ইলিশ মাছ দিয়ে কাবাব তৈরি

ইলিশ দিয়ে কাবাব তৈরি

উপাদান                                    পরিমাণ

ইলিশ মাছ                                   ১ টি
কাঁচামরিচ                                   ৪ টি
টোস্টের গুঁড়া                               ১ কাপ
সয়াবিন তেল,                               ১/8 কাপ
আলু, মাঝারি                                ২টি
লেবু, সবুজ রঙের                           ১ টি
লেমন রাইণ্ড                                  ১ চা.চা.
লেবুর, রস                                     ১ টে. চা.
পেঁয়াজ                                         ৬ টি
লবণ                                            ২ চা. চা.
টমােটো সস                                   ২ টে. চা.
গােলমরিচ                                      ১/২ চা. চা.

ইলিশ মাছ দিয়ে কাবাব তৈরি

কাবাব তৈরির পদ্ধতি বা প্রণালী:
ইলিশ মাছের আঁশ ছাড়িয়ে ধুয়ে নাও। মাথার সঙ্গে মাঝের কাঁটা রেখে ছুরি দিয়ে দু’পিঠের মাছ আস্ত তুলে নাও। প্রথমে ছুরি দিয়ে মাথার সঙ্গে লাগিয়ে মাছ অল্প কাট যেন মাছের কাঁটা না কাটে।
তারপর ছুরির চোখা আগা দিয়ে বুক চিরে মাছের তেল বের করে মাছ ধুয়ে নাও।
এবার ট্রে বা রুটি বেলার পিড়ির উপর মাছ রেখে ছুরি দিয়ে মাঝের কাঁটা থেকে দু’পিঠের মাছ তুলে নাও।

কাজের ধারাবাহিকতা:

১. কাঁটাসহ মাছের মাথা বড় হাড়িতে নিয়ে অল্প পানিতে অল্প সিদ্ধ করে রাখ। (মাথা যেন না ভাঙ্গে)। বেকিং ট্রেতে মাথাসহ মাছের কাঁটা ও সামান্য পানি দিয়ে ওভেনেও সিদ্ধ করা যায়।
২. অল্প পানি দিয়ে মাছ সিদ্ধ কর। মাছ সিদ্ধ হলে ফুলকো ইলিশের মাছের কাঁটা বের করে মাছ কিমা করে নাও।
৩. আলু সিদ্ধ করে চটকে রাখ।
৪. একটি সবুজ রঙের লেবু গােল এবং পাতলা স্লাইস করে কেটে রাখ।
সবজি কুরুনিতে আর একটি লেবুর খােসার সবুজ অংশ ঝুরি করে লেমন রাইণ্ড নাও।
লেমন রাইণ্ড নেয়ার পর লেবুর রস বের করে রাখ। পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ কুচি কর।
৫. দু’টেবিল চামচ তেলে টোস্টের গুঁড়া হাল্কা ভেজে রাখ। কড়াইয়ে বাকি তেল দাও। পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ ভেজে তােল।
তেলে চটকানাে আলু দিয়ে ভাজ। পেঁয়াজের বেরেস্তা গুঁড়া করে অর্ধেকটা আলুতে দাও।
৬. আলু তুলে রেখে কড়াইয়ে আরও ১ টে. চামচ তেল দিয়ে মাছের কিমা, টমেটো সস, গােলমরিচ ও লবণ দিয়ে ৪-৫ মিনিট ভাজ।
ভাজা হলে বাকি বেরেস্তা ও কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে আলু দাও। সামান্য ভেজে নামাও।
৭. গরম মাছে চারভাগের তিনভাগ গরম বিস্কুটের গুঁড়া মিশাও।
৮. পরিবেশনের জন্য বড় ভাতের ডিস নাও। কাঁটাসহ মাছের মাথা ডিসের মাঝে লম্বায় বিছিয়ে রাখ। গরম মাছ কাঁটার উপর ঠিক ইলিশ মাছের আকারে বিছিয়ে দাও।
উপরে বাকি গরম টোস্টের গুঁড়া ছিটিয়ে দিয়ে মাছ ঢেকে দাও। হাত দিয়ে বিস্কুটের গুঁড়া সমান করে দাও। চামচের ডাট দিয়ে মাছের উপরে আঁশের মত দাগ কেটে কাবাব ইলিশের মাঝখানে লম্বায় লেবুর স্লাইস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন কর।
কাবাব ইলিশের দু’পাশে পটেটো চিপস অথবা রােস্ট পটেটো বা মাখনে সিদ্ধ সবজি দিয়ে পরিবেশন করা যায়।
লেবু দিয়ে সাজাবার আগে ওভেনে ১৯০° সেঃ (৩৭৫° ফাঃ) তাপে ২০-২৫ মিনিট বেক করে নেয়া যায়।
শেয়ার করুন

Similar Posts

  • ছোলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন

    ছোলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন ছোলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন: ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। ছোলা বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে অতি পরিচিত একটি উপাদান। নিম্নে কাঁচা ছোলা এবং রান্না করা ছোলার উপকারীতা আলোচনা করা হল: হজমে সহায়ক: হজমক্রিয়া সহজ করার জন্য আবশ্যক একটি উপাদান হল ভোজ্য আঁশ। আর…

    শেয়ার করুন
  • সবজি পোলাও প্রস্তুত প্রণালী

    সবজি পোলাও প্রস্তুত প্রণালী নতুন আলু                     ৬ টি                                 দারচিনি (২ সে. মি.)                ৩ টুকরা গাজর ছোট                 …

    শেয়ার করুন
  • কাঁঠাল এর উপকারীতা

    কাঁঠাল এর উপকারীতা কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল, এর ইংরেজী নাম হচ্ছে (Jackfruit)। বাংলাদেশের সব স্থানেই কম- বেশি কাঁঠাল পাওয়া যায়। বসন্ত ও গ্রীস্মের প্রথমে কাঁচা অবস্থায় এবং গ্রীস্ম ও বর্ষায় পাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ফলটি আকারে বেশ বড় হয়ে থাকে। এর পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক। কাঁঠালের ৪-৫ কোয়া থেকে ১০০ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি পাওয়া…

    শেয়ার করুন
  • শীতের সবজি নিরামিষ

    শীতের সবজি নিরামিষ শীতকাল মানেই বিভিন্ন ধরণের রঙিন তাজা শাক-সব্জির সমাহার। যা আমাদের দৃষ্টিকে করে মুদ্ধ। মনকে করে আনন্দিত। শরীরকে করে সজীব, সুস্থ ও রোগব্যাধি মুক্ত। চলুন জেনে নেয়া যাক শীতের সবজি নিরামিষ তৈরি করতে কি কি উপকরণ লাগে এবং প্রস্তুত প্রণালী: উপকরণ: বাঁধাকপি, মােটাকুচি                     …

    শেয়ার করুন
  • পুদিনা পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা

    পুদিনা পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা: পুদিনা পাতা সম্পর্কে আমাদের সকলের কম বেশি ধারণা রয়েছে। প্রায় সকল ধরনের রান্নায় পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। পুদিনা পাতা খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বর্তমানে পুদিনা পাতা ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। পুদিনা পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটোই রয়েছে। তবে পুদিনা পাতার মধ্যে কোন ক্ষতিকর পদার্থ নেই।…

    শেয়ার করুন
  • বিভিন্ন প্রকার ভর্তা তৈরি শিখুন

    ১. পটলের খােসার ভর্তা: উপকরণ: পটলের খােসা                                      ১ কাপ চিংড়ি মাছ                                          ৪ টি পেঁয়াজ       …

    শেয়ার করুন