মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

আজকের আলোচ্য বিষয়বস্তুঃ

মোহরানা ও কাবিন শব্দের সাথে আমরা কম বেশি সকলে পরিচিত। মহর হলো বিবাহর সময় পাত্রীর দাবীকৃত সম্পদ। যা বর বা বরের পরিবার থেকে পাত্রীকে প্রদান করতে হয়। ইসলাম ধর্মে মোহরানা বাধ্যতামূলক।

মোহরানার মাধ্যমে বিয়ে পূর্ণাঙ্গ বৈধ করা হয়েছে। মহানবী সাঃ এর মাধ্যমে যৌতুক প্রথা নিষিদ্ধ করে দেনমোহর প্রথা চালু হয়েছে।

মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কারণ, আগে বিয়ের সময় মোহর প্রদান করতে হয়। কিন্তু সেই সময় কোন লিখিত দলিল থাকত না। বর্তমানে বিয়ের সময় কাবিন করতে হয়। এখানে কত টাকা মোহর এবং সকল কিছু উল্লেখ থাকে।

কাবিন করতে সরকারকে কর প্রদান করতে হয়। নিম্নে, মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

দেনমোহর অর্থ কি?

দেনমোহর বিয়ের প্রধান শর্ত।দেনমোহর প্রদান করতে হয় বরকে। কনের পরিবার থেকে বরের কাছ থেকে মোহর দাবি করে থাকে। ইসলাম ধর্মে মোহর ছাড়া বিয়ে বৈধ হয় না। এই কারণে বিয়েতে অবশ্যই দেনমোহর প্রদান করতে হয়।

এই প্রথা শুরু হয় প্রাচীন কাল থেকে। মুহাম্মাদ (সা.) এর বাল্য কালে যৌতুক প্রথা চালু ছিলো। মুহাম্মাদ (সা.) নবুয়াত পাবার পরে আল্লাহর নির্দেশে যৌতুক প্রথাকে নিশিদ্ধ করে দেনমোহর প্রথা চালু করেন।

 

ইসলামে দেনমোহরের কোনো সিমাবদ্ধ নেয়। দেনমোহর বরের আর্থিক অবস্থার উপরে নির্ভর করে। বর যা প্রদান করতে পারবে সে টুকু দেনমোহর করবে।

কাবিন কি?

কাবিন হল বিবাহর চুক্তিনামা। বর্তমান সময়ে বিয়ে করলে সেটা নিবন্ধন করতে হয়। কাবিননামায় মোহরানা, ছেলের সম্পূর্ণ ঠিকানা এবং মেয়ের সম্পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ থাকে।

বিয়ের সময় কাবিন করলে বিয়ে সম্পর্কে সকল চুক্তি সেখানে উল্লেখ থাকে। এবং সরকার কর্তৃক একটি ডকুমেন্ট। যেকোনো ধরনের বিবাহ জনিত সমস্যায় পড়লে কাবিনের প্রয়োজন পড়ে।

কাবিননামা এর অর্থ কি?

কাবিননামা হল বিবাহ সম্পদনের লিখিত চুক্তি। বিবাহ সম্পূর্ণর জন্য কাবিননামা অত্যন্ত জরুরী। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কাবিননামা করা বাধ্যতামূলক। কারন, এই কাবিননামার মাধ্যমে বিবাহিত সকল ধরনের তথ্য উল্লেখ থাকে।কাবিননামা এর অর্থ কি

এছাড়াও বর্তমান সময়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলার কারণে তালাক হয়ে থাকে। সেই সময় কাবিননামা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কাবিননামায় বিয়ের মোহরানা কত উল্লেখ থাকে।

এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিবাহিত লোকের কাবিননামার প্রয়োজন পড়ে। মুসলিম বিবাহ ও তালাক আইন ১৯৭৪ মোতাবেক প্রতিটি বিয়ে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। বিয়ের নিবন্ধন হলো কাবিননামা।

ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব । মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি বিয়ে করল তার অর্ধেক দ্বীন-ইমান পরিপূর্ণ হয়ে গেল, সেই ব্যক্তি যেন বাকি অর্ধেকের বিষয় আল্লাহকে ভয় করে।

হাদিসে বিয়ে সম্পর্কে আরো উল্লেখ রয়েছে, স্বামী-স্ত্রী যখন একসঙ্গে গল্প করে, হাসাহাসি করে। তার সওয়াব নফল ইবাদতের সমতুল্য।

বিয়ে করলে অনেক ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা যায়। বিয়ে করা ফরজ। আবার কারো জন্য সুন্নাত। তবে প্রতিটি মুসলমানকে অবশ্যই বিবাহ করতে হবে।

মোহরানা আদায় করা কি ফরজ?

