরলে প্রােটিন প্রতিনিয়ত গঠন ও ক্ষয়পূরণের কাজ করে। শারীরিক পরিশ্রমের জন্য প্রােটিন দেহে তাপও উৎপন্ন করে। রক্তরসের রােগ প্রতিরােধকারী এন্টিবডি প্রােটিন দিয়ে তৈরি। প্রোটিনের উৎস: চিনাবাদাম, অন্যান্য বাদাম, সয়াবিন, মসুর ডাল, মুগ ডাল, ছােলার…

    শেয়ার করুন
  • গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা / ৩ মাসের গর্ভবতী লক্ষণ

    গর্ভধারণ একজন মেয়ের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় আনন্দ, উদ্বেগ, শঙ্কা ইত্যাদি নানা অনুভূতি মিলে আচ্ছন্ন থাকে গর্ভবতী মায়ের মন। প্রথমদিকে কিছু বোঝা না গেলেও প্রথম তিন মাস সকল  গর্ভবতী মায়ের কাছে ভীষণ অন্যরকম বলে মনে হয়। নতুন প্রাণীর আগমনের সংবাদ আনন্দিত করে তুলে নতুন মায়ের জীবন। গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা / ৩…

    শেয়ার করুন
  • কিডনি ভালো রাখার উপায়

    কিডনি ভালো রাখার উপায়: মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। মানুষের দেহে দুইটি কিডনি থাকে। কিডনির প্রধান কাজ হচ্ছে রক্ত থেকে বজ্র পদার্থ পৃথক করা। এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের বজ্র পদার্থ বের করে দেওয়া। সাধারণভাবে বলতে গেলে কিডনি আমাদের দেহে ছাঁকুনির মত কাজ করে। মানবদেহ থেকে সকল ধরনের বজ্র পদার্থ বের করে এবং শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক…

    শেয়ার করুন
  • আমলকি খাওয়ার নিয়ম

    আমলকি খাওয়ার নিয়ম: আমলকি অনেক গুনাগুন সম্পূর্ণ একটি ফল। এই ফলটি আকারে ছোট হলেও এর উপকারিতা অনেক। আমলকি খাওয়ার নিয়ম? আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা আজ আমরা জানবো। প্রতিটা ফলের উপকারিতা রয়েছে। তবে আমলকি ভিটামিন সি এর একটি বড় উৎস। প্রতিদিন একটি করে আমলকি খেলে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরর্ণ হয়। এছাড়াও চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার হয়ে থাকে।…

    শেয়ার করুন
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় বা ভিটামিন ই বেশি খেলে কি হয়

    ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এটা অনেকেরই জানা নাই। ভিটামিন ই ক্যাপসুলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। অন্যান্য ভিটামিনের মত ভিটামিন ই এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। ভিটামিন ই  মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বর্তমান সময়ে ভিটামিন ই  রূপচর্চায় ব্যবহার হয়। ভিটামিন ই ক্যাপসুল বর্তমান সময়ে কসমেটিক্স হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল মেয়েরা বেশি…

    শেয়ার করুন