গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ গরুর খামার করছে। কারণ গরুর খাবার করে অবসরে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। তবে গরুর খাবার করতে প্রচুর পরিমাণ টাকার প্রয়োজন পরে। গরুর খাবার তৈরি করার জন্য ঘর লাগে। গরু ক্রয় করতে হয়। এইজন্য সবাই গরুর খামার করতে পারেনা।ভ
বর্তমানে গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন দিচ্ছে। এতে করে প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষ গরু-ছাগলের খামার তৈরি করতে পারছে। এতে করে যেমন খামার উপকৃত হচ্ছে একই সাথে ব্যাংক ও উপকৃত হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির প্রসার ঘটছে। নিম্নে, গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
লোন কি?
যখন কোন ব্যক্তি কাজের জন্য কোন আত্মিক প্রতিষ্ঠান থেকে বাৎসরিক সুদের বিনিময় যে টাকা গ্রহণ করে তখন তাকে লোন বলে। বিশেষ করে বাড়ি তৈরি, কৃষি কাজের যন্ত্রপাতি, খামার ইত্যাদির জন্য মানুষ লোন নিয়ে থাকে। এই লোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষদ করতে হয়। টাকা দান প্রদানের মাধ্যমে হল লোন।
এগ্রো ফার্ম লোন: গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন
এগ্রো ফার্ম বলতে আমরা বুঝি, যেখানে কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেমন: ফসল উৎপাদ, গবাদি পশুপালন, মাছ চাষ, মুরগির খাবার, হাঁসের খামার ইত্যাদি। এইসব কাজের জন্য ব্যাংক থেকে যে লোন নেয়া হয় তাকেই এগ্রো ফার্ম লোন বলা হয়। বর্তমানে অনেক ব্যাংক এগ্রো ফার্ম লোন প্রদান করে থাকে।
গরুর খামার করতে কত টাকা লাগে:
বর্তমানে অনেক মানুষ গরু পালনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। কারণ, গরু পালন করে কিছুদিনের মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য প্রয়োজন খামার। খামার ছাড়া গরু করে ভালো মোনাফা পাওয়া সম্ভব না। এই কারণে অনেকেই জানতে চাই, গরুর খাবার করতে কত টাকা লাগে।
গরুর খামার করতে সর্বপ্রথম প্রয়োজন গরু থাকার নির্দিষ্ট জায়গা। সেটা তৈরি করতে ১ থেকে ১.৫ লাখ টাকার মত খরচ পড়ে। এছাড়াও প্রথম অবস্থায় বাজার থেকে গরু কিনতে হয়। কয়টা গরু কিনবেন এবং কি ধরনের গরু কিনবেন সেটার উপর টাকার পরিমান নির্ধারণ হয়।
যদি আপনি গাভী পালন করেন তাহলে সর্বনিম্ন দুই থেকে তিনটা গরু দিয়ে শুরু করতে হবে। আর গরু মোটাতাজাকরণ করতে পাঁচ থেকে ছয়টি গরুর প্রয়োজন। সকল কিছু হিসাব করে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে ছোট আকারে গরুর খাবার শুরু করতে পারেন। যদি আপনি বেশি গরুর পালন করেন তাহলে টাকার পরিমাণ বেশি লাগবে।
গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন:
বর্তমান সময়ে গরুর খামার করে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে সকলে গরুর খামার করতে পারেনা। কারণ, খাওয়ার করে গরু পালন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তবে গরু পালনের জন্য ব্যাংক লোন দিচ্ছে। এতে করে সব শ্রেণীর মানুষ গরুর খামার করার সুযোগ পাচ্ছে।
গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন পাওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে। সেগুলো পূরণ করতে পারলে ব্যাংক আপনাকে লোন প্রদান করবে। সাধারণত কিছু জামানত ব্যাংকে প্রদান করতে হয়। এবং কয়টা গরু পালন করবেন এবং কি জাতের গরু পালন করবেন সকল তথ্য ব্যাংককে প্রদান করতে হয়।
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক:
প্রতিটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য জামানত রাখতে হয়। তবে বিনা জামানাতে ঋণ দেয় কর্মসংস্থান ব্যাংক। এই ব্যাংকটি মূলত বেকার জনগোষ্ঠীকে লোন দিয়ে থাকে। যাতে করে তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। কর্মসংস্থান ব্যাংক ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম যাত্রা শুরু করে।
তবে বর্তমানে কিছু এনজিও রয়েছে তারা বিনা জামানাতে ঋণ প্রদান করে থাকে। সেসব ব্যাংক হল গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, শাপলা, বরেন্দ্র ইত্যাদি। এসব এনজিও গ্রাম অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের বিনা জামাতে ঋণ প্রদান করে থাকে।
ব্রাক ব্যাংক থেকে গরুর খামার এর লোন:
ব্রাক ব্যাংক বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। এই ব্যাংক সাধারণ মানুষদের লোন প্রদান করে থাকে। বর্তমান সময়ে ব্রাক ব্যাংক গরু পালনের জন্য ঋণ প্রদান করছে। অন্য ব্যাংকে তুলনায় ব্রাক ব্যাংকের সুদের হার কম।
