জেন্ডার কি জেন্ডার কত প্রকার কি কি

জেন্ডার কি? জেন্ডার কত প্রকার কি কি?

জেন্ডার কি? জেন্ডার কত প্রকার কি কি?: জেন্ডার (Gender) শব্দের অর্থ লিঙ্গ। জেন্ডার বা লিঙ্গ ৪ প্রকার। যথা: পুরুষ, নারী, ক্লীপ ও উভায় লিঙ্গ। জেন্ডার হচ্ছে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থ্যক্য সৃস্টি করে। জন্মগতভাবে ছেলে ও মেয়ে বাচ্চার মধ্যে লিঙ্গগত পার্থক্য থাকেনা। তবে সামাজিক কারণে নারী-পুরুষের মধ্যে আচার-আচরণের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।

জেন্ডার কি? জেন্ডার কত প্রকার কি কি? সেই সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই জানি। তবে সমাজে  জেন্ডার পার্থক্যের কারণে সামাজিক মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধার পার্থক্য থাকে। নিম্নে জেন্ডার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

জেন্ডার কি?

সামাজিক, মনস্তান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি সমাজ নারী-পুরুষের প্রত্যাশিত আচরণকে জেন্ডার বলে। সমাজে একজন ছেলে-মেয়ে অথবা নারী-পুরুষকী করবে, কী করতে পারবে না সমাজ কর্তৃক নির্ধারণ করাই হচ্ছে জেন্ডার।

জেন্ডার বলতে কী বোঝায়?

জেন্ডার নারী ও পুরুষের শারীরিক পার্থক্য নির্দেশ করে। জন্মগতভাবে ছেলেও মেয়েদের মধ্যে জেন্ডার পার্থক্য থাকে। তবে সামাজিক নিয়ম কানুনের কারণে চলাফেরার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। সামাজিকভাবে তৈরি ছেলে ও মেয়ের পরিচয় তাদের মধ্যকার সম্পর্ক এবং ভূমিকাতেই জেন্ডার বা লিঙ্গ বলা হয়।

জেন্ডার রোল কি?

আমাদের সমাজে জেন্ডার মাধ্যমে নারী পুরুষের মধ্যে পার্থক্য করা হয়। পুরুষের পোশাক হবে এক রকম। নারীদের পোশাক হবে এক রকম। এই যে আইন নিয়ন্ত্রন কররে তাকেই জেন্ডার রোল বলে। জেন্ডার রোল এর মাধ্যমে সমাজে নারী পুরুষে সকল বিষয় নিয়ন্ত্রন করে থাকে। 

জেন্ডার কত প্রকার কি কি?

জেন্ডার ইংরেজী শব্দ। এর অর্থ হলো লিঙ্গ। লিঙ্গ বা জেন্ডার চার প্রকার। যথা: পুরুষ লিঙ্গ, স্ত্রী লিঙ্গ, ক্লীব লিঙ্গ এবং উভয় লিঙ্গ।

জেন্ডার প্রতিক্রিয়ার গুরুত্ব:

জেন্ডার আমাদের সমাজে অনেক প্রভাব ফেলে। আমাদের সমাজে ছেলে কিভাবে চলাফেরা করবে এবং কি ধরনের পোশাক পারবে সব ঠিক করে। ঠিক একই ভবে মেয়েদের ক্ষেত্রেরও। সমাজে বসবাস করলে এই মেনে চলতে হয়। কারণ সমাজে মানুষে আচারণের কারণে অনেক কিছু নির্ভর করে।

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে মামলা দেখার উপায়

আমাদের সমাজে জেন্ডার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কোন ছেলে যদি মেয়েদের মত চলাফেরা করে তাহলে সবাই তাকিয়ে থাকে। ঠিক একই ভাবে কোন মেয়ে যদি ছেলেদের পোশাক পরে। বা ছেলেদের মত চলাফেরা করে তাহলে মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কারণ আমাদের সমাজে জেন্ডার নিয়ে অনেক প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

জেন্ডার শিক্ষা কি?

জেন্ডার শিক্ষা বা সামাজিক জেন্ডার শিক্ষা একটি আন্তঃ বিভাগীয় জ্ঞানের শাখা। যেখানে সামাজিক জেন্ডার ভিত্তিক পরিচয় ও উপস্থাপন নিয়ে অধ্যয়ন করা হয়। এখানে নারীবাদী এবং পুরুষবাদী সমাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে জেন্ডার শিক্ষার উত্থান ঘটে।

জেন্ডার শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

প্রতিটা মানুষের জেন্ডার শিক্ষা থাকা প্রয়োজন। কারণ, জেন্ডার নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রাচীন মনোভাব রয়েছে। যার কারণে সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যার ফলে সমাজে নারীর অনেক দিয়ে রয়েছে। নিম্নে, জেন্ডার শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরা হলো:

  1. সামাজিক পুঁজি গড়ে তোলা এবং নির্ভরশীলতার মানসাকতার পরিবর্তন করা।
  2. নারী পুরুষের মধ্যে ভেদাভেদ দূর করা।
  3. নারী পুরুষের সকল কাজে সমান গুরুত্ব দেওয়া।
  4. সমাজে নারী পুরুষে সমান অধিকার স্থাপন করা।
  5. সাকলে মত প্রকাশের অধিকার স্থাপন করা।

জেন্ডার সমতার মূল লক্ষ্য কি?