ইসলাম ধর্মে মোহর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহর আদায় করা স্বামীর ফরজ। মোহর পরিষদ ছাড়া কোন বিবাহ সম্পন্ন হতে পারে না।

 

আল্লাহ পাক বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের বউদের থেকে সে স্বাদ গ্রহণ করো তার বিনিময়ে অপরিহার্য ফরজ তাদের মোহর পরিষদ করা। সূরা নিসা: ২৪। এ কারণে সকলের মুসলমানের বিয়ের সময় সম্পূর্ণ মহারানা পরিষদ করতে হবে।

মোহরানা আদায়ের নিয়ম । মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

ইসলামে মোহরানা অনেক গুরুত্বপ্যর্ণ। বরের মোহরানা পরিশোধ করা ফরজ। বিয়ের দিনেই সম্পর্ণ্য মোহরানা পরিশোধ করতে হবে। মোহরানা ছাড়া কোনো বিয়ে সম্পন্য হয় না। অনেকে বিয়ের পেরেও মোহরানা পরিশোধ করে না।

যার ফলে স্ত্রী তার সঠিক প্রাপ্য বুঝিয়ে পাই না। যদি কোন স্ত্রী মোহরানা আদায় করতে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে প্রতিটি স্বামীর দায়িত্ব বিয়ের দিনে স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ করা।

বর্তমান বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী স্বামী মহারানা দিতে অস্বীকার করলে আদালতে মামলা করতে পারবেন স্ত্রী। বিয়ের তাৎক্ষণিক সময়ের মধ্যে মোহরানা পরিশোধ না করলে পারিবারিক আদালতে স্ত্রী মামলা করতে পারবে।

সর্বনিম্ন মোহরানা কত? । মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

বিয়ের সময় মোহরানা প্রদান করা আল্লাহর বিধান। বিয়ে করলে অবশ্যই বউকে মোহরানা দিতে হবে। আমাদের সমাজে মহরানার পরিমাণ ঠিক করে মা-বাবা, ভাই-বোন, মামা-চাচারা। ইসলাম ধর্মের মোহরানার কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই।

বরের সমর্থ্য অনুযায়ী মোহরানা প্রদান করতে হবে। মোহরানার কোন নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ নেই। তবে হানাফি মতে, সর্বনিম্ন মোহর ১০ দিরহাম। যা ৩০.৬১৮ গ্রাম রুপা পরিমাণ অর্থ বা গহনা। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে, ১০ গ্রাম এরকম কোন মোহর হয় না। অবশ্যই ১০ দিরহামের উপর মহারানা করতে হবে।

কাবিন হলে কি বিয়ে হয়?

বিয়ের রেজিস্ট্রেশনকে কাবিন বলা হয়। তবে বিয়ের কাবিন করলেই বিয়ে হয় না। কারণ, ইসলাম ধর্মের বিয়ে হয় কলমা করে। বর কনের উভয়ের মত নিয়ে কিছু মানুষের সম্মুখে বিয়ে হয়। এভাবে বিয়ে কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

অনেক সময় কালমা না করেও বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বা কাবিন করে। এর ক্ষেত্রে কাবিন করলে বিয়ে হবে না।

দেনমোহর কত প্রকার কি কি?

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী দেনমোহর বিয়ের একটি অন্যতম শর্ত। দেনমোহর স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে পরিশোধ করতে হয়। সাধারণত দেনমোহর দুই ধরনের হয়। যথা: তাৎক্ষণিক দেনমোহর ও বিলম্বিত দেনমোহর। স্ত্রী চাওয়া মাত্র পরিশোধ করতে হয় তাৎক্ষণিক দেনমোহর।

এবং বিয়ের পর যেকোনো সময় পরিশোধ করা যায় বিলম্বিত দেনমোহর। তবে অবশ্যই বিলম্বিত দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে। এই দেনমোহর স্ত্রীর কাছে স্বামীর ঋণ হিসেবে থাকে। ইসলামের দৃষ্টিতে দেনমোহর বিয়ের দিনে সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।

মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। দেনমোহর ছাড়া ইসলাম ধর্মে কোন বিয়ে সম্পন্ন হয় না। কিন্তু কাবিন ছাড়া বিয়ে সম্পন্ন হয়। আর নিম্নে মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হলো:
  1. মোহরানা ইসলাম ধর্মে আইন। কাবিন রাষ্ট্রীয় আইন ।
  2. মোহরানা ছাড়া বিয়ে সম্পন্ন হয় না। কাবিন ছাড়াও বিয়ে করা যায়।
  3. মোহর না কোন লিখিত বিষয় না। তবে কাবিননামা সম্পূর্ণ লিখিত বিষয়। যা সরকারের কাছে লিপিবদ্ধ করা থাকে।
  4. মোহরানা হিসেবে গহনা, জমি, টাকা ইত্যাদি দেওয়া হয়। কাবিননামায় শুধু টাকার পরিমান উল্লেখ থাকে।

সর্বনিম্ন কত টাকা কাবিন করা যায়?

