আমলকি খাওয়ার নিয়ম আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা

আমলকি খাওয়ার নিয়ম

আজকের আলোচ্য বিষয়বস্তুঃ

আমলকি খাওয়ার নিয়ম: আমলকি অনেক গুনাগুন সম্পূর্ণ একটি ফল। এই ফলটি আকারে ছোট হলেও এর উপকারিতা অনেক। আমলকি খাওয়ার নিয়ম? আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা আজ আমরা জানবো। প্রতিটা ফলের উপকারিতা রয়েছে। তবে আমলকি ভিটামিন সি এর একটি বড় উৎস।

প্রতিদিন একটি করে আমলকি খেলে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরর্ণ হয়। এছাড়াও চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার হয়ে থাকে। আমলকি খেতে তেমন ভালো লাগে না। তবে খাওয়ার পর মুখ মিষ্টি হয়ে থাকে। নিম্নে, আমলকি খাওয়ার নিয়ম? আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্ক বিস্তারিতো আলোচনা করা হলো।

আমলকির ইংরেজি নাম:

আমলকি একটি মৌসুমী ফল। শীতের সময় আমলকি পাওয়া যায়। আমলকির ইংরেজি নাম ‘Aamla’ বা ‘Indian gooseberry’। আমলকি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হল Phyllanthus emblica। তবে আমলকি ভারতের মানুষের কাছে আমলা নামে পরিচিত।

আমলকিতে কি ভিটামিন পাওয়া যায়?

আমলকি ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। এর সাথে অন্যান্য ভিটামিনের উপাদান রয়েছে। একটি আমলকিতে পেয়ারাও কাগজি লেবুর থেকে ১০ গুণ ভিটামিন সি রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা

আমলকিতে একটি কমলর থেকে ১৫ থেকে ২০ গুন ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও আমলকিতে রয়েছে অনেক পুষ্টির উপাদান। নিম্নে আমলকির উপাদান গুলো তুলে ধরা হলো:

  1. প্রোটিন ০.৯ গ্রাম
  2. আয়রন ১.২ গ্রাম
  3. ক্যালরি ০.৯৬ গ্রাম
  4. ফ্যাট ০.১ গ্রাম
  5. ফাইবার ৩.৪ গ্রাম
  6. কার্বোহাইড্রেট ৬.৯ গ্রাম

আমলকি খাওয়ার নিয়ম?

আমলকি দিনের যে কোন সময় খাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যায় সকালে। প্রতিদিন সকালে আমলকি রস করে অথবা আমলকি ছোট ছোট করে কেটে কুসুম গরম পানিতে দিয়ে খেতে পারেন। এতে করে পেটের সমস্যা থাকলে ভালো হয়ে যায়। 

তবে যে কোন সময় আমলকি খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ আমলকি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। কারণ আমলকিতে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি এসিড থাকে। এই কারণে খালি পেটে খেলে পেটের সমস্যা হয়ে থাকে।

প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত?

ভিটামিন সি এর একটি বড় উৎসব আমলকি। এই কারণে অতিরিক্ত আমলকি খাওয়া ঠিক না। দিনে ১ থেকে ২ টি আমলকি খাওয়া উচিত। এতে করে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।

আমলকি খাওয়ার সঠিক সময়:

আমলকি দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যায়। তবে সঠিক সময় আমলকির উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। আমলকি খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে সকালে। সকালে আমলকি খেলে পাকস্থলী সমস্যা থাকলে দূর হয়ে যায়। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ভালো হয়ে যায়। এই কারণে আমলকি খাওয়ার সঠিক সময় সকালে।

শুকনো আমলকি খাওয়ার নিয়ম:

আমলকি মৌসুমী ফল। এই কারণে আমলকি শুধু শীতকালে পাওয়া যায়। তবে সারা বছর রাখার জন্য অনেকে শুকিয়ে রাখে। শুকনো আমলকি খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানে না। শুকনো আমলকি খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে খাওয়ার আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

বিশেষ করে সকালে খেলে আগের দিন রাত্রে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে আমলকিতে পানি ঢুকে আমলকি নরম হয়ে যায়। ঠিক পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। ভিজে রাখা আমলকি খুব সহজেই খাওয়া যায়। এবং ভিজিয়ে রাখা পানি খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

আমলকি গুড়া খাওয়ার নিয়ম:

আমলকি অনেকে শুকানোর পর গুঁড়ো করে রেখে দেয়। এভাবে আমলকি অনেকদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। গুড়ো আমলকি অনেক ভাবে খাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে, এক গ্লাস পানিতে রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খাওয়া। এতে করে আমলকির সম্পন্ন গুনাগুন পাওয়া যায়।

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা:

আমলকি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি। তবে আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। কারণ কোন কিছু খাওয়ার আগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত জরুরী। তা না হলে খাবারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কারণে শারীরিকভাবে সমস্যা হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। তবে আমলকির মধ্যে তেমন কোন ক্ষতিকর পদার্থ নেই। তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমলকির অপকারিতা রয়েছে। কারণ অতিরিক্ত হওয়ার ফলে আমলকি থাকায় এসিড পাকস্থলীর সাথে বিক্রিয়া করে। এতে করে পাকস্থলী সমস্যা হয়।

