ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এমন একটি পেশা যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়। আর তাই ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজন ভাল মানের ল্যাপটপ। এসব কাজ করতে হয় কম্পিউটার মধ্যে এর মাধ্যমে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে।

এই জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপ কিনতে হয়। অনেকে প্রশ্ন করে, ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো। ল্যাপটপ কেনার আগে লক্ষ্য রাখতে হবে কি কাজের জন্য ল্যাপটপ প্রয়োজন। সেই কাজের ধরণ অনুযায়ী ল্যাপটপ কিনতে হবে।

লেখালেখির বা ব্রাউজিং করার জন্য সাধারণ ল্যাপটপ হলে হবে। আর যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করতে চান তাহলে গ্রাফিক্স কার্ড দেখে ল্যাপটপ কিনতে হবে। ভিডিও এডিটিং এর কাজের জন্য গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন। নিম্নে আলোচনা করা হলো, ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে সকল ধরনের কাজ করা সম্ভব। বিশ্বের এক প্রান্তিক অন্য প্রান্ত সকল ধরনের কাজ করা যায়। এই কাজটি সহজ করে দিয়েছে ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট। এসব সুবিধার কারণে মানুষ ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে।
আরও পড়ুনঃ হারানো সিম বন্ধ করার উপায় বা সিম বন্ধ করার কোড
এটি সাধারণ জাতির মত কিন্তু এই চাকরির কোনো ধারাবন্ধা নিয়ম নাই। এখানে আপনি আপনার নিজের ইচ্ছামত কাজ করতে পারে। ইচ্ছা হলে কাজ করবে না হলে কাজ করবেন না। এই সব কাজকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, এখানে সকল ধরনের কাজ রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন পিসি ভালো

ফ্রিল্যান্সিং কাজ বর্তমান সময়ে সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, ফ্রিল্যান্সিং কাজ নিজের ইচ্ছা মতো ঘরে বসে করা যায়। তবে, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে হলে প্রয়োজন একটি পিসি। কারণ, কম্পিউটার সারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা অসম্ভব। তবে সব পিসি দিয়ে সকল ধরনের কাজ করা যায় না।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন পিসি ভালো

ফ্রিল্যান্সিং কাজের অনেকগুলো ধরণ রয়েছে। কাজের ধরনের উপর ভিত্তি পিসি নিতে হবে। আপনি যদি সাধারন ব্রাউজিং বা লেখালেখির কাজ করেন তাহলে সাধারণ মানের পিসি নিলেই হবে। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই গ্রাফিক্স কার্ড দেখে পিসি নিতে হবে।

ভিডিও এডিটিং বা ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে চাই তাহলে অবশ্যই গ্রাফিক্স কার্ড দেখে পিসি নিতে হবে। এবং পিসির প্রসেসর ভালো হতে হবে। কারণ, প্রসেসর শক্তিশালী না হলে পিসির গতি কমে যাবে। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজের জন্য ল্যাপটপ বা পিসি নিচ্ছেন সেটা ভালো করে জানতে হবে। তাহলে সঠিক ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ বা পিসি কিনতে পারবেন।

গ্রাফিক্সের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো

গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে ভালো মানের ল্যাপটপ এর প্রয়োজন। কারণ, গ্রাফিক ডিজাইন করতে শক্তিশালী ল্যাপটপ ছাড়া সকলে অ্যাপস সাপোর্ট করে না। এবং ল্যাপটপ হ্যাং করে। এছাড়াও সকল ধরনের ল্যাপটপ দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করা সম্ভব না। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে হলে অবশ্যই ল্যাপটপে গ্রাফিক্স কার্ড থাকতে হবে।

অনেকেই জানতে চাই গ্রাফিক্সের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো। এটা উল্লেখ করে বলার কিছু নাই। কারণ, প্রতিটি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের বিভিন্ন ধরনের কোয়ালিটি রয়েছে। কাজের জন্য ল্যাপটপ রয়েছে এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন বা গেমিং ল্যাপটপ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

ল্যাপটপ দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করলে অবশ্যই ল্যাপটপে গ্রাফিক্স কার্ড থাকতে হবে। এবং কোর আই ফাইভ এর উপর হতে হবে। এবং প্রসেসর ভালো হতে হবে। সাধারণ মানের ল্যাপটপ দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করা যায়।

তবে সাধারণ ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করলে ল্যাপটপে লোড নেয় এবং অনেক সময় ল্যাক করে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য ল্যাপটপ কিনতে হলে প্রথমে ল্যাপটপের সকল ফিউচার দেখে নিতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ল্যাপটপ

ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের অনেক অপশন রয়েছে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ করতে তেমন ভালো ল্যাপটপ এর প্রয়োজন পড়ে না। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে শুধু ভাল ব্রাউজিং হয় এমন ল্যাপটপ এর প্রয়োজন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল কাজ করতে হয় অনলাইনে। এসব কাজ করতে ল্যাপটপের তেমন চাপ পড়ে না। তবে ভালো মানের ল্যাপটপ হলে কাজের গতি বেশি হয়। তবে ভালো ল্যাপটপ হতে হবে এমন কোন কথা নেই। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করতে শুধু প্রয়োজন একটি ল্যাপটপ। যে কোন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন।

যদি আপনি ল্যাপটপ দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা ভিডিও এডিটিং এর কাজ করেন তাহলে ভালো মানের ল্যাপটপের প্রয়োজন। কারণ, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং করতে অনেক চাপ পড়ে ল্যাপটপে। এছাড়াও গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করা যায় না। আর যেসব ল্যাপটপে গ্রাফিক্স কার্ড থাকে সেসব ল্যাপটপ উন্নতমানের হয়।

