ছোলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন
ছোলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন
ছোলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন:
ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। ছোলা বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে অতি পরিচিত একটি উপাদান। নিম্নে কাঁচা ছোলা এবং রান্না করা ছোলার উপকারীতা আলোচনা করা হল:
হজমে সহায়ক:
হজমক্রিয়া সহজ করার জন্য আবশ্যক একটি উপাদান হল ভোজ্য আঁশ। আর এই ভোজ্য আঁশের অভাব পুরো বিশ্বব্যাপি একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। ছোলা সেই ভোজ্য আঁশের ঘাটতি পূরণে অনন্য একটি খাবার।
আরও দেখুনঃ আমলকীর উপকারীতা ও পুষ্টিগুন
উচ্চমাত্রায় ‘র্যাফিনোজ’ নামক দ্রবণীয় ভোজ্য আঁশ আছে ছোলায়। এই উপাদান পেটের খাবার ভাঙে ধীর গতিতে। কারণ একমাত্র স্বাস্থ্যকর ব্যাক্টেরিয়াই ‘র্যাফিনোজ’কে ভাঙতে সক্ষম। মল অপসারণের কষ্ট কমায় এবং তা নিয়মিত করতে সহায়ক ছোলা।
রান্না করা ছোলা:
এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। মসলা যোগ করে ছোলা তেলে ভাজলে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই যাঁরা ক্যালরি বাড়াতে চান তাঁদের জন্য এটি ভালো। কিন্তু ওজন বাড়তে দিতে চান না কিংবা যাঁদের আলসার আছে, তাঁদের না খাওয়া উচিত।
আরও দেখুনঃ কালোজিরার উপকারীতা ও গুণাগুণ
এ ছাড়া কেউ কেউ অতিরিক্ত পরিমাণে মসলা যোগ করে থাকেন ছোলায়, এমন গুরুপাক খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। এতে পেট ফাঁপা হয়। আর বাইরে মসলায় ভাজা ছোলা খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত।
এতেও আঁশের পরিমাণ বেশি। ক্যালরি রয়েছে। সাধারণত কাঁচা ছোলায় অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বেশি থাকে মসলায় ভাজা ছোলার চেয়ে। তাই দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর কাঁচা ছোলা খেলে শক্তি পূরণ হয়। ওজন ধরে রাখা এবং আলসারের সমস্যা থাকলে কাঁচা ছোলা খাওয়া ভালো। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে প্রোটিন ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়। এটা শক্তি বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবান করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।