শরীরের যত্ন নেওয়ার কৌশলসমূহ
শরীরের যত্ন নেওয়ার কৌশলসমূহ
শুরুতেই একটি কথা বলতে চাই, আর সেটা হল,
“Health is Wealth”
অর্থাৎ”স্বাস্থ্যই সম্পদ”
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুস্বাস্থ্য ছাড়া মানুষের দেহ মন কোনটাই ভাল থাকে না। সুস্বাস্থ্য আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নেয়ামত ।
”সুস্থ দেহ ,সুস্থ মন অধিক যত্ন প্রয়োজন”।
সুস্বাস্থ্য গড়ার কিছু টিপস নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।
-
মানসম্মত ও পুস্টিকর খাবার খেতে হবে:
স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখার জন্য মানসম্মত ও পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। খাবার মানসম্মত ও পুস্টিকর না হলে স্বাস্থ্য কখনও ভাল থাকবে না। ভাল খাবার না খেলে একজন মানুষ কখনও সুস্থ থাকতে পারবে না। শরীরকে সুস্থ্য রাখতে ভাল খাবারের বিকল্প নাই।
মানসম্মত এবং পুষ্টিকর খাবার শরীরের মধ্যে কাজ করার শক্তি যোগায়।খাবার না খেলে যেমন মানুষ অসু্স্থ হয়ে যাবে । তেমনি খারাপ বা নষ্ট খাবার খেলেও মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে। আর আমরা সব সময় ফরমালিন যুক্ত খাবার পরিহার করার চেষ্ঠা করব।
আরও দেখুনঃ ছেলেদের রূপচর্চা ও ত্বকের যত্ন
কারন ফরমালিন যুক্ত খাবার খেলে মানষ খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়বে। সুতরাং আমাদের সকলের উচিৎ ফরমালিন য়ুক্ত খাবার পরিহার করা। আমাদের সদা সর্বদা টাটকা এবং সতেজ খাবার খাওয়া দরকার । যা আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করবে।
-
উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে:
আপনি মানসম্মত এবং পুষ্টিকর খাবার খেলেন , কিন্তু উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মানলেন না। তাহলে আপনার সেই খাবার বৃথা যাবে। আপনি মানসম্মত খাবার খাওয়া সত্তেও আপনি অসুস্ত হয়ে পড়বেন যদি আপনি উত্তম স্বাস্থবিধি মেনে না চলেন।
উত্তম স্বাস্থবিধি মানুষের শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভাল ভাল চিকিৎসকেরা সব সময় তার রোগীদে উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।শরীরকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প আর কিছুই নাই।
-
সঠিকভাবে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া:
মানুষের শরীরের সৌন্দর্যের প্রথম এবং প্রধান প্রতীক ত্বক ও চুল। তাই ত্বক এবং চুলের যত্ন করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক এবং চুল সুন্দর হলে একজন মানুষকে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে। শরীরের ত্বক এবং চুল সুন্দর হলে একজন মানুষকে সুন্দর ও সাবলীল লাগে।
আমরা অনেকেই ত্বক এবং চুলের যত্ন করি না। এতে আমাদের শরীরের উপর অনেক ময়লা পড়ে যায়,যার কারনে আমাদের অনেক রোগ-বালাই হয়ে থাকে। চুল হল মানুষের সৌন্দর্যের প্রথম প্রতীক। যার চুল সুন্দর ,সে দেখতেও সুন্দর।
আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ চুলকে সুন্দর এবং পরিপাটি করা। ত্বকের সাথে সাথে চুলেরও যত্ন করা দরকার।আমরা যদি শরীর স্বাস্থ্য মন ভাল করতে চাই তাহলে অবশ্যই ত্বক এবং চুলের যত্ন করতে হবে।
-
বিশুদ্ধ পানি পান এবং ব্যবহার:
“পানির অপর নাম জীবন” তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ নিরাপদ পানি পান করা। পানির মধ্যে অসংখ্য জীবানু থাকে যা খালি চোখে দেখা যায় না। তাই পানি পান করার সময় প্রত্যেকের সর্তকতা অবলম্বন করা দরকার।
বিশুদ্ধ পানি পান এবং ব্যবহার প্রত্যেক মানুষের জন্য জরুরী। বিশুদ্ধ পানির মধ্যে রয়েছে অনেক শক্তিশালী ও কার্যকরী উপাদান যা মানুষের শরীরকে সুস্ত রাখতে সহায়তা করে। বিশুদ্ধ পানি পানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। দেহের মধ্যে যে ক্ষতিকর টক্সিন থাকে তা বিশুদ্ধ পানি পানে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। শরীরের ত্বক পরিষ্কার এবং কোমল রাখে। পানি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
পাকস্থলী পরিষ্কার এবং পেটের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। বিশুদ্ধ পানি পান দেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে। বিশুদ্ধ পানি পান ছাড়া শরীরকে সুস্থ রাখা প্রায় অসম্বব। তাই সকলের উচিৎ বিশুদ্ধ পানি পান করা এবং শরীরকে সুস্থ রাখা। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক কমপক্ষে ৫-৬ লিটার পানি পান করা।
-
পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্ঠা করা:
সুস্বাস্থ্য এবং ভাল ফিটনেসের জন্য একজন মানুষের পযাপ্ত ঘুমানো দরকার। সারাদিন কাজ করার পর অবশ্যই আপনাকে স্বস্তিতে পর্যাপ্ত ঘুমনো দরকার।
ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে, “Early to bed and Early to rise”
সুতরাং যত তারাতারি ঘুমাতে যাবেন ততো তারাতারি আপনি ঘুম থেকে উঠতে পারবেন এবং সেটা আপনার শরীরের পক্ষে অনেক উপকার। একজন সুস্থ লোকের দৈনিক ৬-৭ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ। অতিরিক্ত ঘুম আবার শরীরকে দূর্বল করে। সুতরাং একজন মানুষকে নিয়মিত ঘুমানো উচিত।
আরও দেখুনঃ পানির অপর নাম জীবন নয়, বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন।
- নিয়মিত ব্যয়াম করা: শরীরকে সুস্থ রাখার প্রথম এবং প্রধান একটি উপায় হল নিয়মিত ব্যায়াম করা। শরীরকে সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে ব্যায়াম করুন সুস্থ থাকুন। খাদ্য, পানি এবং ঘুম যেমন মানুষের শরীরের জন্য জরুরী ,তেমনি ব্যয়ামও মানুষের শরীরের জন্য জরুরী। নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে সঠিকভাবে ব্যায়াম করলে মানুষের শরীরের শারীরিক কার্যক্রম ও সুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
সুতরাং উপরের বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের শরীরের যত্ন নিব।