ল্যাপটপের জন্য কোন প্রসেসর ভালো

ল্যাপটপে অনেক ধরনের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে জনপ্রিয় প্রসেসর দুইটি। ইনটেল ও রাইজেন। এই দুই কোম্পানির প্রসেসর বর্তমান সময়ে বাজার দখল করে রেখেছে। প্রসেসর ভালো না হলে ল্যাপটপে ভালো কাজ করে না। তবে একটি কোম্পানির প্রসেসর সকল দিকে ভালো হবে এমন কোন কথা না।

বিভিন্ন কাজের অপর ভিত্তি করে ল্যাপটপে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন কোম্পানির প্রসেসর এর ভিন্ন ভিন্ন ফিউচার রয়েছে। তবে জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য প্রসেসর হচ্ছে ইনটেল। এই প্রসেসর অনেকদিন থেকেই ব্যবহার হয়। এবং এখনো ইনটেল ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। ল্যাপটপে প্রসেসর ভালো না হলে কাজের গতি কম হয়। অনেক সময় ল্যাপটপ ল্যাক করে।

নতুন ল্যাপটপ কেনার টিপস

ল্যাপটপ কেনার আগে নতুন ল্যাপটপ কেনার টিপস জানা প্রয়োজন। ল্যাপটপ কেনার আগে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে কি কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনবেন। কারণ, ল্যাপটপের বিভিন্ন ফিউচার এবং কোয়ালিটি রয়েছে। বিভিন্ন কাজের ওপর নির্ভর করে ল্যাপটপ তৈরি করা হয়।

আরও পড়ুনঃ আমার গুগল একাউন্টের নাম কি বা অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
যেমন, কেউ ল্যাপটপ কিনে শুধু লেখালেখি কাজের জন্য। আবার কেউ কিনে ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য। তবে যে কোন ল্যাপটপ কেনার আগে কিছু টিপস জেনে থাকা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেই ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপের কি কি দেখে ল্যাপটপ।
  1. ল্যাপটপের ডিসপ্লে
  2. ল্যাপটপের ওজন
  3. ল্যাপটপের র‍্যাম ও রম
  4. অপারেটিং সিস্টেম
  5. ফিউচার
  6. ল্যাপটপের জেনারেশন
  7. ল্যাপটপ আকার
  8. ব্র্যান্ড
সাধারণত ল্যাপটপ কেনার আগে এইসব বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, সঠিক ভাবে যাচাই না করে ল্যাপটপ কিনলে পরে সমস্যা পড়তে হয়।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়

বর্তমান সময়ে পুরাতন ল্যাপটপ অনেকেই ক্রয় করছে। কারণ, অনেক কম দামে ভালো মানের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। তবে সঠিকভাবে যাচাই না করে কিনলে পরে পস্তাতে হয়। কিছু কিছু দিকে লক্ষ রাখলে ভালো মানের পুরাতন ল্যাপটপ কিনা সম্ভব। চলুন জেনে নেই, পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কি কি?
  1. ক্যাশ মেমো দেখে ল্যাপটপ কিনা।
  2. ল্যাপটপ জেনারেশন।
  3. ইম্পোর্ট আউটপুট পোর্ট গুলো পরীক্ষা করা।
  4. ইউএসবি পোর্ট পরীক্ষা করা।
  5. ল্যাপটপের বডি পরীক্ষা করা।
  6. Headphone পোট পরীক্ষা করা।
  7. মাইক্রোফোন পরীক্ষা করা।
  8. সকল ধরনের সেটিং পরীক্ষা করা।
  9. কিবোর্ড বাটন পরীক্ষা করা।
  10. টাচ প্যাড পরীক্ষা করা।
  11. ব্যাটারি পরীক্ষা করা।
  12. ডিসপ্লে পরীক্ষা করা।
  13. অপারেটিং সিস্টেম চেক করা।
সাধারণত পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে গেলে এই সব দিকগুলো দেখতে হয়। তাহলে প্রতারকের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ল্যাপটপের মডেল দেখার নিয়ম

বর্তমান আধুনিক যুগ। এখন ল্যাপটপ কেনার আগে ঘরে বসে ল্যাপটপ সম্পর্কে সকল তথ্য পাওয়া সম্ভব। কারণ, ইউটিউবে সার্চ দিলে কত টাকার মধ্যে ল্যাপটপ কিনবেন। এবং কি কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনেন। সকল কিছুই ইউটিউবে এবং google এ পাওয়া সম্ভব। তবে কোন ব্যান্ডের ল্যাপটপ চিনবেন সেটা উল্লেখ করলে মডেল দেখতে ভালো হয়।

ল্যাপটপের মডেল উল্লেখ থাকে ল্যাপটপের গায়ে এবং ল্যাপটপের বক্সে। তবে ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপ সম্পর্কে তথ্য যাচাই করে নেওয়া উচিত। কারণ, অনলাইনে ল্যাপটপের মডেল কম্পিউটার উল্লেখ করা থাকে। এবং কত টাকা দাম সকল কিছুই উল্লেখ করা থাকে। তাই ল্যাপটপ কিনার আগে। ল্যাপটপ সম্পর্কে ধারণা নেয়া উচিত।

শেষ কথা: ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো

বর্তমান সময়ে এসে মানুষ চাকরি পাচ্ছে না। এই কারণে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে শুরু করেছে। তবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে হলে অবশ্যই একটা ল্যাপটপ প্রয়োজন। কারণ, ল্যাপটপ ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করা অসম্ভব। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে হলে অবশ্যই ভালো ল্যাপটপ নিতে হবে।

ভালো ল্যাপটপ বলতে দেখতে ভালো না যেসব ল্যাপটপের ফিউচার ভালো। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক কাজের ধরন রয়েছে। কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপ কিনতে হয়। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *