ভিটামিন-সি এর প্রথম এবং প্রধান উৎস হল আমলকী। আমলকী এক ধরনের ভেষজ ফল। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম ‘আমালিকা’। একজন মানুষ যদি প্রতিদিন ৬ দশমিক ৫ গ্রাম আমলকী (৬.৫গ্রাম) খান, তবে অনেক রোগ থেকেই মুক্ত থাকতে পারবেন।
১. আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
২. এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
৩. আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
৪. এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
৫. আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।
৬. প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
আমলকীর পুষ্টিগুন:
ভিটামিন-সি এর অপর নাম হল আমলকি। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকির জুড়ি নেই। এছাড়া লিভার, জন্ডিস, পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারার চেয়ে ১০ গুণ ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে থাকে ৯ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন। ফলের ক্যারোটিন ভিটামিন এ’র কাজ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে ০.০৩ মি.গ্রা থায়ামিন, ০.০১মি.গ্রা রিবোফ্লেভিন ও ১.২ মি.গ্রা লৌহ পাওয়া যায়।
আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে ৬০০ মি.গ্রা ভিটামিন পাওয়া যায়। যা একটি বড় মাপের কমলার চেয়ে বেশি। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে ৫০ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম ও ২০ মি.গ্রা ফসফরাস থাকে। সুস্থ সবল থাকতে প্রতিদিন মৌসুমি ফল আমলকী খাওয়ার পরামর্শ দেন ফারাহ মাসুদা। কারণ আমলকীর নানা গুণের মধ্যে আছে-ভিটামিন-সি।
আমলকীতে সলিউবল ফাইবার নামে এক প্রকার তন্তু থাকে। আমলকীর রস শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমলকী খেলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সব-সময় সচল এবং গতিশীল থাকে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কি করা উচিত? সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণা নয়। অসাধারণ প্রতিভার লোকজনের মস্তিষ্ক সম্পর্কে সাধারন মানুষের অনেক কৌতুহল থাকে। ওইসব মানুষের মস্তিষ্ক সাধারণ মানুষের চেয়ে কি অন্যরকম। বিভিন্ন গবেষণা করে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন। গবেষণায় দেখা যায় প্রত্যেকটা মানুষেরই স্মৃতিশক্তি সমান। তার সঙ্গে আরো গবেষণা করে দেখেছেন কিভাবে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা যায়। কিছু উপায় রয়েছে যার…
দীর্ঘদিন নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কের আলোচনা করা হলো। নিম গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা সম্ভব না। নিম গাছের মূল থেকে পাতা সবগুলোই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিম গাছ একটি চিরহরিৎ উদ্ভিদ। যার ফলে নিম গাছের পাতা সব সময় থাকে। নিম গাছ দেখলে মনে হয় এটা মানুষের উপকারের জন্যে পৃথিবীতে এসেছে। এশিয়া মহাদেশে সব…
বাচ্চাদের জন্য কোন সাবান ভালো সেটা আমরা অনেকেই জানিনা। এটা জানা আমাদের সকলের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কারণ,বাচ্চা বা শিশুদের ত্বক অনেক নরম ও মসৃণ হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ত্বকের থেকে শিশুদের ত্বকে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এই কারণে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সাবান শিশুরা ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ বয়স্ক মানুষের শ্রাবনে প্রচুর পরিমাণ ক্ষার থাকে। এই কারণে…
পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়: পায়ের সর্বশেষ অংশকেই পায়ের গোড়ালে বলা হয়। পায়ের গোড়ালি হাঁটার সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ গোড়ালে কোন সমস্যা হলে হাটা সম্ভব। তবে অনেক সময় পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা করে। হাঁটার সময় আঘাত লাগলে বা খেলাধুলার সময় আঘাত লাগলে ব্যথা হয়। এছাড়াও হরমোন জনিত সমস্যার কারণে পায়ের গোড়ায় ব্যথা করে। তবে, পায়ের গোড়ালি ব্যথা…
হরমোন এক ধরনের তরল জৈব রাসায়নিক। শরীরের স্বাভাবিক কর্ম ক্ষমতা বজায় রাখতে হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের কোন গ্রন্থি বা কোষ থেকে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে হরমোন নিঃসরিত হয়। বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে তৈরি হয়ে রক্তের মাধ্যমে আমাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। হরমোনের ক্রিয়া পর ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। হরমোন বলতে কী বোঝায়? হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায়। হরমোন সমস্যার কারণে বিভিন্ন ধরনের…
কিডনি ভালো রাখার উপায়: মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। মানুষের দেহে দুইটি কিডনি থাকে। কিডনির প্রধান কাজ হচ্ছে রক্ত থেকে বজ্র পদার্থ পৃথক করা। এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের বজ্র পদার্থ বের করে দেওয়া। সাধারণভাবে বলতে গেলে কিডনি আমাদের দেহে ছাঁকুনির মত কাজ করে। মানবদেহ থেকে সকল ধরনের বজ্র পদার্থ বের করে এবং শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক…