জেনে নিন, মেয়েদের সেফটি পিনের আসল রহস্য
জেনে নিন, মেয়েদের সেফটি পিনের আসল রহস্য
সেফটি পিন কি?
আমরা কত কিছুই তো জানি বা জানার চেষ্ঠা করি ৷ কিভাবে ট্রেন আবিষ্কার হল প্লেন আবিষ্কার হল ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ কিন্তু অনেকেই জানি না ছোট অতি প্রয়োজনীয় সেফটি পিনটি কিভাবে, কখন, কোথায় , কে আবিষ্কার করলো ৷ আমরা এটা জানি বা জানার চেষ্ঠা করেছি কী বা হাতে গুনা হয়তো কয়েক জানি বা জানি এটা আবিষ্কারের রহস্য ৷
আরও দেখুনঃ মেয়েদের রূপচর্চা করার সঠিক নিয়ম
সেফটি পিনটি হাতে নিয়ে ব্যবহার করার আগ মুহুর্তে আমাদের মনে একবার হলেও তো প্রশ্ন জেগেছে ছোট সেফটিপিনটি কিভাবে প্রথম কে আবিষ্কার করলো। এটা হয়তো অনেকেরি হয়েছে ৷ বস্তুটি ছোট কিন্তু খুবই প্রয়োজনীয় ৷ বিশেষ করে নারীদের ফ্যাশনের ক্ষেত্রে ছোট এই জিনিসটির ব্যবহার অপরিহার্য্য ।
জামার সাথে উড়ন্ত ওড়না কিংবা ব্লাউজের সঙ্গে শাড়ির আঁচল আটকে রাখতে সেফটিপিনের ব্যবহার বহু পুরোনো ৷ চলুন তাহলে জেনে নেই মেয়েদের বহুল ব্যবহৃত সেফটিপিন কীভাবে, কে আবিষ্কার করলো৷
সেফটি পিনের আবিষ্কারক:
সময়টা তখন ১৮৪৯ সন ঠিক তখনি উদ্ভাবিত হয় সেফটি পিন। উদ্ভাবনের গল্পটাও আপনাকে চমৎকৃত করবে ৷ ব্যপারটা বেশ মজারও বটে । যুক্তরাষ্ট্রের যন্ত্রকৌশলী ওয়াল্টার হান্ট (Walter Hunt) তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে ১৫ ডলার ধার করেছিলেন। কিছুতেই সে ধার শোধ দিতে পারছিলেন না।
আরও দেখুনঃ আমাদের জিডিপি ছিল পুরো ইউরোপের চেয়েও বেশি
ভাবছিলেন, এমন কিছু একটা তৈরি করা যায় কি না, যার উপার্জিত অর্থ দিয়ে ধারটা শোধ করা যায়। ভাবতে ভাবতে লম্বা তারের টুকরা বেঁকিয়ে দিলেন সেফটি পিনের আকার। মাথার দিকটায় লাগিয়ে দিলেন একটা খাপ, যাতে গায়ে ফুটে না যায়। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল সেফটি পিন।
১৮৪৯ সালের ১০ই এপ্রিল রীতিমতো পেটেন্ট করিয়ে নিলেন। সেই পেটেন্ট বিক্রি করে পেলেন ৪০০ ডলার। ধার শোধ তো হলোই, দিনে দিনে লাখ লাখ ডলারের মালিক হয়ে উঠলেন। আর এরি নাম বুদ্ধির জুর ৷ অবশ্য এ ঘটনার জন্য আপনি উনাকে গোপাল ভাড় বলতে পারেন না ৷ গোপাল ভাড় সমন্ধে না হয় অন্যদিনি বলবো ৷