কিভাবে হিন্দি ভাষা শিখা যায়হিন্দি কথোপকথন
|

কিভাবে হিন্দি ভাষা শিখা যায়/হিন্দি কথোপকথন

আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। আমরা বাংলায় সহজেই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। তবে বর্তমানে মানুষ ইংরেজিও হিন্দি শিখার চেষ্টা করছে। কারণ, প্রতিটা অফিসে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে হয়। এজন্য সবাই ইংরেজি ভাষা শিখছে।

তবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে হিন্দি ভাষা শেখার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ বর্তমানে সবাই হিন্দি ভাষার সিনেমা দেখ। এছাড়াও অনেকের কাজের সন্ধানে বিদেশ যাচ্ছে। সেখানে প্রায় সকলের হিন্দি ভাষায় কথা বলে। চলুন জেনে নেই, কিভাবে হিন্দি ভাষা শিখা যায়/হিন্দি কথোপকথন সম্পর্কে।

প্রতিটি ভাষা শিখার জন্য প্রয়োজন চেষ্টার। চেষ্টা করলে পৃথিবী যে কোন ভাষা শিখা সম্ভব। তবে হিন্দি ভাষা শেখা বাঙ্গালীদের জন্য খুব সহজ। কারণ বাংলা ও হিন্দুর মধ্যে প্রায় ৬০% মিল পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই হিন্দি ভাষা বুঝতে পারি কিন্তু বলতে পারি না। হিন্দি ভাষা শিখতে হলে হিন্দি অক্ষর সম্পর্কে ধারণা করতে হবে। তাহলে খুব সহজে হিন্দি ভাষা শিখা যাবে।

হিন্দি ভাষার বয়স কত?

প্রথমে হিন্দি ভাষা কিছু সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ছিল। এই সময় কাগজে পত্রে হিন্দি ভাষার উল্লেখ ছিল না। সর্বপ্রথম ১৯০০ সালে ব্রিটিশ সরকার হিন্দি ও উর্দু ভাষাকে সমান মর্যাদা ঘোষণা করেন। ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশিত কাগজপত্র ১৯১২ সালে শুধু তামিল, মালাইলাম, কন্নাড়, তেলেগু, মারাঠি, উর্দু ও বাংলা ভাষা ছিল।

আরও পড়ুনঃ একজন আদর্শ শিক্ষকের ভূমিকা ও দায়িত্ব

সেই সময় হিন্দি ভাষার তেমন প্রচলন ছিল না। ভারতের বেশিরভাগ মানুষ সংস্কৃতি ভাষায় কথা বলতো। হিন্দি ভাষা প্রচলন হয় ১৯২৬ সালে।

হিন্দি ভাষা কেন শিখবেন?

বর্তমান সময়ের অনেক ছেলেমেয়েরা হিন্দি ভাষায় কথা বলতে পারে। কারণ তারা হিন্দি ভাষার সিনেমা দেখে। বর্তমানে প্রায় সকলের হিন্দি ভাষা শিখতে চাই। কারণ, বাংলাদেশের পাশে দেশ ভারত। ভারতের জাতীয় ভাষা হিন্দি। বিভিন্ন কাজে এবং চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে মানুষ ভারতে যাচ্ছে। এবং সেখানে থাকতে হচ্ছে।

এই জন্য তাদের সাথে কথোপকথন হচ্ছে। এ কারণে যদি হিন্দি ভাষা সঠিকভাবে জানা যায়। তাহলে খুব সহজে তাদের সাথে কথা বলা যায়। খুব সহজেই নিজের মনের কথা প্রকাশ করা যায়।

বর্তমান সময়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের থাকতে হচ্ছে। ভারতের জাতীয় ভাষা হিন্দি হওয়ার কারণে সবাই হিন্দিতে কথা বলতে পারে। এর কারণে আপনি যদি হিন্দি জানেন তাহলে খুব সহজে চলাফেরা করতে পারবেন। এই কারণে সবাই হিন্দি ভাষা শিখতে চাচ্ছে।

হিন্দি শেখার সহজ উপায়

কোন কিছু শিখতে হলে সর্বপ্রথম মনস্থির করতে হবে। এবং সেই কাজের উপর মনোযোগ দিতে হবে। তাহলেই কম সময় সে শিখা সম্ভব। হিন্দি ভাষা শিক্ষা অসম্ভব কাজ না। খুব সহজে হিন্দি ভাষা শেখা যায়। হিন্দি ভাষা শিখতে হলে কিছু করণীয় রয়েছে। চলুন জেনে হিন্দি ভাষা শেখার উপায় গুলো কি কি?
  1. হিন্দি ভাষার ট্রেনিং সেন্টার
  2. হিন্দি ভাষা শেখার বই
  3. হিন্দি ভাষার মুভি দেখার
  4. হিন্দিতে কথা বলার চেষ্টা করা