গরু পালনের জন্য ১ থেকে ৩ লাখ টাকা লোন প্রদান করে ৫% সুদে। তবে এর জন্য কিছু জামানত ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। ব্রাক ব্যাংক থেকে গরুর খাওয়ার করার লোন সহজেই পাওয়া যায়।
অগ্রণী ব্যাংক থেকে গরুর খামার এর জন্য লোন:
অগ্রণী ব্যাংক থেকে গরুর খামার এর জন্য লোন অনেকে নিয়ে থাকে। কারণ, গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন প্রয়োজন পড়ে। এত টাকা একসাথে ইনভেস্ট করা সম্ভব হয় না। অগ্রণী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- অবশ্যই নিজের জমিতে খামার করতে হবে।
- যে জমিতে খামার হবে সেই জমির দলিল ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
- ঋণ আবেদনকারীর গরু পালন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। এবং প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
- কয়টা গরুর পালন করবে তার উল্লেখ করতে হবে।
এসব স্বার্থ পূরণ করতে পারলে অগ্রণী ব্যাংক গরুর খাবার লোন প্রদান করে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুদের টাকা প্রদান করতে হবে।
ব্যাংক এশিয়ার গরুর খামারের জন্য লোন:
বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক এশিয়া। এই ব্যাংক থেকে সকল ধরনের লোন পাওয়া যায়। তবে তার জন্য ডকুমেন্টস দেখাতে হয়। বর্তমানে এশিয়া ব্যাংক গরু খামারের জন্য লোন প্রদান করছে। গরু খাওয়ার করতে নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস প্রদান করতে হয়।
জামান হিসেবে খামারের জমির দলিল ব্যাংকে প্রদান করতে হয়। তাহলে আপনাকে ব্যাংক লোন প্রদান করবে। এশিয়া ব্যাংক ১ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লোন দিয়ে থাকে ৮% সুদে। তবে তাদের সত্য অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে খামার সহ জমি নিলাম হয়ে যাবে।
জনতা ব্যাংক গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন:
বর্তমানে জনতা ব্যাংকের শাখা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকের মত জনতা ব্যাংক গরুর খামার করার জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে। তার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। শর্ত গুলো হলো:
- অবশ্যই নিজের জমি এর উপর খাওয়ার থাকতে হবে।
- গরু পালার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- ব্যাংকে জামানত রাখতে হবে। বিশেষ করে খামারের জমির দলিল দিতে হবে।
- ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার খামার পরিদর্শন করবে।
এই সব শর্ত পূরণ হলে জনতা ব্যাংক গরুর খাবার করতে লোন দিবে। জনতা ব্যাংক ৯০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা লোন দিয়ে থাকে ৯০% সুদে। অন্য ব্যাংকের তুলনায় জনতা ব্যাংকের সুদের হার বেশি।
গরুর খামার প্রশিক্ষণ:
গরুর খাবার করার আগে গরুর খামার প্রশিক্ষণ থাকা প্রয়োজন। কারণ, গরু সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে গরুর খামার করে লাভবান হওয়া যায় না। বর্তমানে প্রতিটি উপজেলায় প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় রয়েছে। তারা গরুর খামার, মাছের খামার, ছাগলের খামার, মুরগির খামার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
গরুর খামার করার আগে অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এতে করে গরুর খাবার খাওয়ানোর নিয়ম। গরুর রোগ নির্ণয়। এবং গরু কেনার সময় সঠিক গরু বাছাই করা। এছাড়াও গাভী পালন করবেন না করা শাড় পালন করবেন সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়।
এ কারণে, গরুর খামার করে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলে গরুর খামার প্রশিক্ষণ থাকা অত্যান্ত জরুরী। এতে করে খুব সহজেই গরুর ক্ষমা করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
গরুর খামার তৈরির নকশা: গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন
গরুর খামার করার জন্য সর্বপ্রথম খামার তৈরি করতে হয়। আর গরুর খামার তৈরি নকশা যদি ঠিক না থাকে তাহলে গরু পালন করা অনেক কষ্টদায়ক হয়। এছাড়াও অনেক জায়গা লাগে গরুর খামার করতে। এ কারণে গরুর খাবার তৈরীর নকশা পূর্বেই নির্ধারণ করে নিতে হবে।
সবচেয়ে ভালো হয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্ল্যান মাফিক করলে। অথবা এলাকায় যেসব গরুর খামার রয়েছে সেসব অনুসরণ করা। এতে করে খুব সহজে গরুর খামার তৈরির নকশা নির্ধারণ করা যায়। সঠিকভাবে গরু খামার তৈরি না করলে গরুর রোগ বেশি হয়। এতে করে লাভের তুলনায় ক্ষতি হয় বেশি।