জেন্ডারের মাধ্যেমে সমাজে নারী পুরুষের মধ্যে পার্থক্য স্থাপন করা হয়েছে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সম্পদের সকল সুযোগ সুবিধা ও অধিকার বন্টন কে জেন্ডার সমতা বলে। আর যখন বন্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্য থাকে তখন জেন্ডার অসমতা বলা হয়। তবে সমাজে জেন্ডার নিয়ে অনেক বৈষম্য রয়েছে।

জেন্ডার সমতার মূল লক্ষ্য হলো সকলের মধ্যে সমান অধিকার নিশ্চিত করা। আমাদের সমাজে মেয়েরা সকল কাজে পিছিয়ে রয়েছে। এগুলোর মূল কারণ হলো জেন্ডার অসমতা। নারী-পুরুষ সকল ক্ষেত্রে মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করায় জেন্ডার সমতার মূল লক্ষ্য।

জেন্ডার সংবেদনশীলতা ও এর গুরুত্ব:

সাধারণ জনগণের কাছে টেন্ডার মানে নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নির্যাতনের একটি বিষয়। আশির দশকের দিকে প্রায় বিষয়টি এমনই ছিল। কিন্তু কাল ক্রমে এই ধারণা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। উন্নয়ন জগতে জেন্ডার হল নারী পুরুষের সমতায়নের লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ বা প্রয়োজনীয়।

জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে যখন নারী-পুরুষ সমান তালে কাজ করবে তখনই সমাজের উন্নয়ন ঘটবে। নারী-পুরুষের সকল কাজের ক্ষেত্রে শ্রদ্ধাবোধ এবং সহযোগিতার মাধ্যমে দায়িত্ব বন্টন করে নিতে হবে। এইভাবে দায়িত্ব বন্টনের মাধ্যমে জেন্ডার সংবেদনশীলতা ও এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে সরকারি বেসরকারি সকল খাদে মেয়েদের পদার্পণ পড়েছে।

বর্তমানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এ নারী-পুরুষ একসাথে কাজ করছে। এর ফলে মেয়েরা সংসারের পাশাপাশি দেশের কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এইভাবে জেন্ডার সংবেদনশীলতা পাচ্ছে। সমাজ থেকে জেন্ডার বৈষম্যতা দূর করতে পারলেই দেশের ও সমাজের উন্নয়ন সম্ভব।

জেন্ডার মূলধারার গুরুত্ব কেন?

জেন্ডার মূল ধারার পক্ষপাতের থেকে মুক্ত সমাজ সৃষ্টি করার একটি উপায়। যার মাধ্যমে সমাজে সমান অধিকার এবং সুযোগ রয়েছে। এর মানে হচ্ছে নীতি নির্ধারণী, সমর্থন. গবেষণা, খরচ করা ও আইন প্রণয়ন ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা করা। প্রতিটা মানুষের জেন্ডার মূলধারা শেখা আবশ্যক। সমাজের মূলধারায় নারী পুরুষের মধ্যে অনেক বৈষম্য রয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন ও উত্তর

এখনো নারীরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এইসব জেন্ডার মূলধারার কারণে ঘটছে। কারণ, প্রাচীন যুগ থেকেই সমাজে নারী পুরুষের মধ্যে পার্থক্য স্থাপন করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা বর্তমান সময়েও রয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও এই মূল ধারা অব্যাহত থাকবে। কারণ, মুসলিম সমাজে মেয়েদের পর্দা করে চলতে হয়। বাইরের কাজগুলো ছেলেদের করতে হয়। 

জেন্ডার প্রোমোটার এর কাজ কি?

প্রোমোটারের কাজ হচ্ছে কোন সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দান করা বা বিকাশ ঘটানো। জেন্ডার প্রোমোটারের কাজ হচ্ছে মানুষের মধ্যে জেন্ডার বৈষম্য দূর করা। আমাদের সমাজের জেন্ডার বা লিঙ্গ নিয়ে অনেক ধরা বাধা নিয়ম রয়েছে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম রয়েছে। তারা ইচ্ছা করলেই সমাজের কোন কাজে মত প্রকাশ করতে পারে না।

এইসব সমস্যার সমাধানের কাজ করে জেন্ডার প্রোমোটার। প্রোমোটারেরা সাধারণ মানুষের কাছে নারীদের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে। তারা নারীদের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত করে। এইভাবে সমাজে জেন্ডার বৈষম্যতা দূর করে প্রোমোটারেরা। বর্তমান সমাজে সকল ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের সাথে অংশগ্রহণ করছে। এসব কাজ সম্ভব হয়েছে জেন্ডার প্রোমোটারদের কল্যাণে।

জেন্ডার সাম্য কি?

