শিশু যাতে স্কুল থেকে না পালায় এজন্য পরিবার ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আগে থেকেই কতকগুলাে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আমরা সব-সময় বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করব, কারণ সেটা তাদের মন-মানসিকতাকে উন্নত করবে। যেমন-
শিশুর গৃহ পরিবেশ উন্নত করতে হবে। গৃহে শিশু যাতে অবহেলিত বা প্রত্যাখ্যাত না হয় অথবা অতিরিক্ত আদর ও শাসনে বেড়ে না ওঠে সেদিকে পিতামাতার লক্ষ্য রাখা দরকার।
সাংসারিক অভাব অনটন যাতে শিশুর মনকে পীড়িত না করে সেদিকেও বাবা মাকে সচেতন থাকতে হবে।
পিতামাতার ভালবাসা, প্রজ্ঞা ও সুপরিচালনাই শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনকে সমস্যাহীন ও ঝঞাটমুক্ত রাখতে পারে।
গৃহ পরিবেশের মতাে বিদ্যালয় পরিবেশে যাতে শিশুদের মৌলিক চাহিদার পরিতৃপ্তি ঘটে সেদিকে শিক্ষকের দৃষ্টি রাখা দরকার।
বিদ্যালয়ের পরিবেশ চিত্তাকর্ষক, আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক হলে শিশুরা নিজেরাই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে এবং লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহী হবে।
বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সহপাঠ্যক্রমিক ও সৃজনমূলক কাজের ব্যবস্থা থাকবে, যার মাধ্যমে শিশুরা তাদের সম্ভাবনার স্ফুরণ ঘটাতে সক্ষম হবে।
শিশুর সামর্থ্য, রুচি ও প্রবণতার ভিত্তিতে পাঠ্যক্রম রচনা করতে হবে। পাঠদান পদ্ধতি নমনীয় ও আকর্ষণীয় হতে হবে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সুমধুর সম্পর্ক গড়ে উঠলে শিক্ষার্থী তার সমস্যার কথা শিক্ষককে অকপটে খুলে বলতে পারবে এবং শিক্ষক তার সমস্যা দূরীকরণের জন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
আমরা যদি বাচ্চাদের স্কুল পলায়নের সঠিক প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করতে না পারি, তাহলে কিন্তু দেশ ও জাতি দুটোই বিপদে পড়বে।