গরুর খামার তৈরি করার পদ্ধতি:
গরুর খামার তৈরি করার পদ্ধতি রয়েছে অনেক। তবে বর্তমানে আধুনিকভাবে গরুর খামার তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে কম জায়গায় বেশি গরু পালন করা সম্ভব হচ্ছে। তবে গরুর খামার করতে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়। কারণ সঠিকভাবে কাজ করতে হলে সব সময় খরচ বেশি পড়ে।
গরুর খামার তৈরি করার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে দুই পাশে থেকে গরু এক জায়গায় খাবার খাবে।সব সময় দুই পাশের গরু একদিকে মুখ করে থাকবে। এবং প্রস্রাব পায়খানা দুই দিকে নেমে যাবে। এতে করে কমে যায় বেশি গরু পালন করা সম্ভব হয়। এবং গরুকে খাবার দিতে অনেক সুবিধা হয়।
কয়েকটি উন্নত জাতের গরুর নাম:
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অনেক জাতের গরু দেখা যায়। তবে কিছুদিন আগেও মানুষ শুধু দেশী গরু পালন করতো। দেশি গরু পালন করে তেমন লাভবান হওয়া যায় না। কারণ দেশি গরু আকারে ছোট হয় এবং দুধ কম হয়। যার জন্য মানুষ বিদেশে গরু পালনের থেকে মনোযোগী হচ্ছে।
এতে করে কম সময়ের মধ্যে গরু বড় হচ্ছে এবং একটি গরু থেকেই অনেক পরিমাণ দুধ পাওয়া যাচ্ছে। নিম্নে কয়েকটি উন্নত জাতের গরুর নাম তুলে ধরা হলো:
- সিজিএম হান্ড্রেড
- আয়ারশ্যার
- জার্সি
- শাহীওয়াল
- রেড সিন্ধি
- ব্রাউন সুইস
ইসলামী ব্যাংক খামার লোন:
বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। ইসলামী ব্যাংক সকল ধরনের খামারিদের লোন প্রদান করে থাকে। সাধারণত ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের ইসলামী ব্যাংক সর্বপ্রথম ২লাখ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে। তবে এর জন্য যথেষ্ট জামানত দিতে হয়। এবং খামার সম্পর্কে সকল তথ্য প্রদান করতে হয়।
জনতা ব্যাংক ডেইরি ফার্ম লোন:
জনতা ব্যাংকের গরুর খামার লোন সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ডেইরি ফার্ম হচ্ছে দুধের গরুর খামার। ডেইরি ফার্ম করার জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে ১৫ লিটার দুধ হয় এমন গরুর। বর্তমান সময়ে জনতা ব্যাংক ডেইরি ফার্মের জন্য লোন প্রদান করে থাকে। তবে তার জন্য সকল ডকমেন্ট প্রদান করতে হয়।
এবং পর্যাপ্ত জামানত দিয়ে তারপর লোন গ্রহণ করতে হয়। জনতা ব্যাংক ৯০ হাজার থেকে ৪০ লাখ টাকা পযন্ত লোন দিয়ে থাকে ৯% সুদে। সঠিক সময় টাকা প্রদান করতে না পারলে ব্যাংক টাকা উদ্ধারের জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারবে।
কৃষি ব্যাংক খামার লোন: গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন
বাংলাদেশের কৃষকের উন্নয়নের জন্যই কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি ব্যাংক সর্বনিম্ন সুদে কৃষকদের লোন প্রদান করে থাকে। বর্তমান সময়ে কৃষি ব্যাংক খামার লোন প্রদান করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক খামার গড়ে উঠেছে। সেসব খামার থেকে মানুষ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
এসব কারণে কৃষি ব্যাংক মানুষকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করছে। সকল ধরনের খামারিদের কৃষি ব্যাংক লোন প্রধান করে থাকে। এতে করে মানুষ আস্তে আস্তে উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
কৃষি ব্যাংক কি কি লোন দেয়:
কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে। নিম্নে, কৃষি ব্যাংক কি কি লোন দেয় তুলে ধরা হলো:
- কৃষি উৎপাদন লোন।
- কৃষি যন্ত্রাংশ ক্রয় লোন।
- মৎস্য খামার লোন।
- গরু খামার লোন।
- মুরগির খামার লোন।
- ছাগল খামার লোন।
- চা উৎপাদন লোন।
কৃষি ব্যাংকের লোনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কৃষি ব্যাংক সাধারণত সময় ব্যবধানে লোন দিয়ে থাকে। সময়ের ব্যবধানে লোন তিন প্রকার। যথা: স্বল্প মেয়াদি লোন, মধ্যমা মেয়াদী লোন ও দীর্ঘ মেয়াদী লোন।
শেষ কথা: গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন
বর্তমান সময়ে গরুর খামার করে মানুষ খুব সহজেই অনেক টাকা আয় করতে পারছে। তবে সকলে চাইলেও গরু খামার করতে পারে না। তবে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন প্রদান করছে। যার ফলে সকলে খামার করার সুযোগ পাচ্ছে।
গরুর খামার করার ফলে খাবার নিজেও স্বয়ং সম্পন্ন হচ্ছে। এবং দেশের মাংস এবং দুধের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।