ব্রণ কেন হয়, চিরতরে ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়

ব্রণ কেন হয়, চিরতরে ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়

ব্রণ শব্দের সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। কোন সাধারণত মুখমন্ডলে হয়ে থাকে। অনেকের গলায় ও পিঠে হয়ে থাকে। ব্রণ কেন হয়, চিরতরে ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়। ব্রণ হওয়া একটি সাধারন বিষয়। নানা কারণে ব্রণ হয়ে থাকে। বিশেষ করে গরম লাগলে, রাত জাগলে এবং রোদে ঘুরাঘুরি করলে ব্রণ হয়ে থাকে।

অনেক সময় বয়সের কারণে ও ব্রণ হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ব্রণ হয়ে থাকে বয়সন্ধিকালে। প্রতিটা ছেলে মেয়ের এই সময় ব্রণ হয়ে থাকে। ব্রণ হয়ে থাকে ১১ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত। তবে প্রাপ্ত বয়স্কদেরও বরণ হতে পারে। 

সেটা হয়ে থাকে রক্তের সমস্যার কারণে। নিম্নে ব্রণ কেন হয় এবং ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

ব্রণ কি?

মানব দেহের বাইরের অংশ ত্বক। এই ত্বকে ব্রণ হয়ে থাকে। ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি হতে সেবাম নামক এক ধরনের তৈলাক্ত উপাদান নিঃসৃত হয়। এই গ্রন্থ নারীর মুখ বন্ধ হয়ে থাকলে সেবাম বাহির হতে বাধাগ্রস্ত হয় এবং উপরে জমা হয়। 

পরবর্তীতে সেটা ত্বকের উপর ফুলে ওঠে, সেটাই ব্রণ। ব্রণের চারপাশে ব্যথা হয় এবং লাল হয়ে থাকে। জীবাণুর আক্রমণ হলে এতে পুঁজ হয়।

ব্রণ কেন হয়?

ব্রণ হওয়ার কিছু প্রধান কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীর থেকে সেবাম নামক এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসরণ হয়। যখন সেবাম নিঃসরণে বাধাগ্রস্ত হয় তখন ব্রণ হয়ে থাকে। এছাড়াও সাধারণত বয়সন্ধিকালে গ্রহণ হয়। 

অতিরিক্ত গরম লাগলে, রাত জাগলে ও রোদে ঘোরাফেরা করলে ব্রণ হয়ে থাকে। সাধারণত এইসব কারণেই ব্রণ হয়ে থাকে।

মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ কি?

মানুষের সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে মুখের মাধ্যমে। যার মুখমণ্ডল সুন্দর তাকে আমরা সুন্দর বলে থাকি। তবে মানুষের মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয় ব্রণের কারণে। মুখে ব্রণ হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে। সাধারণত বয়সন্ধিকালে মুখে ব্রণ হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের প্রসাধনী মুখে ব্যবহার করা হয়।

মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ কি

এইসব প্রসাধনী ব্যবহার কারণে মুখে ব্রণ বাড়ায়। মুখে ময়লা থাকলে propionibacterium acne নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ করে যার কারণে ব্রণ হয়। এছাড়াও ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে মুখে ব্রণ হয়ে থাকে। সাধারণত যেসব কারণে মুখে ব্রণ হয়।

দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়:

বয়সন্ধিকালের সবচেয়ে বড় সমস্যা ব্রণ। ব্রণ নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকে। তবে সঠিকভাবে চলাফেরা করলে খুব সহজেই ব্রণ দূর করা সম্ভব। নিম্নে ব্রণ দূর করার উপায় তুলে ধরা হলো

  1. স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
  2. পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো।
  3. ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখা।
  4. ত্বকের যত্নে সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার করা।
  5. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা।
  6. অতিরিক্ত গরম থেকে দূরে থাকার।

সাধারণত উপরের এইসব নির্দেশনা মেনে চললে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়:

মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়

বর্তমানে আবহাওয়া অনেক দূষিত। দূষিত আবহাওয়ার কারণে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তবু ও কাজের ক্ষেত্রে বাসার বাহিরে যেতে হয়। বাহিরে চলাফেরা করলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় মুখে ছোট ছোট ব্রণ। মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হলো:

  1. পানি দিয়ে মুখ কিছুক্ষণ পর পর পরিষ্কার করতে হবে।
  2. অ্যালোভেরার জেল ও অল্প গরম পানি মিশ্রিত করে মুখকে ভালোভাবে মেসেজ করা।
  3. একটি পাত্রে পানি নিয়ে তার সাথে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশাতে হবে। তারপর মিশ্রণটি তোলার সাহায্যে ছোট ছোট ব্রণে লাগাতে হবে।
  4. লেবুর রস ব্রণে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
  5. রাতে ঘুমানোর আগে শসা দিয়ে পুরো মুখ মেসেজ করা।
  6. একটি পাত্রে বেসন ও বাদাম গুলো নিন। তার সাথে একটু পরিমাণ হলুদ ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। শেষটি প্রতিদিন ১৫ মিনিটের মত লাগিয়ে রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ব্রণের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো

উপরে যেসব তথ্য তুলে ধরা হলো সে সব মেনে চললে মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করা সম্ভব। এইসব উপকরণ সাধারণত সবার বাসায় পাওয়া যায়। যার কারণে ঘরোয়া ভাবে ব্রণের চিকিৎসা করা যায়।

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়:

তৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তিদের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। বাইরে গেলেই তোকে ধুলাবালি আটকে যায়। এবং লোমকূপে গুলো খুব সহজে বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। যার ফলে ব্রণ হয়ে থাকে। নিম্নে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় তুলে ধরা হলো:

  1. কিছুক্ষণ পর পর পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করা।
  2. তথ্য পরিষ্কার করতে ভালো মানের ফেসওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
  3. তৈলাক্ত ভাব দূর করতে লেবু অনেক কার্যকরী। তাই সকাল বিকাল লেবুর রস দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন।
  4. মধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ থেকে রক্ষা করে।
  5. লেবুর রস ও সম পরিমাণ মধু মিশ্রিত করতে হবে। তারপর ভালোভাবে ত্বকে লাগাতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।

উপরে যেসব তথ্য তুলে ধরা হলো এইগুলো অনুসরণ করলে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করা সম্ভব। এছাড়াও নিয়মিত এভাবে ত্বকের যত্ন নিলে তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে।

একদিনে ব্রণ দূর করার উপায়:

ব্রণ একটি ত্বকের রোগ। যা ইচ্ছা করলেই ভালো করা সম্ভব। তবে নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন পড়ে। কোন রোগে একদিনের মধ্যে ভালো করা সম্ভব না। আর ব্রণ একদিনের মধ্যে ভালো করা অসম্ভব। সঠিক ভাবে যত্ন নিলে তাই ভাবে ব্রণ ভালো হয়ে যাবে। 

তবে একদিনে ভালো হবে সেই ভেবে চিকিৎসা করা সম্পূর্ণ বোকামি হবে। তাই ধৈর্য সহকারে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।

মেয়েদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়:

বর্তমানে প্রায় সকলের মুখেই কম বেশি ব্রণ দেখা যায়। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। তবে সঠিকভাবে চলাফেরা করলে এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তার জন্য সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। 

মেয়েদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়

সাধারণত মেয়েদের ব্রণ হয় বিভিন্ন ধরনের রূপচর্চার প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে।মেয়েদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় নিম্ন তুলে ধরা হলো।

  1.  মুখ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
  2. মুখ পরিষ্কার করতে ভালো মানের ফেসওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
  3. যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে মুখে ব্রণ বের হয় সেসব ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
  4. প্রতিদিন সকাল বিকাল লেবুর রস মুখে দিতে হবে। লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড ব্রণের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
  5. তুলসী পাতা ব্রণের জন্য ভালো কাজ করে। তাই তুলসী পাতার পেস্ট করে সকাল বিকাল ব্যবহার করতে পারেন।
  6. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি প্রাণ করতে হবে।

উপরের নির্দেশনা গুলি মেনে চললে মেয়েদের মুখে ব্রণ দূর করা সম্ভব। তাই আপনার ব্রণের সমস্যা থাকলে উপরের তথ্য গুলো অনুসারে চলতে পারেন।

ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়:

বয়সন্ধিকাল আসলেই সকলের মুখে ব্রণ বের হয়। এটা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। ব্রণ সাধারণত বের হয় রাত জাগলে, টেনশন করলে, অতিরিক্ত গরমে থাকলে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে ব্রণ হয়। নিম্নে ব্রণ দূর করা ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হলো:

আরও পড়ুনঃ মেয়েদের রূপচর্চা করার সঠিক নিয়ম

  1. শসার রস তৈলাক্ত ভাব দূর করতে অনেক কার্যকরী। আর তৈলাক্ত ত্বকের কারণেই ব্রণ হয়।, তাই ব্রণ দূর করতে শসার ব্যবহার করতে পারেন।
  2. শসার রস, চালের গুড়া ও মধু একত্র করে টেস্ট তৈরি করতে হবে। প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার করে সকাল বিকাল এর পেস্ট লাগালে ব্রণ দূর হয়ে যায়।
  3. কাঁচা হলুদের প্রচুর পরিমাণ এন্টিবায়োটিক থাকে। যা ত্বকের ব্রণ দূর করে পাশাপাশি তাদের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
  4. তুলসী পাতার রস ব্রণের জন্য অনেক কার্যকরী। তুলসী পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন।
  5. চন্দন কাঠের গুড়া, গোলাপ জল ও লেবুর রস একত্রে পেস্ট করে ত্বকে ব্যবহার করলে সহজে ব্রণ দূর করা সম্ভব।
  6. ডিমের সাদা অংশ ব্রণের জন্য অনেক কার্যকরী। রাতে ঘুমানোর আগে ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে মেসেজ করে লাগাতে হবে এবং সকালে পরিষ্কার করতে হবে। এতে করে খুব সহজেই ব্রণ ভালো হয়ে যায়।
  7. টুথপেস্ট ব্রণ ভালো করতে সাহায্য করে। ব্রণ যেসব স্থানে রয়েছে সেসব স্থানে লাগাতে হবে। তাহলে খুব সহজেই তোর ভালো করা সম্ভব।
  8. লেবুর রস ব্রণ ভালো করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ লেবুর রসের সাইটিকাট রয়েছে। যা ত্বকের সকল ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

চিরতরে ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়:

অতিরিক্ত রাত জাগা, দুশ্চিন্তা করা ও রোদে চলাফেরা করলে মুখে ব্রণ হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে ব্রণ হয়ে থাকে। তবে সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নিলে চিরতরে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

উপরে ব্রণ থেকে মুক্তির সকল উপায় তুলে ধরা হয়েছে। সে সব সঠিকভাবে মেনে চললে চিরতরে ব্রণ ভালো করা সম্ভব। ব্রণ সাধারণত চলাফেরার অনিয়মের কারণে ও হয়ে থাকে। এ কারণে সঠিকভাবে চলাফেরা করতে হবে। 

পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এবং অতিরিক্ত চিন্তা করা বন্ধ করতে হবে। তাহলে চিরতরে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত:

মুখে ব্রণ হওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রতিটা মানুষেরই একটা সময় মুখে ব্রণ বের হয়। এটা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকে। তবে এটা কোন বড় কোন সমস্যা নয়। সঠিকভাবে চলাফেরা করলেই ব্রণ খুব সহজে ভালো হয়ে যায়। তবে অনেকের অতিরিক্ত ব্রণ বের হয়। যার কারণে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।

মুখে ব্রণ বের হলে ওষুধ ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। ওষুধগুলো হল, রেটিনল, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড,  বেনজয়েল পারঅক্সাইড বা রেসরসিনল সমৃদ্ধ অয়েনমেন্ট যা ব্রণ ভালো করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

এসব ব্যবহার করে যদি ব্রণ ভালো না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। কারণ অনেক সময় ব্রণ অতিরিক্ত হওয়ার ফলে মানুষের ত্বক ক্যান্সার হয়ে থাকে।

মেয়েদের মুখের ব্রণ দূর করার ক্রিম:

ব্রণ একটি স্বাভাবিক সমস্যা হলেও ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি হয়। ব্রণ হওয়ার ফলে মুখে কালো দাগ পরে যার ফলে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। তবে কিছু ক্রিম বাজারে পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করলে মেয়েদের মুখে ব্রণ ও কালো দাগ দূর করা সম্ভব। নিম্নে মেয়েদের মুখে ব্রণ দূর করার ক্রিম এর নাম তুলে ধরা হলো:

  1. Mankind Acnestar removal gel
  2. Garnier Acno Fight 6 in1 Pimple Clearing Face Wash
  3. The Body Shop Tea Tree Skin Clearing Face Wash
  4.  Nivea Men Dark Spot Reduction Face Wash
  5. Garnier Men Oil Clear Fairness cream
  6. Pond’s Men Oil Control Face Wash

উপরে যে সব ক্রিম এর নাম তুলে ধরা হল সেগুলো ব্রণ ভালো করতে সাহায্য করে। এগুলো ক্রিম ও ফেসওয়াশ দুটোই। ব্রণ ও কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়:

ব্রণ বের হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি কারণ হলো ভিটামিনের অভাব। শরীলে ভিটামিনের অভাব থাকলে মুখে ব্রণ বের হয়। কোন কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  1. ভিটামিন বি ৩ (Vitamin B3)
  2. ভিটামিন এ  (Vitamin A)
  3. ভিটামিন ডি (Vitamin D) 
  4. ভিটামিন ই (Vitamin E) 

উপরে যে সব ভিটামিনের নাম তুলে ধরা হলো এসবের কারণে ব্রণ হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় রক্ত দূষণের কারণেও ব্রণ হয়ে থাকে।

শেষ কথা: ব্রণ কেন হয়, চিরতরে ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়

১১ থেকে ৩০ বছরের ছেলে মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা ব্রণ। যার ফলে ছেলেমেয়েদের মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এই সমস্যা কারণে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকে। তবে সঠিকভাবে চলাফেরা করলে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই জানতে হবে ব্রণ কেন হয়।

উপরে ব্রণ কেন হয়, চিরতরে ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ে থাকলে অবশ্যই ব্রণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

Similar Posts