হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ

হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ

আজকের আলোচ্য বিষয়বস্তুঃ

হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ: হোমিওপ্যাথি ওষুধ সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। ছদ্মবৈজ্ঞানিক বিকল্প চিকিৎসা হলো রোমিওপ্যাথি। চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিষ্কার হয় ১৭৯৬ সালে জার্মানিতে। হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ সম্পর্কে অনেকেই জানে না।

কারণ, বর্তমান সময়ে হোমিওপ্যাথির পরিবর্তে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী। কারণ, এই চিকিৎসা ব্যবস্থা কোন ধরনের অপারেশন করা হয় না। সম্পূর্ণ চিকিৎসা ওষুধের মাধ্যমে করা হয়। 

তবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক সহজ। সকল ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা করা যায়। নিম্নে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের নাম ও কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

হোমিও ঔষধ কি?

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু হয় ১৭৯৬ সালে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সম্পূর্ণ তরল হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময় ওষুধ খালি পেটে পূরণ করতে হয়। প্রাচীনকাল থেকেই হোমিওপ্যাথি ওষুধ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেেআছে।

আরও পড়ুনঃ কৃমির ঔষধ এর নাম কি । কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

চিকিৎসা ব্যবস্থায় রোগীকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করা সম্ভব। কারণ, এই চিকিৎসা ব্যবস্থা কোন অপারেশন ছাড়া ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এতে করে রোগী স্বাভাবিক থাকে। 

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে?

ছদ্মবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু হয়। এই চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু হয় ১৭৯৬ সালে জার্মানিতে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। এই কারণে স্যামুয়েল হ্যানিম্যান কে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জনক বলা হয়।

হোমিওপ্যাথি ঔষধ কি কাজ করে?

চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডা. হ্যানিম্যান তার বিখ্যাত পুস্তক অর্গানন অব মেডিসিন এ হোমিওপ্যাথি ওষুধের ধরন উল্লেখ করেন। তিনি উল্লেখ করেন হোমিওপ্যাথি ওষুধ দুই ধরনের। রোগ সৃষ্টি করা ও রোগ আরোগ্য করা। 

হোমিওপ্যাথি ঔষধ কি কাজ করে

তিনি তার ৫০ জন সহকর্মের সুস্থ দেয়ে ১০০ ধরনের ওষুধ কম মাত্রায় প্রয়োগ করে। তিনি সেই সময় ওষুধের লক্ষণ তাদের উপর প্রকাশ পায়। হোমিওপ্যাথি ওষুধ রোগ নিরাময় কাজ করে। এই ওষুধ অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে। 

যার কারণে অনেক জটিল ও কঠিন রোগের সহজে চিকিৎসা করা যায়। তবে চিকিৎসা পদ্ধতি সঠিক হতে হবে না হলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে কি হয়?

চিকিৎসা ব্যবস্থার দুইটি ভাগ রয়েছে। যথা: এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক। অসুখ হলে আমরা এই দুই ধরনের চিকিৎসা করে থাকে। তবে একসাথে দুই চিকিৎসা করা যায় না। এতে রোগীর অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেলে রোগী সুস্থ হয়। 

কারণ এই চিকিৎসা ব্যবস্থা সকল রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। এই কারণে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অনেক পুরনো এবং বিশ্বস্ত।

হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথিক একসাথে খেলে কি হয়?

হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথিক একসাথে খাওয়া যাবেনা। কারণ একসাথে দুই ওষুধ খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও দুইটি ওষুধে একই ধরনের উপাদান থাকা সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে রোগী সুস্থ না হয়ে অসুস্থ হওয়া সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে

এ কারণে কোনো রোগের চিকিৎসা যেকোন একটি উপায় করতে হবে। যদি হোমিওপ্যাথি মতে চিকিৎসা করেন তাহলে এলোপ্যাথিক মতে চিকিৎসা করা যাবে না। তবে যদি ভিন্ন দুটি সমস্যা হয় তাহলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার ৪০ থেকে ৫০ মিনিট এলোপ্যাথিক ওষুধ খেতে পারেন।

কিডনি রোগীর জন্য হোমিও চিকিৎসা কি নিরাপদ:

এলোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার ফলে অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যাথা নাশক, ঘুমের ওষুধ, ব্লাড প্রেসারের ওষুধ, বাতের ওষুধ খাওয়ার ফলে অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়। এসব করার ফলে কিডনির সমস্যা সৃষ্টি হয়। যার কারণে কিডনির রোগ হয়। যা সহজে নিরাময় করা সম্ভব হয় না।

কিডনি রোগীর জন্য হোমিও চিকিৎসা কি নিরাপদ

তবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অনেকদিন ধরে ওষুধ সেবন করতে হয়। এবং ওষুধের পরিমাণ অনেক কম হয়ে থাকে। যার ফলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শরীরে জমা থাকে না। যার কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। 

