লাইলাতুল ক্বদরের নিয়্যত, গুরুত্ব ও ফজিলত
লাইলাতুল ক্বদরের নিয়্যত, গুরুত্ব ও ফজিলত
- লাইলাতুল ক্বদর নামাজের নিয়্যত:“নাওয়াইতুআন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাক’আতাই ছালাতি লাইলাতুল ক্বদর-নাফলী মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার”।
- অর্থ: ”আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে শবে ক্বদরের দু’রাকাত নফল নামাজ আদায়ের নিয়্যত করলাম -আল্লাহু আকবার’’।
-
লাইলাতুল ক্বদরের গুরুত্ব:
আরবী ভাষায় লাইলাতুল শব্দের অর্থ হল , রাত্রী বা রজনী এবং ক্বদর শব্দের অর্থ হল সম্মান বা মর্যাদা। সুতরাং লাইলাতুল ক্বদর শব্দের অর্থ হল সম্মানজনক রাত্রী বা অধিক মর্যাদাপূর্ণ রাত্রী।শবে ক্বদর মানে সম্মানের রাত।
২৭শে রমজান বা শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতসমূহে(যথা-২১,২৩,২৫,২৭,২৯) সাধারনত: শবে ক্বদরের নামাজ পড়া হয়। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে, শবে ক্বদরের রাত এক হাজার রাতের চেয়েও উত্তম। হাদীস শরীফে এ রাতের অশেষ কল্যানের কথা ঘোষনা করা হয়েছে।
আরও দেখুনঃ কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার প্রিয় নবী জনাবে মোস্তপা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের প্রতি খুবই দয়াময়, তাই তিনি এই উম্মতের জন্য বিশেষ উপলক্ষে এমন কতগুলো বরকতময় দিন ও সময় নির্ধারন করেছেন যে সময়ে অতি অল্প আমলের মাধ্যমেও তারা অনেক পূন্য অর্জন করতে পারে। যেমন লাইলাতুল বরাত ও লাইলাতুল ক্বদরের মাধ্যমে অশেষ পূন্য অর্জন।
লাইলাতুল বরাত হলো আরবী বারো মাসের মধ্যে অষ্টম মাসের একটি বরকতময় রাত। এ মাসটির নাম হলো শা’বান। এই মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে বলা হয় লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত। লাইলা অর্থ হলো রাত, আর বরাত অর্থ হলো নাজাত বা মুক্তি।
আরও দেখুনঃ সুষম খাদ্য কি? এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
এ রাতে গুনাহ্ গার বান্দাগন নামাজ, যিকির-আজকার ,ইবাদাত বন্দেগী ও তাওবা দ্বারা গুনাহ হতে ক্ষমা লাভ করে এবং দোযখ হতে নাজাত ও মুক্তিলাভ করে থাকে। লাইলাতুল বরাত বা ১৪ তারিখ দিবাগত রাতের ফজিলত ও গুরুত্বের কারনে শা’বান মাসের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। হাতের ইবাদাতের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য হয়ে থাকে।
- লাইলাতুল ক্বদরের ফজিলত:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,হে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন! রজব ও শা’বান ও শা’বান মাসে আমাদের জন্য বরকত নাজিল করুন এবং আমাদেরকে এর বরকত রমজান পর্যন্ত পৌছে দিন। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো এরশাদ করেছেন শা’বান আমার মাস এবং রমজান আল্লাহর মাস।
তাই রমজান মাসের গুরুত্ব অপরাপর মাসের চেয়ে অনেকগুন বেশি। কিন্তু শা’বান মাসের গুরুত্ব রমজানের পরপরই গন্য হবে।
শবে বরাতের রাতে পরম করুনাময় আল্লাহ পাকের নির্দেশে পরবর্তী এক বছরের জন্য সৃষ্টি জগতের হায়াত, মৃত্যু, রিজিক, ধন-দৌলত, ভালমন্দ, সুখ-দু:খ, উন্নতি-অবনতি, ইত্যাদি তৈরি করা হয় এবং লাওহে মাহফুজ হতে ফেরেশতাদের নিকট প্রেরন করা হয়।এ রাতে সমস্ত মানবজাতির আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়।
সুতরাং দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর বিশেষ রহমত ও করুনা লাভের আশায় এ রাতে ইবাদাতে মগ্ন থাকা একান্ত জরুরী ও অপরিহার্য়।