187176397 981899115959742 7595312469543462031 n

লাইলাতুল ক্বদরের নিয়্যত, গুরুত্ব ও ফজিলত

লাইলাতুল ক্বদরের নিয়্যত, গুরুত্ব ও ফজিলত

187176397 981899115959742 7595312469543462031 n

  • লাইলাতুল ক্বদর নামাজের নিয়্যত:নাওয়াইতুআন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাক’আতাই ছালাতি লাইলাতুল ক্বদর-নাফলী মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার”।
  • অর্থ: ”আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে শবে ক্বদরের দু’রাকাত নফল নামাজ আদায়ের নিয়্যত করলাম -আল্লাহু আকবার’’।
  • লাইলাতুল ক্বদরের গুরুত্ব:

আরবী ভাষায় লাইলাতুল শব্দের অর্থ হল , রাত্রী বা রজনী এবং ক্বদর শব্দের অর্থ হল সম্মান বা মর্যাদা। সুতরাং লাইলাতুল ক্বদর শব্দের অর্থ হল সম্মানজনক রাত্রী বা অধিক মর্যাদাপূর্ণ রাত্রী।শবে ক্বদর মানে সম্মানের রাত।

২৭শে রমজান বা শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতসমূহে(যথা-২১,২৩,২৫,২৭,২৯) সাধারনত: শবে ক্বদরের নামাজ পড়া হয়। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে, শবে ক্বদরের রাত এক হাজার রাতের চেয়েও উত্তম। হাদীস শরীফে এ রাতের অশেষ কল্যানের কথা ঘোষনা করা হয়েছে।

আরও দেখুনঃ কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার প্রিয় নবী জনাবে মোস্তপা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের প্রতি খুবই দয়াময়, তাই তিনি এই উম্মতের জন্য বিশেষ উপলক্ষে এমন কতগুলো বরকতময় দিন ও সময় নির্ধারন করেছেন যে সময়ে অতি অল্প আমলের মাধ্যমেও তারা অনেক পূন্য অর্জন করতে পারে। যেমন লাইলাতুল বরাত ও লাইলাতুল ক্বদরের মাধ্যমে অশেষ পূন্য অর্জন।

লাইলাতুল বরাত হলো আরবী বারো মাসের মধ্যে অষ্টম মাসের একটি বরকতময় রাত। এ মাসটির নাম হলো শা’বান। এই মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে বলা হয় লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত। লাইলা অর্থ হলো রাত, আর বরাত অর্থ হলো নাজাত বা মুক্তি।

আরও দেখুনঃ সুষম খাদ্য কি? এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

এ রাতে গুনাহ্ গার বান্দাগন নামাজ, যিকির-আজকার ,ইবাদাত বন্দেগী ও তাওবা দ্বারা গুনাহ হতে ক্ষমা লাভ করে এবং দোযখ হতে নাজাত ও মুক্তিলাভ করে থাকে। লাইলাতুল বরাত বা ১৪ তারিখ দিবাগত রাতের ফজিলত ও গুরুত্বের কারনে শা’বান মাসের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। হাতের ইবাদাতের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য হয়ে থাকে।

  • লাইলাতুল ক্বদরের ফজিলত:

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,হে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন! রজব ও শা’বান ও শা’বান মাসে আমাদের জন্য বরকত নাজিল করুন এবং আমাদেরকে এর বরকত রমজান পর্যন্ত পৌছে দিন। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো এরশাদ করেছেন শা’বান আমার মাস এবং রমজান আল্লাহর মাস।

তাই রমজান মাসের গুরুত্ব অপরাপর মাসের চেয়ে অনেকগুন বেশি। কিন্তু শা’বান মাসের গুরুত্ব রমজানের পরপরই গন্য হবে।

শবে বরাতের রাতে পরম করুনাময় আল্লাহ পাকের নির্দেশে পরবর্তী এক বছরের জন্য সৃষ্টি জগতের হায়াত, মৃত্যু, রিজিক, ধন-দৌলত, ভালমন্দ, সুখ-দু:খ, উন্নতি-অবনতি, ইত্যাদি তৈরি করা হয় এবং লাওহে মাহফুজ হতে ফেরেশতাদের নিকট প্রেরন করা হয়।এ রাতে সমস্ত মানবজাতির আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়।

