শৈশবের সোনালী সকাল পেরিয়ে প্রচন্ড চান্বল্য আর কৌতুহল ভরা ঝড়ঝন্জাপূর্ণ এক নতুন জীবনকালই হলো বয়:সন্ধিকাল। বয়:সন্ধিকালকে আর্নেস্ট জোনস (Jones) শৈশবের পুনরাবৃত্তি বলে বর্ণনা করেছেন। শৈশবে দৈহিক, মানসিক প্রক্ষোভগত ও যৌনমূলক বৈশিষ্ট্যবলির মধ্যে এক চরম অসংগতি ও বিশৃংখলা দেখা যায়।
বাল্যকাল ও কৈশোরের আগমনে সে অসংগতি ও বিশৃংখলা ধীরে ধীরে লোপ পায় এবং শিশু অত্যন্ত সন্তোষজনকভাবে তার পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু যৌবনের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে এই শৃংখলা ও সংহতি হঠাৎ করে লোপ পায় এবং ব্যক্তির দৈহিক, মানসিক, প্রাক্ষোভিক ও যৌনমূলক জগতে এক বিরাট বিপর্যয় দেখা দেয়, ফলে শৈশবের মতো নতুন করে সঙ্গতি বিধানের প্রয়োজন দেখা দেয়।
অনেক মনোবিজ্ঞানী এই সময়ের ছেলেমেয়েদের Flapper এর সাথে তুলনা করেছেন। Flapper হচ্ছে সেই পাখি যার ডানা হয়েছে কিন্তু ওড়ার ক্ষমতা অর্জন করে নাই। নিম্নে বয়:সন্ধিকাল কি এবং কেন তা নিয়ে আলোচনা করা হল:
বয়:সন্ধিকাল কি এবং কেন?
বয়:সন্ধিকালের ইংরেজী প্রতিশব্দ Adolesence. এসেছে ল্যাটিন Adelocere থেকে যার অর্থ হল পরিপক্কতার পথে বিকাশ। আবার Adolesence এর আরেকটি প্রতিশব্দ Puberty যার অর্থ হল যৌন পরিনতি। সুতরাং শাব্দিক অর্থে বলা যায় যে,
“যে সময়ে ছেলেমেয়েরা যৌন পরিপক্কতা অর্জন করে তাকে বয়:সন্ধিকাল বলে”।
মানব জাীবনে বয়:সন্ধিকাল এমন একটি স্তর যাকে একদিকে পরিপূর্ণ যৌনকালও বলা যায় না, আবার পরিপূর্ণ কৈশোর কালও বলা যায় না। এটি কৈশোর এবং যৌবনের মধ্যবর্তী একটি অন্তর্বতী সময়কাল যাকে সুন্দর এবং আভিধানিক অর্থে যৌবনাগম বা Adolesence বলা হয়।
১৩-১৮ বছর বয়সকে এ স্তরের সময়সীমা হিসেবে ধরা হয়। ক্ষেত্র বিশেষে এ সময়সীমার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
বয়:সন্ধিক্ষন শুরু হয় যৌন পরিনতিতে। যৌন পরিনতি বলতে ছেলেদের বীর্যোৎপাদন এবং মেয়েদের রজ:নি:সরনকে বোঝায়। ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই এই সময় যৌন ইন্দ্রিয়ের পূর্ণতা লাভ ঘটে এবং দেহে নানারূপ যৌনমূলক চিহ্নের আর্বিভাব হয়।
বয়:সন্ধিকালকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রুট ( Root) বলেছেন যে, বয়:সন্ধিকাল জীবন বিকাশের এমন একটি পর্যায় যখন যৌন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিপক্কতা অর্জন করে এবং ব্যক্তির মধ্যে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা জন্মে। এ সময় দৈহিক বৃদ্ধির সাথে সাথে মানসিক ক্ষমতারও উন্নতি সাধিত হয়।
বয়:সন্ধিকালের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১. শৈশবের মত বয়:সন্ধিতে দ্রুত মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন ঘটে।
২. সঙ্গতি বিধান বা খাপ-খাওয়ানোর সমস্যা বয়:সন্ধির একটি অন্যতম সমস্যা।
৩. এ সময়ে ছেলেমেয়েদের মানসিক শক্তিগুলি তাদের বুদ্ধি ও প্রচেষ্ঠার ফলে পূর্ণতা লাভ করে। ফলে মননশক্তি, বোধশক্তি, বিচারশক্তি ইত্যাদি মানসিক শক্তিগুলোর দিক থেকে ছেলেমেয়েরা পরিনত ব্যক্তির সমকক্ষ হয়ে ওঠে।
৪. বয়ঃসন্ধির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল প্রাক্ষোভিক/ আবেগিক(Emotional) পরিবর্তন।দ্রুত দৈহিক ও মানসিক পরিনতির ফলে তাদের প্রাক্ষোভিক জীবনে বিরাট আলোড়নের সৃষ্টি হয়।
৫. বয়স্কদের অবহেলার ফলে এই সময় বাইরের জগতের প্রতি ছেলেমেয়েদের বিদ্রোহের ভাব জাগে।
৬. বয়ঃসন্ধিতে ছেলেমেয়েদের যৌনক্ষমতার পূর্ণ বিকাশ ঘটে।ফলে তারা প্রজনন ক্ষমতা অর্জন করে।
৭. অবাস্তব কল্পনা ও দিবাস্বপ্ন যৌবন প্রাপ্তির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
৮. বয়ঃসন্ধিতে ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিভিন্নমুখী চাহিদার সমাবেশ ঘটে।