হিন্দি ভাষার ট্রেনিং সেন্টার

প্রতিটি ভাষা শিখতে হলে তার জন্য শিক্ষকের প্রয়োজন। শিক্ষক ছাড়া শিক্ষা অর্জন করা অসম্ভব। তাই হিন্দি ভাষা শিখতে হলে যেসব ভাষা সেন্টার হিন্দি শিখায় সে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে হবে। তাহলে খুব সহজে হিন্দু থাকা শিখতে পারবে।

হিন্দি ভাষা শেখার বই

বর্তমান সময়ে প্রতিটি ভাষা শেখার বই রয়েছে। বই পড়ে ঘরে বসে বিভিন্ন দেশের ভাষা শিক্ষা যায়। প্রতিটি বইয়ে হিন্দির পাশাপাশি বাংলা অর্থ বাংলায় লেখা থাকে। এবং সহজভাবে বই লেখা থাকে। যাতে সবাই খুব সহজে বই পড়তে পারে এবং কম সময়ে হিন্দি শিখতে পারে। এ কারণে হিন্দু মানুষ শিখতে আপনি বই পড়তে পারেন।

হিন্দি ভাষার মুভি দেখা

প্রতিটি মানুষ মুভি দেখতে পছন্দ করে। কারণ মুভি দেখলে মন ভালো থাকে। মুভি দেখার মাধ্যমেও ভাষা শেখা যায়। কারণ সেখানে অভিনয়ের মাধ্যমে সকল কিছু দেখানো হয়। বেশিরভাগ মানুষ হিন্দি ভাষা শিখেছে মুভি দেখে।

আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের স্কুল পলায়ন দূর করার উপায়

কারণ মুভি দেখলে বিনোদন পাওয়া যায় এবং ভাষা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। ভাষা শেখার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় হিন্দি ভাষার সাধারণ মুভি গুলো দেখলে। এসব মুভিগুলোতে সঠিক হিন্দি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

হিন্দিতে কথা বলার চেষ্টা করা

আমরা অনেকেই রয়েছি হিন্দি ভাষা জানি কিন্তু বলতে পারি না। কারণ কথা বলার চেষ্টা না করা। নিয়মিত কোন ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করলে সেই ভাষা সহজেই আয়ত্ত করা যায়। ঠিক একই ভাবে হিন্দি ভাষা শিখতে হলে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে।

এ কারণে একসাথে দুজনে হিন্দি ভাষা শিখলে খুব সহজে শেখা যায়। অনেক সময় আমরা ভাষা জেনে থাকি কিন্তু সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য হিন্দিতে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে খুব সহজে হিন্দি ভাষা শিখতে পারবেন।

উর্দু ও হিন্দি ভাষার মধ্যে পার্থক্য

প্রথমে ভাবতাম উর্দু ও হিন্দি ভাষা দুটি একই ভাষা। কিন্তু আসলে দুটি আলাদা আলাদা ভাষা। তবে একটি ভাষা জানলেই দুটি ভাষায় কথা বলা সম্ভব। দুইটি ভাষার মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। যেমন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা বিভিন্ন রকম। ঠিক একই ভাবে হিন্দি ও উর্দু ভাষার মধ্যে এটুকুই পরিবর্তন রয়েছে।

বর্তমান সময়ে উর্দু ভাষা পাকিস্তানের। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু। ভারত উপমহাদেশে মুসলিমরা বিভিন্ন সময় এসেছিল। কখনো ব্যবসার কাজে কখনো ধর্ম প্রচার করতে। বিশেষ করে পারশ্য, আফগানিস্তান ও তুর্কি থেকে মুসলমানেরা এখানে আস।

আরও পড়ুনঃ শিশুর দৈহিক বিকাশ কি? শিশুর দৈহিক বিকাশের বৈশিষ্ট্যসমূহ

তো তারা সেখানে এসে তাদের ভাষায় কথা বলতো। তাদের ভাষাএবং সে অঞ্চলের লোকের কথার মিশ্রণ ঘটে। এইভাবে একটি আলাদা ভাষায় সৃষ্টি হয়। আলাদা সেই ভাষার নাম পরবর্তীতে উর্দু বলা হয়। সাধারণত মুসলিমরাই উর্দু ভাষায় কথা বলতো।