সুতরাং দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর বিশেষ রহমত ও করুনা লাভের আশায় এ রাতে ইবাদাতে মগ্ন থাকা একান্ত জরুরী ও অপরিহার্য়।

শেয়ার করুন

Similar Posts

  • মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য

    মোহরানা ও কাবিন শব্দের সাথে আমরা কম বেশি সকলে পরিচিত। মহর হলো বিবাহর সময় পাত্রীর দাবীকৃত সম্পদ। যা বর বা বরের পরিবার থেকে পাত্রীকে প্রদান করতে হয়। ইসলাম ধর্মে মোহরানা বাধ্যতামূলক। মোহরানার মাধ্যমে বিয়ে পূর্ণাঙ্গ বৈধ করা হয়েছে। মহানবী সাঃ এর মাধ্যমে যৌতুক প্রথা নিষিদ্ধ করে দেনমোহর প্রথা চালু হয়েছে। মোহরানা ও কাবিন এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কারণ, আগে…

    শেয়ার করুন
  • কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত

    কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত => আমরা সকলেই জানি প্রত্যেক মুসলমানের উপর মহান আল্লাহ তা’আলা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যদি কোন কারনে এই ওয়াক্তের নামাজ সময়মত না পড়া হয় তখন তাকে কাজা নামাজ বলা হয়। কাজা নামাজ পড়া আবশ্যক আমরা অনেকেই হয়তো এই কাজা নামাজ এর গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত নয়, অনেকেই হয়তো আমরা…

    শেয়ার করুন
  • রমজানের সময় সূচি 2023 ইসলামিক ফাউন্ডেশন

    আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত ভিজিটর। আশা করি সবাই ভালো আছেন। রমজান মাস প্রতিটি মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রমজান মাসের মর্যাদা সকল মাসের থেকে অনেক বেশি। এই মাসে সিয়াম পালন করতে হয়। এবং এই মাসেই পবিত্র কুরআন মাজীদ নাযিল হয়েছে। এই কারণে সকলের কাছে রমজান মাসের পবিত্রতা অনেক। রমজান মাস আসলেই মুসলমানের মধ্যে আনন্দ শুরু হয়। এই মাসেই ইবাদত…

    শেয়ার করুন
  • ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ

    ওজু নামাজ পালনের জন্য ফরজ ইবাদত। ইতোপূর্বে ওজুর ফরজ, সুন্নাত, আহকাম ও তারতিব তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু কি কারণে ওজু মাকরূহ হয় এবং ভঙ্গ হয়ে যায়, তা জানা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ: ১. শরীরের কোন অংশ থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে। ২. জ্ঞান হারালে। ৩. মুখ ভরে বমি হলে।…

    শেয়ার করুন
  • ওযুর দোয়া, ফরয ও সুন্নতসমূহ

    ওযুর দোয়া, ফরয ও সুন্নতসমূহ ওযুর দোয়া: بسم الله العلي العظيم والحمد يلي على دين الام الإسلام والقرباط الإشم تور وانگر لمة উচ্চারণ : বিসৃমিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম, ওয়াল হামদু লিল্লাহি আ’লা-দ্বীনিল ইসলাম, আল-ইসলামু হাক্কুন ওয়াল কুরু বাতিলুন, আল-ইসলামু নূরুন ওয়াল কুফরু যুলমাতুন। বঙ্গানুবাদ: আল্লাহ তা’আলার নামে শুরু করছি যিনি সর্বমহান এবং যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য,…

    শেয়ার করুন
  • পাঁচ (৫) কালিমা উচ্চারণ, অর্থ ও বঙ্গানুবাদসহ

    মুসলমান হওয়ার প্রথম শর্ত কালিমা পাঠ: আভিধানিক অর্থে কালিমা হলাে বাক্য, শব্দ, কথা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে বিশ্বাস স্থাপনের এমন কতিপয় বাক্য বা বাক্যসমষ্টিকে কালিমা বলে। যা পাঠ করলে পাঠকারীর জন্য মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ ছাড়া অন্য যে কোন নির্দেশ পালন করা এবং ভিন্ন পথে চলা নিষিদ্ধ। কালিমাগুলাের প্রতি বিশ্বাস হচ্ছে আন্তরিক ঈমানের…

    শেয়ার করুন