ইসলাম ধর্মে মোহরানা ছাড়া বিয়ে হয় না। বিয়ের সময় বরকে তার সামর্থ্য অনুযায়ী মহরানা পরিশোধ করতে হবে। বর্তমান সময়ে বিয়ের আগে মোহরানা নির্ধারণ হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্ম মোহরানার নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই।

 

সমর্থ্য অনুযায়ী মোহরানা পরিষদ করতে হয়। কিছু কিছু হাদিসে উল্লেখ রয়েছে সর্বনিম্ন ১০ দিরহাম মোহরানা দিতে হয়। মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

দেনমোহর পরিশোধ করতে হয় কখন? । মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

বিয়ে করলে অবশ্যই দেনমোহর দিতে হয়। তবে দেনমোহর পরিশোধ এর কিছু নিয়ম রয়েছে। ইসলামিক মতে বিয়ের দিন সম্পূর্ণ মোহরানা পরিশোধ করতে হবে।

যদি সেই দিন মোহরানা সম্পন্ন পরিশোধ না করতে পারে স্ত্রীর কাছ থেকে সময় নিতে হবে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী স্ত্রীর মৃত্যু বা তালাক হলেও তার মোহরানা সম্পন্ন পরিশোধ করতে হবে।

দেনমোহর উসুল কি? । মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

দেনমোহর উসুল হলো দেনমোহর পরিশোধ করা। দেনমোহর বিয়ের সময় তাৎক্ষণিক উসুল (পারশোধ) করতে হয়। কারণ, দেনমোহর ছাড়া বিয়ে করলে স্ত্রী সম্পূর্ণ রূপে স্বামীর জন্য হারাম হয়। এ কারণে অবশ্যই বিয়ের দিনে দেনমোহর উসুল বা পরিশোধ করতে হবে।

মোহরানা কি মাফ হয়?

মোহরানা প্রদান করা হয় স্ত্রীর মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য। কারণ সে অন্যের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে আসে। সেখানে তার কিছু প্রাপ্য থাকে। যা মোহরানা হিসেবে প্রদান করতে হয। অনেকেই জানতে চায় মোহরানা কি মাফ হয়?

মোহরানা সম্পূর্ণ রূপে মাফ হয় না। যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীর কাছে মোহরানা মাফের জন্য আবেদন করে। তার স্ত্রী যদি তাকে মাফ করে দেয় তাহলে মাফ হবে। তবে সম্পূর্ণ মহারানা মাফ হয় না। বর্তমান সময়ে অনেকে অতিরিক্ত মোহরানা করে।

যা স্বামীর পক্ষে পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেই সময় যদি কিছু পরিমাণ মোহরানা পরিষদের পর তার স্ত্রীর কাছে মাফ চাই আর যদি স্ত্রী তার মাফ করে তাহলে মহারানা মাফ হবে। তবে কোন সময় স্ত্রীকে দূর করা যাবে না।

মুয়াজ্জল ও মুঅজ্জল অর্থ কি? । মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

মুয়াজ্জল ও মুঅজ্জল হল দেনমোহরের দুটি অংশ। মুয়াজ্জাল হল তাৎক্ষণিক। আর মুঅজ্জল অর্থ হলো বিলম্বিত। বিয়ের সময় সাথে সাথে যে মোহরানা পরিশোধ করা হয় তাকে মুয়াজ্জাল বলে।

এবং বিয়ের দিন সম্পূর্ণ মহারানা পরিষদ করতে না পারলে যে অংশ বিয়ের পর যেকোনো সময় দেওয়া হয় তাকে মুঅজ্জল বলে। মুঅজ্জল স্ত্রী যখন পাবে স্বামী দেওয়ার জন্য বাধ্য।

বিয়ের কত দিন পর কাবিননামা পাওয়া যায়? । মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

কাবিননামা বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট সাধারণত দুই থেকে তিন মাস পরে দেওয়া হয়। তবে জরুরি ভিত্তিতে সত্য সাপেক্ষে ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যেও প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনেক ত্রুটির কারণে দুই থেকে তিন মাসের বেশি সময়ও লাগতে পারে।

স্ত্রী যদি স্বামীকে তালাক দিলে দেনমোহর পাবে কি?