ভারতবর্ষে প্রথম থেকে হিন্দুদের আধিপত্য ছিল। সে কারণে তারা সব সময় মুসলমানদের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করত। এ কারণে, উর্দু ভাষার পরিবর্তে হিন্দি ভাষায় চালু করে। তাদের ভাষায় ধরনের হলো হিন্দি আর উর্দু ভাষায় বর্ণ আলাদা।

হিন্দি ভাষা মূলত সংস্কৃতি ভাষার সমন্বয়ে গঠিত। সব সময় হিন্দুরা তাদের হিন্দি ভাষাকে অফিশিয়াল ভাষা করতে চাই। এভাবে দুইটি ভাষার মধ্যে অনেক পার্থক্যের সৃষ্টি হয়। বর্তমান সময়ে দুটি ভাষার ব্যাকরণগত দিক দিয়ে অনেক পার্থক্য।

তাই আমরা বলতে পারি হিন্দি উর্দু ভাষার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ করে বর্ণ গত দিক দিয়ে বেশি পরিবর্তন রয়েছে। এছাড়াও কথার উচ্চারণের দিক দিয়ে পার্থক্য রয়েছে।

ভারতের সবাই কি হিন্দিতে কথা বলে?

ভারত একটি বৃহৎ রাষ্ট্র। এখানে অনেক কয়টি প্রদেশ রয়েছে। প্রায় প্রতিটি প্রদেশের আলাদা আলাদা ভাষা। এছাড়াও উপজাতি রয়েছে তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিন্দি। তবে প্রতিটি প্রদেশের মানুষের আলাদা ভাষা রয়েছে।

তাদের সকল কার্যক্রম নিজস্ব ভাষা দিয়ে করে থাকে। যেমন, কলকাতার মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে এবং বাংলায় তাদের বই লেখা হয়। যারা তামিল প্রদেশে বসবাস করে তারা তামিল ভাষায় কথা বলে। সকল কার্যক্রম তাদের তামিল ভাষাতেই হয়।

এরকম ভাবে প্রতিটি প্রদেশের আলাদা আলাদা ভাষা রয়েছে। তবে বাইরের কোন প্রদেশে গেলে তারা হিন্দি ভাষাতে কথা বলে। কারণ প্রতিটি প্রদেশের মানুষেরাই হিন্দিতে কথা বলতে পারে। এ হিন্দি তাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা হল তারা নিজ নিজ ভাষায় সকল কার্যক্রম করে।

ভারতের প্রাচীনতম ভাষা কোনটি?

বর্তমানে ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিন্দি। হিন্দি ছাড়াও আরো অনেক ভাষা রয়েছে। প্রতিটি প্রদেশের মানুষের আলাদা আলাদা ভাষা রয়েছে। তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলে থাকে। তবে ভারতের পূর্বের ভাষা হিন্দি ছিল না। হিন্দি ভাষা ১৮৫০ সালের পর সকলের কাছে পরিচিত হয়।

সর্বপ্রথম ভারতের ভাষা ছিল সংস্কৃত। সংস্কৃত ভাষা থেকে অন্যান্য ভাষা রূপান্তরিত হয়েছে। ভারতবর্ষের প্রথম থেকেই হিন্দুদের আধিপত্য ছিল আর হিন্দুদের সকল বই লেখা ছিল সংস্কৃত ভাষায়। এই কারণে আমরা বলতে পারি ভারতের প্রাচীন তম ভাষা ছিল সংস্কৃত।

শেষ কথা: কিভাবে হিন্দি ভাষা শিখা যায়/হিন্দি কথোপকথন

বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের ইচ্ছা হিন্দি ভাষা শেখার। কারণ ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। সেখানে বিভিন্ন কারণে যেতে হয়। ভারতে বিশেষ করে মানুষ যাই চিকিৎসা করতে। এছাড়াও অনেকে যায় ঘুরতে। কারণ ভারতে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যারা ঘুরতে যায় তারা সকলে হিন্দি ভাষা শিখার জন্য আগ্রহী।

কারণ হিন্দি ভাষা জানা থাকলে খুব সহজেই মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। এবং সকল তথ্য পাওয়া যায়। এসব কারণে হিন্দি ভাষা শেখার আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *