বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস । তিতাস গ্যাস বিল চেক অনলাইন
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক সম্পদ হচ্ছে গ্যাস। প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ বাংলাদেশে যতটুকু গ্যাসের চাহিদা রয়েছে সবই পূরণ করে বাংলাদেশ এর গ্যাসক্ষেত্র গুলো। বর্তমানে বাংলাদেশে ২৯ টি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয় ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুর। বাংলাদেশের সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্র টবগি-১। এটা ভোলা জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র তিতাস গ্যাসক্ষেত্র। তিতাস গ্যাস কোম্পানি বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় গ্যাস কোম্পানি।
কিভাবে গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রাকৃতিক গ্যাস সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাঁচামাল হিসেবে। এছাড়াও সার কারখানায় প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিল তৈরি করা হয়েছে যা গ্যাসের মাধ্যমে চলে।
এছাড়াও পাইপ লাইনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। যেগুলো রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন পাম্পের মধ্যমে গাড়িতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে গ্যাস অনেক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে।
প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনে শীর্ষ দেশ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্যাস পাওয়া যায়। তবে সব দেশ সমান গ্যাস উৎপাদন করতে পারে না। প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনে শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র।
বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন এবং আমদানিতে শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্যাস রপ্তানি করে থাকে রাশিয়া।
তিতাস গ্যাস কোম্পানি । তিতাস গ্যাস বিল চেক অনলাইন
তিতাস গ্যাস কোম্পানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস কোম্পানি। তিতাস গ্যাস কোম্পানি ১৯৬৪ সালে যাত্রা শুরু করে। তবে ১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথম গ্যাস সরবরাহ করে।
এর মাধ্যমে তিতাস গ্যাস কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনি সম্পদ মন্ত্রণালয় তিতাস গ্যাস কোম্পানি পরিচালিত করে।
অনলাইনে গ্যাস বিল চেক
বর্তমান ডিজিটাল যুগ। অনলাইনের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে সকল ধরনের কাজ করতে পারছে। অনলাইনে বর্তমানে গ্যাস বিল প্রদান করা যায়। এর জন্য আর ব্যাংকে গিয়ে সময় নষ্ট করতে হয় না। বর্তমানে সকল বাসা বাড়ির নম্বার রয়েছে। নাম্বার অনুযায়ী অনলাইনে গ্যাস বিল চেক করা যায়।
তিতাস গ্যাস বিল চেক অনলাইন / অনলাইনে গ্যাস বিল চেক করার জন্য প্রথমে যে কোম্পানির গ্যাস ব্যবহার করেন সেই কোম্পানির ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর নন মিটার অপশনে ক্লিক করতে হবে।। তারপর আপনার Customer Code এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
যেই নাম্বার আপনার গ্যাস কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে সেই নাম্বার দিতে হবে। তারপর ক্লিক করলে আপনার বিল চেক করতে পারবেন।
তিতাস গ্যাস বিল চেক অনলাইন
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় গ্যাস কোম্পানি তিতাস। তিতাস গ্যাস বিল চেক অনলাইন কিভাবে করতে হয় আমরা অনেকেই জানিনা। তিতাস গ্যাস বিল চেক করার জন্য প্রথমে তিতাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর নন মিটার একটি অপশন রয়েছে।
নন মিটার অপশনে ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে। তারপর আপনার মিটার নাম্বার এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে Sign In অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনার কত টাকা তিতাস গ্যাস বিল চেক করতে পারেন অনলাইনে।
কর্ণফুলী গ্যাস বিল চেক
বর্তমানে সকল গ্যাস কোম্পানি অনলাইনের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছেন। কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির গ্যাস বিল অনলাইনের মাধ্যমে চেক করা যায়। তার জন্য https://billing.kgdcl.gov.bd/এই লিংক এ প্রবেশ করতে হবে। তারপর লগইন অপশন আসবে।
কাস্টমার কোড এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। তারপর আপনি আপনার কর্ণফুলী গ্যাস বিল চেক করতে পারবেন। এবং সেখান থেকে আপনার বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস বিল চেক । তিতাস গ্যাস বিল চেক অনলাইন
এসবের মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তি তার বিল চেক করতে পারবে। ঠিক একই ভাবে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস বিল চেক চেক করতে পারবেন।
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জ
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জ অনেক মানুষের গ্রাহক। তারা পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাসা বাড়িতে গ্যাস সাপ্লাই দিয়ে থাকে।
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জ এর প্রধান কার্যালয় সিরাজগঞ্জ জেলার নলকা। বর্তমানে তারা অনেক জেলায় গ্যাস সরবরাহ করছে।
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড রাজশাহী
রাজশাহী জেলার আশেপাশে কোন গ্যাসক্ষেত্র নেই। তবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রাজশাহী শহরে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। এই কাজটি করেছে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড রাজশাহী। পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জ এর শাখা রয়েছে রাজশাহীতে।
রাজশাহী জেলায় পশ্চিমঞ্চল গ্যাস কোম্পানির কার্যালয় এয়ারপোর্ট রোড, নওদাপাড়া, রাজশাহী। বর্তমানে রাজশাহী শহরের প্রতিটি বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করে এই কোম্পানি।
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড । তিতাস গ্যাস বিল চেক অনলাইন
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড সরকারি মানিকানাধীন একটি সংস্থা। এই কোম্পানি বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে গ্যাস সঞ্চালনের কাজ করে থাকে।
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি যাত্রা শুরু করে ১৯৯৫ সালে। এবং কোম্পানি নিবন্ধিত করা হয় ১৯৯৩ সালে ১৪ই ডিসেম্বর।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কি সরকারি
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সরকারি না বেসরকারি এই নিয়ে অনেকের মধ্যে মতভেদ থাকে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সরকারি।
কিন্তু এর কার্যক্রম কোম্পানির মত। এই কারণে অনেকেই মনে করে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এই গ্যাস ক্ষেত্রটি কোম্পানির মত নেমে চলে।
কর্ণফুলী গ্যাস প্রি পেইড মিটার আবেদন
বর্তমানে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি অনেক উন্নত হয়েছে। তারা এখন গ্যাস প্রি পেইড মিটার চালু করেছে। এই মিটার বাসায় থাকলে টাকা বকেয়া রেখে কেউ গ্যাস ব্যবহার করতে পারবে না। মিটারের টাকা উঠাতে হবে। মিটার টাকা না থাকলে কেউ চালাতে পারবে না।
গ্যাস প্রি পেইড মিটার এর মাধ্যমে গ্যাসের অপচয় কমেছে। তবে এই মিটার পাওয়ার জন্য কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হয়। প্রথমে ব্যবহারকারীর নাম মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
তারপর ব্যবহারকারীর email নাম্বার বা মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে লগইন করতে হবে। তারপর কিছু নির্দেশনা রয়েছে সে অনুযায়ী ফরম পূরণ করতে হবে। এবং সেখানে প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট চাইবে। সেগুলোর স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। তাহলে কিছুদিন পর আপনি প্রিপেড মিটার পেয়ে যাবেন।
জালালাবাদ গ্যাস সিলেট
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড। এই কোম্পানিটি বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে গ্যাস সঞ্চালন এবং বিতরণ করে থাকে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এর আয়ত্বে পরিচালনা হয়ে থাকে। জালালাবাদ গ্যাস সিলেট যাত্রা শুরু করে ১৯৮৬ সালে।
জালালাবাদ গ্যাস বিল পরিশোধ
অনেকেই জানতে চাই, জালালাবাদ গ্যাস বিল পরিশোধ এর নিয়ম সম্পর্কে। বর্তমানে জালালাবাদ গ্যাস বিল তিন ভাবে প্রদান করা যায়।
ব্যাংকের মাধ্যমে, অনলাইনে মাধ্যমে এবং প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে। বর্তমানে অনেকের বাসায় প্রিপেইড মিটার রয়েছে। এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ সাথে সাথেই হয়ে যায়।
গ্যাস বিল বকেয়া । তিতাস গ্যাস বিল চেক অনলাইন
বাংলাদেশের কিছু মানুষের চরিত্র খুব খারাপ। তারা সুবিধা ভোগ করবে কিন্তু টাকা পরিশোধ করবে না। অনেক মানুষ আছে গ্যাস বিল, পানি বিল, কারেন্ট বিল বকেয়া রাখে। এতে করে কোম্পানির অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বর্তমানে গ্যাস বিল বকেয়া তিন মাস হলে আপনার গ্যাস লাইন কেটে দিবে।
তাই প্রতিটি মানুষের উচিত প্রতি মাসের বিল পরিশোধ করা। এতে করে কোম্পানি সঠিকভাবে পরিচালিত হবে এবং আপনিও সঠিক সেবা পাবেন। বর্তমানে প্রিপেইড মিটার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এখন কেউ টাকা না দিয়ে গ্যাস ব্যবহার করতে পারবে না।
তিতাস গ্যাস মোবাইল নাম্বার
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস কোম্পানি হচ্ছে তিতাস। তিতাস গ্যাস কোম্পানি মানুষকে সুষ্ঠুভাবে অনেকদিন যাবত সেবা প্রদান করে আসছে।
কোন ধরনের সমস্যা হলে তাদেরকে ফোন দিলে সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। তিতাস গ্যাস মোবাইল নাম্বার মোবাইল-০১৯৫৫-৫০০৪৯৭, ০১৯৫৫-৫০০৪৯৮। এবং কল সেন্টার নাম্বার 09612316496।
বর্তমান সময়ে গ্যাস ছাড়া একদিনও চলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ প্রতিটি বাড়িতে গ্যাসের লাইন অথবা সিলিন্ডার রয়েছে। এর সব কারণে মানুষ খুঁড়ি দিয়ে রান্নার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। একদিন গ্যাস না থাকলেই মানুষ অচল হয়ে পড়ে।