এই কারণে কিডনি রোগের জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অনেক নিরাপদ। কারণ, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ফলে অনেকদিন সময় লাগে কিন্তু কোন পার্শ্ববর্তীরা থাকে না। এবং অপারেশন ছাড়া কিডনির সমস্যা সমাধান করা যায়।

হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ:

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অনেক বিশ্বাসযোগ্য। কারণ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করলে রোগ সম্পন্নভাবে নিরাময় হয়ে যায়। এছাড়াও ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য রোগীকে প্রয়োগ করলে রোগীর মধ্যে রোগের লক্ষণ দেখা যায়। 

এই কারণে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সকলের কাছে বিশ্বাসযোগ্য। নিম্নে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের নাম এবং কাজ তুলে ধরা হলো:

Carbo Vegetabilis: 

কোন অসুস্থ ব্যক্তি রোগের যন্ত্রণায় অজ্ঞান হয়ে গেলে Carbo Vegetabilis ঔষধ কয়েক মিনিট পরপর খাওয়াতে হবে। যদি খাওয়াতে না পারেন তাহলে শুধু মুখের মধ্যে রাখলেই হবে। তাহলে কিছু রোগীর জ্ঞান ফিরবে। কোন সুস্থ মানুষও যদি অজ্ঞান হয়ে যায় তাহলে এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।

Hypericum Perforatum:

দাঁত উঠার কারণে বা শরীরের বিশেষ কোনো অঙ্গে আঘাত লাগার কারণে যদি অজ্ঞান হয়ে যায়। তাহলে Hypericum Perforatum ওষুধ ঘন ঘন কয়েকবার খাওয়াতে হবে।

Millefolium:

মেয়েদের মাসিক সমস্যা স্বাভাবিক ব্যাপার। যদি উজ্জ্বল লাল রংয়ের অতিরিক্ত রক্তস্রাব হয় তাহলে Millefolium ওষুধটি তিন বেলা খেতে হবে। তাহলে খুব সহজে সমস্যাটি সমাধান হবে।

Sabina:

যদি অতিরিক্ত স্রাবের স্বাদে তলপাট ব্যথা করে তাহলে Sabina ওষুধটি খেতে হবে। যতদিন ভালো না হচ্ছে ততদিন খেতে হবে।

Opium:

অনেকের ঘুম ঘুম ভাব হয় কিন্তু ঘুম আসে না। কোন শব্দ শুনলেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। তারা ঘুমানোর আগে Opium ওষুধটি খেতে পারেন। তাহলে খুব সহজে এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে।

Hypericum Perforatum:

কোন ধরনের আঘাত পেলে যদি শরীরের বাইরের অংশ ব্যথা অনুভব হয় তাহলে Hypericum Perforatum খেতে পারেন। তাহলে খুব সহজে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

হোমিওপ্যাথিক অনেক ওষুধ রয়েছে। সকল ওষুধের নাম এবং কার্যক্রম সম্পর্কে বলা অসম্ভব। এসব শুধু হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের আয় বলতে পারবে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য অনেক বই রয়েছে। সেখানে ওষুধের নাম সহ কি কি রোগে ব্যবহার হয় উল্লেখ করা রয়েছে।

হোমিওপ্যাথি কি ভারতে গ্রহণযোগ্য । হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সর্বপ্রথম জার্মানের আবিষ্কার হয়। তবে সময়ের বিবর্তনে সম্পূর্ণ বিশ্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণযোগ্য। কারণ বিজ্ঞান মতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়। 

যার কারণে বিশ্বাস সকল দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমান সময়ে মানুষ এলোপ্যাথি চিকিৎসায় বিশ্বাসী। তারা মনে করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা সম্ভব না।

আরও পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় বা ভিটামিন ই বেশি খেলে কি হয়

কারণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কোন ধরনের পরীক্ষা করতে হয় না। এবং কোন ধরনের অপারেশন করা হয় না। তাহলে অশোক নিরাময় হয় কিভাবে। তবে কোন ধরনের অপারেশন ছাড়াই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা সম্ভব।

একই রোগে এলোপ্যাথি ও হোমিও ঔষধ কি একসাথে খাওয়া যাবে?

অনেকেই প্রশ্ন করে, একই রোগে এলোপ্যাথি ও হোমিও ঔষধ কি একসাথে খাওয়া যাবে। একই রোগের জন্য এলোপ্যাথিক ও হোমিও ওষুধ খাওয়া যাবেনা। এতে করে রোগীর রোগ ভালো না হয়ে রোগ বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় রোগীর মৃত্যু হওয়া সম্ভব না থাকে। কারণ, এলোপ্যাথি এবং হোমিওপ্যাথি ওষুধের সাথে খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে বিক্রিয়া শুরু হয়।

এ কারণে পাকস্থলীতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও একটি রোগের দুই ধরনের চিকিৎসার ফলে রোগের সাথে ওষুধের সংঘর সৃষ্টি হয়। কোন ওষুধ রোগের সাথে লড়াই করবে ভেবে উঠতে পারে না। এই সময় রোগের অবস্থা বেগতিক হয়। অনেক সময় রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।

হোমিও ঔষধের নামের তালিকা । হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম

হোমিও ওষুধ অনেক প্রকারের। সকল ওষুধের নাম বলা সম্ভব না। নিম্নে কিছু ওষুধের নাম তুলে ধরা হলো:

  1. এসিড ফস
  2. এসিড নাইট্রিক
  3. এগনাস ক্যাষ্ট
  4. এন্টিম ক্রড 
  5. আর্সেনিক এলবাম 
  6. আরনিকা মন্ট
  7. বেলাডোনা
  8. ক্যাল্কেরিয়া কার্ব
  9. ব্রাইওনিয়া এলব 
  10. ক্যালকেরিয়া ফস 
  11. কারসিনোসিন
  12. কার্বোভেজ
  13. ফসফরাস 
  14. চায়না অফ 
  15. সিমিসিফিউগা
  16. কষ্টিকাম
  17. গ্রাফাইটিস
  18. ডালকামারা
  19. ক্যালি বাইক্রোম 
  20. হিপার সালফ
  21. লিডাম প্যাল
  22. লাইকোপোডিয়াম
  23. লেকেসিস
  24. মেডোরিনাম
  25. সিনিসিও 
  26. সিফিলিনাম
  27. টিউবারকুলিনাম
  28. এলুমিনা
  29. এনাকার্ডিয়াম অক্সি
  30. আর্জেন্ট নাইট্রিক
  31. সিনা ম্যারিটিমা 
  32. ডায়োস্কোরিয়া

হোমিও অনেক ওষুধের নাম রয়েছে। সকল নাম উল্লেখ করা সম্ভব না। উপরে কিছু না মনে করা হয়েছে। এই থেকে হোমিও ওষুধ সম্পর্কে কিছু ধারণা পাবেন।

এলার্জির হোমিও ঔষধের নাম । হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম

প্রতিটা মানুষের শরীরে এলার্জি রয়েছে। তবে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এলার্জির পরিমাণ বেশি। যার কারণে তাদের কাছে এলার্জি একটি রোগ। কোন ধরনের খাবার খেলে বা ঠান্ডা লাগলে এলার্জির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তখন পুরো শরীর চুলকানো শুরু করে। এলোপ্যাথি মধ্যে ওষুধ খেলে কিছুক্ষণ ভালো থাকে।

এলার্জির হোমিও ঔষধের নাম

ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে পুনরায় এলার্জি দেখা যায়। তবে হোমিও ওষুধের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে এলার্জি নিরাময় করা সম্ভব। তবে অনেকদিন যাবত ওষুধ সেবন করতে হবে। নিম্নে হোমিও এলার্জি ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলো:  

Allium Cepa, Euphrasia, Kali Bichromicum, Natrum Muriaticum. এসব ওষুধ এলার্জি ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহার হতে পারে। এ কারণে অবশ্যই হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ চিকিৎসা নিতে হবে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কি এলার্জি চিরতরে ভালো হয়:

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে এলার্জি চিরতরে ভালো করা সম্ভব। এলার্জি প্রায় সকলের শরীরে রয়েছে। তবে কারো বেশি আবার কারো কম। এলার্জি অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। এই কারণে এলার্জি চিকিৎসা একটু জটিল হয়ে থাকে। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা মাধ্যমে সকল প্রকার এলার্জি ভালো করা সম্ভব।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অনেক সময় ধরে করতে হয়। এই কারণে অনেক ধৈর্য সহকারে ওষুধ সেবন করতে হবে। তাহলে এলার্জি চিরতরে ভালো করতে পারবেন। তবে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে। এ কারণে হোমিও অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।

এলার্জি কাশির হোমিও ঔষধ । হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম

এলার্জি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে সর্দি লাগার কারণে কাশি হয়। এই সর্দি লাগা এক ধরনের এলার্জি। সর্দি লাগলে কাশি হবে। এই সমস্যা হোমিও ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে ভালো করা যায়। অনেকে ওষুধের নাম জানতে চাই। 

আমি ওষুধের নাম সঠিক করে বলা অসম্ভব। কারণ, ওষুধ মাধ্যমে হোমিও অনেক চিকিৎসা করা যায়। এই কারণে, এলার্জির চিকিৎসা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।