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা:

আমলকি অনেক ভিটামিন যুক্ত একটি ফল। আমলকি খাওয়ার উপকারিতা নিম্ন তুলে ধরা হলো:

  1. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  2. হৃদরোগের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
  3. লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কার্যকরী।
  4. মাথার চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
  5. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
  6. ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
  7. কিডনি সুস্থ রাখে।
  8. আমলকির জুস খেলে সর্দি কাশি ভালো হয়ে যায়।
  9. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
  10. মুখের রুচি বৃদ্ধি করে।
  11. মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসে শক্তি বৃদ্ধি করে।

কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা:

কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। উপরে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আমলকি প্রায় সকল ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে। এ কারণে একজনের মানুষের সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন একটি করে কাঁচা আমলকি খাওয়া উচিত। 

কাঁচা আমলকি খাওয়ার ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই কারণে কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।

আমলকি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?

আমলকি ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যার কারণে আমলকি খাওয়ার পরে পেট ভরে থাকা মত অনুভতি হয়। যার ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির উপাদান বিপাক ও হজমক্ষমতা ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

২০১৭ সালের গবেষণায় দেখা গিয়েছে পেটে থাকা মেদ ও ওজন কমাতে আমলকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে বলা যায় আমলকি  ওজন কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ওজন থাকলে নিয়মিত গরম পানির সাথে আমলকি খেতে পারেন। এতে করে শরীরে থাকা অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে।

খালি পেটে আমলকির জুস খাওয়া যাবে কি?

অনেকেই জানতে চাই, খালি পেটে আমলকির জুস খাওয়া যাবে কি? হ্যাঁ খালি পেটে আমলকির জুস খাওয়া যাবে। প্রতিদিন এক গ্লাস আমলকির জুস খান সকালে। এতে করে আমলকিতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং শরীরে থাকা টক্সিন বের করে ফেলে। 

আরও পড়ুনঃ পুদিনা পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা

যার ফলে অতিরিক্ত ওজন কমে যায়। এই কারণে প্রতিদিন খালি পেটে আমলকির জুস খেতে পারেন। এতে করে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া যাবেনা। এতে করে আমলকিতে থাকার অ্যাসিড পাকস্থলী সমস্যা করতে পারে।

চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার:

আমলকি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। যা চুলে লাগালে চুলের  শুষ্কতা দূর করে। এছাড়াও চুলের খুশকি জমতে বাধা দেয়। নিয়মিত আমলকি ব্যবহার করার ফলে মাথার সংক্রমণ দূর হতে সাহায্য করে। এছাড়াও মাথার স্ক্যাল্প পরিষ্কার করতে আমলকি ভূমিকা রাখে।

চুলে আমলকি ব্যবহার করার কিছু নিয়ম রয়েছে। নিম্নে, চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার তুলে ধরা হলো:

  1. আমলকি ভালোভাবে পেস্ট করতে হবে। তারপর আমলকির রস চুলে লাগাতে হবে।
  2. আমলকির রস, নারিকেল তেল এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর চুলে বালোভাবে লাগাতে হবে। ২৫ মিনিটের মতো রেখে ভালোভাবে শ্যাম্পু করতে হবে।
  3. আমলকির গুড়ো, ডিমের সাদা অংশ এবং নারকেল তেল একসাথে ভালো হবে মেশাতে হবে। তারপর ভালোভাবে শ্যাম্পুর মতো করে লাগাতে হবে। ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখার পর চুল ভালো হবে তুলতে হবে।
  4. আমলকির তেল চুলের জন্য অকেন ভালো। 

এইভাবে আমলকি ব্যবহার করলে চুল মজবুত হয়। এবং চুল বৃদ্ধি পায়। এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

আমলকির  ঔষধি গুণ:

আমলকি ঔষধি কোন সম্পন্ন একটি ফল। নিম্নে, আমলকির  ঔষধি গুণ গুলো তুলে ধরা হলো:

  1. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।
  2. বমি বন্ধ করতে কাজ করে।
  3. দীর্ঘমেয়াদী কাশি সর্দি ভালো করে।
  4. আমলকি খাওয়ায় রুচি বাড়ায়।
  5. আমলকি দাঁত, চুল ও ত্বক ভালো রাখে।
  6.  আমলকি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক।
  7. কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, রক্তশূন্যতা দূর করে।

আমলাকি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ভালো:

আমলকি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ভালো কাজ করে। কারণ, আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। যার কারণে পেট সহজে ভরে যায়। এবং পাকস্থলী সমস্যা থাকলে খুব সহজে দূর হয়ে যায়। এবং পায়খানা নরম করতে ফাইবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই থেকে বোঝা যায় আমলকি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ভালো কাজ করে।

আমলকি খাওয়ার নানান পদ্ধতি:

আমলকি খাওয়ার নিয়ম? আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ইতিপূর্বে ধারণা পেয়েছি। তবে আমলকি নানাভাবে খাওয়া যায়। নিম্নে, আমলকি খাওয়ার নানা পদ্ধতি তুলে ধরা হলো।

  1. আমলকি সরাসরি খাওয়া যায়।
  2. আমলকি ছোট ছোট করে কেটে লবণ দিয়ে খাওয়া যায়।
  3. আমলকির বিচি ফেলে লবণ মরিচ দিয়ে মাখার পর খাওয়া যায়।
  4. আমলকি শুকিয়ে গুঁড়ো করে খাওয়া যায়।
  5. আমলকির জুস করে খাওয়া যায়।
  6. আমলকির আচার করে খাওয়া যায়।

বিশ্বের কোথায় সবচেয়ে বেশি আমলকি উৎপাদিত হয়?

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের আমলকি পাওয়া যায়। তবে বিশেষ সবচেয়ে বেশি আমলকি উৎপাদন হয় ভারতে। এছাড়াও নেপালেও আমলকি উৎপন্ন হয়। ভারত প্রতিবছর ১০৭৫ টন আমলকি উৎপাদন করে থাকে। আমলকি তেল এবং আচার এর প্রশংসা সারা বিশ্বে রয়েছে ভারতের।

আমলকির অপকারিতা:

সকল জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে। ঠিক একই ভাবে আমলকির অপকারিতা  রয়েছে। নিম্নে, আমলকির উপকারিতা তুলে ধরা হলো:

  1. অতিরিক্ত মাত্রায় আমলকি খেলে জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  2. অতিরিক্ত আমলকি খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
  3. এলার্জি দেখা দিতে পারে।
  4. হার্টের জন্য ক্ষতিকর।
  5. অপারেশনের পর আমলকি খেলে সমস্যা দেখা দেয়।
  6. মাত্র বিরক্ত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

শেষ কথা: আমলকি খাওয়ার নিয়ম? আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা

আমলকি অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। আমলকি মূলত শীতের সময় পাওয়া যায়। আমলকি খালি খাওয়া যায়। এবং আমলকির তেল হয়। আমলকির তেল চুলের জন্য অনেক উপকারী। তবে আমলকি খেলে অনেক ধরনের উপকার পাওয়া যায়।

তবে মাত্রা অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দিনে এক থেকে দুইটা আমলকি খাওয়াই ভালো। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

Similar Posts

  • ঘি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

    ঘি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা: ঘি একটি প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার। এটি সহজে হজমযোগ্য চর্বি। ঘি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। ঘি অনেক উপকারী একটি খাবার। তাই ঘি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ প্রতিটি খাবারের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে। ঘি তৈরি হয় দুধ থেকে। ঘি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। এছাড়াও রান্নার কাজে ঘি ব্যবহার করা হয়। রান্না সময়…

    শেয়ার করুন
  • কোরবানির ভাগের নিয়ম কোরবানির নিয়ম কানুন

    কোরবানি শব্দের অর্থ ত্যাগ। কোরআন সম্পর্কে আমরা কম বেশি সকলেই জানি। কুরবানীর শুরু হয়েছে হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম ও হযরত ইসমাইল আঃ সালামের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে। তারপর থেকেই কুরবানীর শুরু হয়। তবে কোরবানি নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক মতবাদ রয়েছে। কোরবানির ভাগের নিয়ম কোরবানির নিয়ম কানুন। কুরবানী সম্পর্কে আমরা জানলেও কুরবানির ভাগের নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। কুরবানীর…

    শেয়ার করুন
  • সবজি পোলাও প্রস্তুত প্রণালী

    সবজি পোলাও প্রস্তুত প্রণালী নতুন আলু                     ৬ টি                                 দারচিনি (২ সে. মি.)                ৩ টুকরা গাজর ছোট                 …

    শেয়ার করুন
  • পুদিনা পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা

    পুদিনা পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা: পুদিনা পাতা সম্পর্কে আমাদের সকলের কম বেশি ধারণা রয়েছে। প্রায় সকল ধরনের রান্নায় পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। পুদিনা পাতা খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বর্তমানে পুদিনা পাতা ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। পুদিনা পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটোই রয়েছে। তবে পুদিনা পাতার মধ্যে কোন ক্ষতিকর পদার্থ নেই।…

    শেয়ার করুন
  • আসুন জেনে নেই, কিসমিসের রহস্যজনক উপকারীতা

    আসুন জেনে নেই, কিসমিসের রহস্যজনক উপকারীতা খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়? কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত ​​পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই। আরও দেখুনঃ জেনে নিন,…

    শেয়ার করুন
  • দীর্ঘদিন নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

    দীর্ঘদিন নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কের আলোচনা করা হলো। নিম গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা সম্ভব না। নিম গাছের মূল থেকে পাতা সবগুলোই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিম গাছ একটি চিরহরিৎ উদ্ভিদ। যার ফলে নিম গাছের পাতা সব সময় থাকে। নিম গাছ দেখলে মনে হয় এটা মানুষের উপকারের জন্যে পৃথিবীতে এসেছে। এশিয়া মহাদেশে সব…

    শেয়ার করুন