৯. এ সময়ের চাহিদার অতৃপ্তি ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যার জন্ম দেয়।
১০. আগ্রহের আতিশয্য বয়ঃসন্ধির একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিক।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে, বয়ঃসন্ধিকালে চাহিদা অতৃপ্তির প্রভাব সুদূরপ্রসারী। তাই তাদের চাহিদা যাতে যথাযথভাবে পূরণ হতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা কিশোর-কিশোরীদের বিকাশ প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট পিতা-মাতা অভিভাবক-শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রত্যেকেরই উচিত।
বাজারে বর্তমানে দুই ধরনের চিনি পাওয়া যায়। যথা: সাদা চিনি ও লাল চিনি। বিশেষ করে সাদা চিনি বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিতভাবে সতর্ক করে যাচ্ছে চিনি খাওয়ার ব্যাপারে। কারণ, চিনিতে থাকা গ্লুকোজ নিয়মিত শর্করা জাতীয় খাবার খেলে পাওয়া যায়। এজন্য চিনি খেলে শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজ আমরা জানবো,…
আপনারা যারা অনেকেই রয়েছেন বিভিন্ন জায়গাতে নিজেদের মেধাশক্তিকে বিকশিত করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম খুজে বেড়ান বা মেধাশক্তি বাড়ানোর উপায় গুলো কী কী? এই নিয়ে প্রশ্ন করেন তাদের জন্য আজকে আমরা এই পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমরা আলোচনা করবো যে আপনি চাইলে কিভাবে মেধাশক্তি বাড়ানোর উপায়গুলো কী কী? সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।সূচিপত্রঃ তাই চলুন দেরি না…
শারীরিকভাবে সুস্থ ও সুস্থ থাকার অবস্থাকে কি বলে? শারীরিক সুস্থ বলতে আমরা বুঝি সুস্থ থাকা। সুস্থ থাকার প্রথম সত্ত হচ্ছে শারীরিকভাবে সুস্থতা। শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকলে মন ভালো থাকেনা। আর মন ভাল না থাকলে কোন কাজই ভালো লাগেনা। এ কারণে সুস্থ ভাবে বসবাস করতে হলে অবশ্যই শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ ও সুস্থ থাকার অবস্থাকে কি বলে…
হরমোন এক ধরনের তরল জৈব রাসায়নিক। শরীরের স্বাভাবিক কর্ম ক্ষমতা বজায় রাখতে হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের কোন গ্রন্থি বা কোষ থেকে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে হরমোন নিঃসরিত হয়। বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে তৈরি হয়ে রক্তের মাধ্যমে আমাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। হরমোনের ক্রিয়া পর ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। হরমোন বলতে কী বোঝায়? হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায়। হরমোন সমস্যার কারণে বিভিন্ন ধরনের…
ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কত => ডায়াবেটিস প্রতিটা মানুষের শরীরের রয়েছে। তবে ডায়াবেটিসের নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। মাত্র অতিরিক্ত ডায়াবেটিস সেটাকে আমরা ডায়াবেটিস বলে থাকি। ডায়াবেটিসের মাত্রা নির্ণয় করতে হয়। ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের সাহায্যে। ডায়াবেটিসের মাত্রা সঠিক না থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কত? অনেকেই জানতে চাই। কারণ, বর্তমান সময়ে প্রতিটি ঘরে…
ভেরিকোসিল রোগটি অনেক পুরাতন। তবে বর্তমান সময়ে অনেকের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটা তেমন জটিল রোগ না। সঠিক চিকিৎসা করলে খুব সহজেই এ রোগ ভালো করা যায়। অনেকেই প্রশ্ন করে, ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যার ফলে খুব সহজেই সকল রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। ভেরিকোসিল হলে কোনভাবেই দেরি…