বীর্য ঘন করার হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম:

বর্তমান সময়ে অনেক পুরুষের মধ্যে শারীরিক সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে বীর্য পাতলা সমস্যাটি বেশি। এবং যৌন মিলনের সময় স্থায়ীত্ব কম। এবং ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হয়।। এসব কারণে বীর্যপাতলা হয়ে থাকে। এসব সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করতে পারেন। 

বীর্য ঘন করার হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম Selenium. এই ওষুধের অনেক কোয়ালিটি রয়েছে। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে

গ্যাস্ট্রিকের হোমিও ঔষধের নাম । হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম

বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করতে হয়। তবে সম্পন্ন হবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান হয় না। গ্যাস্ট্রিকের কারণে ভালো হবে কোন কিছু খাওয়া যায় না। অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 

তবে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করা যায়। নিম্নে গ্যাস্ট্রিকের হোমিও ওষুধের নাম তুলে ধরা হলো:  লাইকোপেডিয়াম (Lycopodium), কার্বো-ভেজ (Carbo Veg), নাক্স ভোম (Nux Vom), নাক্স ভোম (Nux Vom)।

হোমিওপ্যাথি ওষুধের কাজ কি?

হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মাধ্যমে সকল ধরনের চিকিৎসা করা যায়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পুরো বিশ্বের ছড়িয়ে রয়েছে। কারণ, এলোপ্যাথির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি সকলের কাছে পরিচিত। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা একটু ধীরগতিতে হয়। 

যার কারণে সবাই এলাপতি চিকিৎসার করে থাকে। তবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ দ্বারা সকল ধরনের চিকিৎসা করা যায়। এবং সম্পূর্ণভাবে রোগ নিরাময় হয়।

হোমিওপ্যাথিক খেলে কি এলোপ্যাথিক খাওয়া যায় । হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম

অসুখ হলে আমাদের চিকিৎসা করতে হয়। চিকিৎসা ছাড়া রোগ ভালো করা সম্ভব না। তবে দুই ভাবে চিকিৎসা করা যায় এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক। তবে একসাথে হোমিওপ্যাথিক ও এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করা যায় না। এতে করে রোগীর সমস্যা হয়ে থাকে।

তবে দুই ধরনের রোগের জন্য হোমিওপ্যাথিক এবং এলোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়া যাবে। তবে খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। একই সাথে দুই ধরনের ওষুধ খাওয়া যাবেনা। একটি ওষুধ খাওয়ার ৩০ মিনিট পর আরেকটি ওষুধ খেতে হবে। 

তাহলে আর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এইভাবে হোমিওপ্যাথিক এবং এলোপ্যাথিক ওষুধ খেতে পারবেন। 

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কি ভুয়া? । হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম

বর্তমান সময়ে তিন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। যথা: হোমিওপ্যাথি, এলোপ্যাথিক এবং আয়ুর্বেদী। এছাড়াও অনেকে কবিরাজি মতে চিকিৎসা করে থাকে। তবে কবিরাজি চিকিৎসা করলো এর কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। 

তবে অনেক রোগের চিকিৎসা করলে ভালো হয়ে যায়। অনেকে আবার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে সন্দেহ করে। অনেকে মনে করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ভুয়া। তবে এধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আবিষ্কার করেছেন। 

১৭৯৬ সাল থেকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। এ কারণে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা কোন সন্দেহ প্রকাশ করা অসম্ভব।

জার্মানি হোমিও ঔষধের নাম:

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু হয় ১৭৯৬ সালে জার্মানিতে। প্রথম আবিষ্কার করেন স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। এই কারণে হোমিও ওষুধের গুণগতমান জার্মানির ভালো হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রায় সকল ধরনের হোমিও ঔষধ জার্মানি থেকে আসে। তবে কিছু কিছু দেশ হোমিও ওষুধ উৎপাদন করছে।

সকল হোমিও ওষুধের নাম প্রায় একই। কারণ যে কোন দেশ ওষুধ তৈরি করতে পারে। তবে ওষুধের কার্যক্রম এবং ওষুধের কার্যক্ষমতার কারণে নাম একই হয়ে থাকে। এ কারণে বেশি ভাগ ওষুধের নাম একাই হয়ে থাকে।

শেষ কথা: হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ

বর্তমান সময়ে দুই ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ এলোপ্যাথিক মতে চিকিৎসা করে থাকে। তবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক সহজ এবং অনেক কম খরচে হয়ে থাকে। কারণ, এই  চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন ধরনের অপারেশন করতে হয় না। 

অপারেশন ছাড়াই বড় বড় সমস্যার সমাধান করা যায়। এছাড়াও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না। যার কারণে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সুস্থ থাকে। এই কারণে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করা উত্তম। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

Similar Posts