জেন্ডার সমতা মূলত সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। নারী-পুরুষ তথা জেন্ডার নির্বিশেষে সকলের অধিকার কে সমানভাবে উপলব্ধি করা এবং সে অনুযায়ী সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সকলের সমান মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা প্রতিষ্ঠা করা বা বাস্তবায়ন করাকে জেন্ডার সাম্য বলে। জেন্ডার সাম্য সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করে থাকে। কারণ, আমাদের সমাজে মেয়েদের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না। এসব বাস্তবায়ন করে জেন্ডার সমতা।

জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং কি?

বেগম রোকেয়া জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং নিয়ে অনেক ধরনের আন্দোলন করেছে। তবে তার আন্দোলন আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার হতে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। তবে ১৯৯৫ সালে জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং এর ধারায় বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয় নারী সম্মেলন জাতিসংঘের অধিবেশন। এখানে স্বাক্ষরিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই কৌশলের অধিকারী। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল নারীর ক্ষমতা অর্জন।

জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং এর প্রধান উদ্দেশ্য হল সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সময়ে অনেক সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে পুলিশের আইজি নারী কনস্টেবলদের জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং বাস্তবায়নের অবদান রাখতে তাদের আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ, সমাজে নারীর পুরুষ সকলে মিলে জেন্ডার মনোভাব দূর করতে পারলেই সমাজের উন্নয়ন সম্ভব।

জেন্ডার ইকুইটি কি?

জেন্ডার ইকুইটি শব্দের অর্থ জেন্ডার সাম্য। জেন্ডার ইকুইটি প্রত্যয়টি মূলত সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গত ব্যাপার। নারী পুরুষ তথা লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের চাহিদাকে প্রমান ভাবে গুরুত্ব দেওয়া এবং সে অনুযায়ী সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের প্রমাণ মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের মনোভাব বাস্তবায়ন কে জেন্ডার ইকুইটি ই বলে। জেন্ডার ইকুইটি সমাজে অসমতার বীজ বপন করে থাকে।

জেন্ডার পরিবর্তনের নিয়ম ও উদাহরণ:

বাংলা ব্যাকরণে জেন্ডার বা লিঙ্গ পরিবর্তন এর নিয়ম রয়েছে। সেখানে কাল ও সময় ভেদে লিঙ্গ পরিবর্তন করা হয়। তবে বর্তমান সময়ে অনেকেই বাস্তবে জেন্ডার পরিবর্তন করছে। এসব কাজ পশ্চিমা বিশ্বে বেশি দেখা যায়। যাদের মধ্যে মেয়েদের মত আচরণ লক্ষ্য করা যায় তারা বিভিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করে থাকে।

এছাড়াও অনেক মেয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হচ্ছে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। ওই সব দেশে নারী পুরুষের মধ্যে কোন বৈষম্য দেখা যায় না। তারা সকলেই সমান। কারণ তারা সবাই আয় করে। যার ফলে তারা নিজেরাই স্বয়ংসম্পন্ন। এসব কারণে বর্তমান সময়ে অনেকের লিঙ্গ পরিবর্তন করছে।

জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণে বর্তমান সরকারের ভূমিকা:

প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রেই জেন্ডার বৈষম্য দেখা যায়। সকল ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। এসব পূর্বপুরুষের হাত ধরে সমাজের চলে আসছে। তবে বর্তমান সময়ে জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণে বর্তমান সরকারের ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে সকল ক্ষেত্রে মেয়েদের অগ্রধিকার দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে প্রতিটি সেক্টরে মেয়েদের অগ্রাধিকার দিয়েছে। তারা ছেলেদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অগ্রাধিকার বেশি রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। যেগুলো শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য বরাদ্দ। এইভাবে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে সরকার কাজ করছে।

শেষ কথা: জেন্ডার কি? জেন্ডার কত প্রকার কি কি?

জেন্ডার হচ্ছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মনস্তান্ত্রিক দিক থেকে নারী পুরুষের মধ্যে পার্থক্য কারী। এর মাধ্যমে সমাজে নারী-পুরুষের কথা বলা এবং পোশাক-আশাকের মধ্যে ভিন্নতা নির্ণয় করা হয়। বর্তমান সময়ে এসব দূর করার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

বর্তমান সময়ে সমাজে তেমন জেন্ডার বৈষম্য দেখা যায় না। কারণ সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ কাজ করছে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

Similar Posts