সংগীত শোনা এবং দেখার উপকারীতা
সংগীত শোনা এবং দেখার উপকারীতা
গানেই জীবন, গানেই মরন। কথাটি বাস্তব না হলেও চিরন্তন সত্য। গান শুনলে মানুষের মন সতেজ থাকে। অবসর সময়ে গান শুনলে মানুষের মন ফ্রেশ থাকে। গান পছন্দ করে না, এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। নিম্নে সংগীত শোনার এবং দেখার উপকারীতা আলোচনা করা হল:
সংগীত শোনার উপকারীতা:
সংগীত বা গান শোনার অনেক উপকারীতা রয়েছে। নিয়মিত অবসর সময় গান শুনলে মানুষের শরীরের অনেক উপকার সাধিত হয়। নিম্নে সংগীত শোনার উপকারীতা আলোচনা করা হল:
আরও দেখুনঃ লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধি করার উপায়সমূহ
১. বুদ্ধিমত্তা বিকাশে: বুদ্ধিমত্তা বিকাশে সংগীত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গান মনোসংযোগ বৃদ্ধিতে বিশাল ভূমিকা পালন করে থাকে। গান শুনলে মানুষের কাজ করার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়। গান মানুষের মনের খোরাক যোগাতে সাহায্য করে থাকে।
২. রোগ প্রতিকার করতে: গান শুনলে শরীরের রোগ প্রতিকার সম্ভব। কারন গান মনের অসুখ দূর করতে সাহায্য করে। পছন্দের গান শুনলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়।
৩. বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায়: বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় সংগীত ব্যবহৃত হয়। মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক সময় মিউজিক ব্যবহৃত হয়। উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিদ্রা দূরীকরনে সংগীতের ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষনীয়। অটিজম এর চিকিৎসায় সাধারনত মিউজিক থেরাপী ব্যবহৃত হয়। মিউজিক থেরাপী ব্যবহার করলে রোগী দ্রুত সুস্থতা অর্জন করে।
৪. হতাশা দূরীকরনে: হতাশা দূরীকরনে ব্যপকভাবে সংগীত ব্যবহৃত হয়। গবেষকরা বলেছেন, হতাশায় ভূগতে থাকা কোন রোগী যদি গান শোনে তাহলে সে হতাশাগ্রস্থ থেকে মুক্তি পেতে পারে। কারন গান শুনলে মানুষের দু:খ-বেদনা, কষ্ট, ব্যথা-বেদনা ভূলে যায়। গান শুনলে মানুষের মন সাময়িক সময়ের জন্যও হলেও ফ্রেশ থাকে। গান হল মানুষের মনের খোরাক।
৫. মস্তিষ্কের স্মৃতি বৃদ্ধিতে: গান মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। গান শুনলে মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে গান শুনলে মানুষের মস্তিষ্কের ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আরও দেখুনঃ একজন ছাত্রের অনগ্রসরতা দূর করার উপায়সমূহ
ভিডিও গান দেখার উপকারীতা:
কোন কিছু দেখা এবং শোনার মধ্যে মানুষের স্মৃতি প্রখর হয় এবং সেটি দীর্ঘদিন মনে থাকে। ভিডিও গান দেখলে মানুষের মনের রসিকতা বৃদ্ধি পায় এবং সে জীবনের স্বার্খকতা ফিরে পায়। ভিডিও গান দেখলে মানুষের শ্রবন ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।