দেনমোহর হচ্ছে স্ত্রীর সম্মানে বা উপহার। যা বিয়ের সময় প্রদান করতে হয়। মোহরানা সম্পূর্ণ স্ত্রীর ব্যাক্তি মালিকানা সম্পদ। স্ত্রী যদি স্বামীকে তালাক দেয় তাহলে স্ত্রী অবশ্যই দেনমোহর পাবে।

অনেকেই মনে করে, স্ত্রী যদি স্বামীকে তালাক দেয় তাহলে সে কোন দেনমোহর পাবে না। এটা সম্পূর্ণ ভুল। যে কোনভাবে যদি তালাক হয় স্ত্রী তার মোহনা সম্পূর্ণ পাবে।

কারণ ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী দেনমোহর নারীর হক। নারীর হক থেকে কেউ তাকে বঞ্চিত করতে পারবে না।

বিয়ের কাবিনের সরকারি খরচ কত? । মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

বর্তমান সময়ে বিয়ে করলে কাবিন করতে হয়। কাবিন করা হয় মোহরানার উপর ভিত্তি করে। মোহরানা যত হয় কাবিন নামাও ঠিক তত হয়। । টাকার পরিমানের উপর কাবিন নামার খরচ নির্ধারিত হয়ে থাকে।

২০১১ সালের সংসদীয় অনুযায়ী নিকাহ রেজিস্টার ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রতি এক হাজার বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১২.৫০ টাকা হারে খরচ দিতে হয়। মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

যদি চার লাখ টাকার উপর কাবিন হয় তবে প্রতি লাখে ১০০ টাকা করে খরচ দিতে হয়। তবে দেনমোহর যে পরিমাণই হোক না কেন সরকারি খরচ বাবদ ২০০ টাকা দিতে হয়। বর্তমানে বিয়ে করলে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হবে।

কোর্ট ম্যারেজ করতে কত টাকা খরচ হয়? । মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

কোর্ট ম্যারেজ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে একজন আইনজীবীর কাছে। তিনি স্ট্যাম্পের  উপর  আপনার সই নিবে। সেখানে আপনি প্রাপ্তবয়স্ক, আপনি সবারই বিয়ে করছেন এ সকল কিছু উল্লেখ থাকবে।

এইভাবে কোর্ট ম্যারেজ হয়ে থাকে। কোর্ট ম্যারেজের খরচ কত হয় সেটা সঠিক করে বলা যায় না। কারণ, কোর্ট ম্যারেজ করতে আইনজীবীকে কিছু সম্মানিত দিতে হয়। এবং কত টাকা কাবিন হয়েছে তার ভিত্তি করে সরকারকে ফ্রি দিতে হয়।

এই কারণে কত টাকা খরচ হয় সেটা বলা যাবে না। তবে সাধারণত ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়।

মা ফাতেমার বিয়ের দেনমোহর কত ছিল? । মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

মহানবী (সাঃ) আলীর সাথে ফাতেমাকে দেওয়া ও চিত্রের হাসি হলেন। আলীকে জিজ্ঞেস করা হলো তুমি কত টাকা মোহরানা দিবে। আলী উত্তর দিল আমার ঘরে কিছু নেই আপনার দেওয়া এক মাত্র বর্ম ছাড়া। যার মূল্য ছিল ৪ দিরহাম।

এই বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য ওসমান ইবনে আফফান বর্মটি ৪৭০ দিরহাম দিয়ে কিনে নিলেন। মহানবী (সাঃ) ৭০ দিরহাম বিয়ের জন্য খরচ করলেন। এবং ৪০০ দিরহাম ফাতেমা ও আলীর মোহরানা নির্ধারণ করলেন। এ থেকে জানা যায় মা ফাতেমার বিয়ের দেনমোহর ৪০০ দিরহাম ছিল।

কোন ইসলামিক মাসে বিয়ে করা উত্তম

হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নত। তবে সারা বছর বিয়ে করা যায়। এখানে কোন ধরা বান্ধা নিয়ম। তবে শুক্রবার দিনে বিয়ে করা উত্তম। কারণ শুক্রবার দিন অনেক মর্যাদা পণ্য দিন। তবে আল্লাহর প্রতিটা দিনে উত্তম।

শেষ কথা: মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

ইসলাম ধর্মে নারীদের মর্যাদা অনেক। এই কারণে বিয়ের সময় মেয়েদের উপহার দিতে হয়। যা মোহরানা হিসেবে পরিচিত। মোহরানা সম্পূর্ণ স্ত্রীর। মোহরানা কেহ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বর্তমান সময়ে প্রতিটি বিয়ে নিবন্ধন করতে হয়। যাকে কাবিন বলা হয়।

কাবিননামায় বিয়ের মোহরানা কত উল্লেখ থাকে। বর্তমান সময়ে বিয়ে করলে মোহরানা পাশাপাশি কাবিননামা করা অত্যন্ত জরুরী। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ Fulkoliblog

শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *