অনলাইনে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম
বর্তমান সময়ে মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হচ্ছে জাতীয় পরিচয় পত্র। এটার মাধ্যমে সকল ধরনের কাজ করা সম্ভব। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে হলে অবশ্যই আইডি কার্ড দেখাতে হয়। আইডি কার্ড ছাড়া সরকারি কোন কাজ করা সম্ভব হয় না।
তবে বর্তমানে অনেকে নিজের এলাকা পরিবর্তন করছে। যার ফলে ভোটার এলাকার পরিবর্তন করতে হয়। কিন্তু অনেকেই, অনলাইনে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম সম্পর্কে জানেনা। অনলাইনে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সময়ে।
অফিসিয়াল ভাবে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করা হতো। কিন্তু আধুনিকতার ফলে সকল কাজ অনলাইনে হচ্ছে। এই কারণে খুব সহজেই অনলাইনে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করা যাচ্ছে। অনলাইনে করার ফলে ভোগান্তি অনেক কমেছে। এবং সময়ও কম লাগছে।
যার ফলে সব মানুষ অনলাইনে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে নিচ্ছে। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লে অনলাইনে ভোটার এলাকা পরিবর্তন এর নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই সম্পূর্ণ লেখাটি পড়বেন।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম
আরও পড়ুনঃ আমার গুগল একাউন্টের নাম কি বা অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি।
- যে এলাকায় স্থানান্তর হবে সেই এলাকার নাগরিকত্ব।
- সেই এলাকার পানি বিল, বিদ্যুৎ বিল, ট্যাক্স রশিদ, জমির খতদান এর ফটোকপি দিতে হবে।
- নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া ফরমের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় আবেদনকারীর শনাক্তকরণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষর ও সিল থাকতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসের নিয়ম মত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কতদিন সময় লাগে
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কতদিন সময় লাগে এটা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কারণ, এই কাজটি করতে হয় নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে। সাধারণত এসব কাজ করতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে। আবার কখনো কখনো ১ মায়ের সময় লাগে।
এই কাজটি সম্পন্ন নির্ভর করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও কর্মচারীদের কাজের উপর। তারা যত দ্রুত কাজ করে দিবে আপনার ভোটার এলাকা তত দ্রুত পরিবর্তন হবে।
দ্রুততমভাবে যদি ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান? তাহলে অফিসে আবেদন ফরম জমা দেওয়ার পর অফিসের কর্মকর্তাদের কাজের ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কতদিন সময় লাগবে।
অনলাইনে ভোটার স্থানান্তরের প্রত্যয়ন পত্রের নমুনা
ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন সংশোধন করা যায়?
বর্তমান সময়ে অনেকেই ভোটার এলাকা পরিবর্তন করছে। এর পরিবর্তন করার সময় ঠিকানা ভুল হচ্ছে। এ ভুলটা হয়ে থাকে বিভিন্ন কারণে। তবে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। ঠিকানা পরিবর্তন করতে সর্বপ্রথম উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ হারানো সিম বন্ধ করার উপায় বা সিম বন্ধ করার কোড
- জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি।
- সনদপত্রের ফটোকপি।
- সংশোধনীয় টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার রশিদ।
সাধারণত এসব কাগজ দিলে হয়। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের নিয়ম থাকে। এই কারণে, নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করলে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন।
স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে কি কি লাগে?
বাংলাদেশের সকলের স্থায়ী ঠিকানার সনদপত্র হচ্ছে ন্যাশনাল আইডি কার্ড। যাতে সফল ধরনের তথ্য দেওয়া রয়েছে। বর্তমানে ন্যাশনাল আইডি কার্ড আধুনিক করা হয়েছে। আধুনিক আইডি কার্ডকে স্মার্ট কার্ড বলা হয়। স্মার্ট কার্ডে ব্যক্তির সকল ধরনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বর্তমানে মানুষ স্থায়ীভাবে স্থানান্তর হচ্ছে। যার কারণে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে হচ্ছে। অনেকেই জানতে চাই, স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে কি কি লাগে? বর্তমান সময়ে অনলাইনে আবেদন করে ঠিকানা পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু অনেক সময় সমস্যা হয়।
এসব কারণে, নির্বাচন অফিস থেকে ঠিকানা পরিবর্তন করায় ভালো। ঠিকানা পরিবর্তন করতে সর্বপ্রথম নির্বাচন অফিসে যেতে হয়। তারপর নির্বাচন অফিস থেকে একটি ফরম দেয়। ফরমে সকল কিছু উল্লেখ করা থাকে।
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের ফটোকপি।
- যে এলাকায় স্থানান্তর হবে সেই এলাকার নাগরিকত্ব।
- সেই এলাকার পানি বিল, বিদ্যুৎ বিল, ট্যাক্স রশিদ, জমির খতদান এর ফটোকপি দিতে হবে।
- নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া ফরমের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় আবেদনকারীর শনাক্তকরণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষর ও সিল থাকতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসের নিয়ম মত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
- এছাড়াও যেসব নির্বাচন অফিস থেকে উল্লেখ করবে সেসব জমা দিতে হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কত দিন লাগে?
জাতীয় পরিচয়পত্রে অনেক ভুল থাকে। এসব ভুল নির্বাচন অফিস থেকেই করে থাকে। তবে ভুল সংশোধন করার সময় দেওয়া হয়। সেই সময়ে গেলে জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধন করা যায়। তবে সংশোধন করতে কিছু কাগজপত্র এবং টাকার প্রয়োজন হয়। টাকা দিতে হয় সংশোধনের ফ্রি হিসেবে।
তাদের কথামতো কাজ করলে খুব সহজেই সংশোধন করা যায়। জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে? এই সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। তবে সেখানে উল্লেখ করে কিছুই বলা যায় না। কারণ এসব কাজ করে থাকে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
তাদের কাজের গতির উপর আপনার সংশোধনের সময় নির্ধারণ হয়। সাধারণত এসব কাজ করতে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগে। তবে অনেক সময় অনেক বেশি সময় লাগে।
বর্তমান সময়ে অনলাইনে মাধ্যমে সংশোধন করার সময় এসেছে। এই কারণে কম সময়ের মধ্যে ঘরে বসেই জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারবেন। তাই নির্বাচন অফিসে না গিয়ে যারা অনলাইনে কাজ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কিউট
অনলাইনে nid নাম পরিবর্তন
বাংলাদেশ সরকারের চেষ্টায় বর্তমানে সকল কিছু আধুনিক হয়েছে। সকল ক্ষেত্রেই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। যার ফলে ঘরে বসেই সকল ধরনের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। সরকারি সকল কাজকর্ম একটি ল্যাপটপ দিয়েই করা সম্ভব। এই আধুনিকতার ফলে মানুষের দুর্ভোগ কমেছে। ঘরে বসেই সকল কাজ করা সম্ভব হচ্ছে কম সময়ের মধ্যে।
অনেকেরই এন আই ডি কার্ডের নামের সমস্যা রয়েছে। অনলাইনে nid নাম পরিবর্তন করা সম্ভব। তবে সব সময় নাম পরিবর্তন করা যায় না। বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন অধিদপ্তর থেকে সংশোধনের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হয়।
জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম পরিবর্তন করতে হলে প্রথমে অনলাইনে যারা কাজ করে তাদের কাছে যেতে হয়। এবং তারা কিছু নির্দেশনা দিয়ে থাকে। সেই অনুপাতে কাগজপত্র নিয়ে তাদের কাছে যেতে হয়। অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম পরিবর্তন করতে তেমন সমস্যা হয় না। অনেক কম সময়ের মাধ্যে হয়ে যায়।
আবাসিক ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা কি একই
আবাসিক ঠিকানা
আমরা বর্তমান সময়ে যে জায়গায় বসবাস করি সে জায়গায় হচ্ছে আবাসিক ঠিকানা। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ আবাসিক ঠিকানায় বসবাস করে। কারণ, কাজের সূত্র অনেক সময় বাইরে থাকতে হয়। সেই বাসা ভাড়া নিয়ে নিজ স্থানীয় এলাকা থেকে দূরে থাকতে হয়।
নিজ বাড়ি থেকে যেখানে ভাড়া থাকা হয় বা বর্তমান সময়ে বসবাস করা হয় সেটা হচ্ছে আবাসিক ঠিকানা। আবাসিক ঠিকানা কিছুদিন পর পর পরিবর্তন হতে পারে।
স্থায়ী ঠিকানা
জন্মগত সূত্রে আমরা যেখানে বসবাস করি সেটাই হচ্ছে আমাদের স্থায়ী ঠিকানা। স্থায়ী ঠিকানা কোন সময় পরিবর্তন হয় না। কারণ, স্থায়ী ঠিকানায় মানুষ বাড়ি তৈরি করে। যেখানে যে কাজই করুক দিন শেষে বা মাস শেষে একবার হলেও সেখানে আসে। পরিবারের কেহ না কেহ বসবাস করে।
আমার বিশ্বাস আসিফ ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। তবে কিছু কিছু সময় আবাসিক স্থায়ী ঠিকানা একটাই হয়। কারণ যারা নিজের বাসা থেকেই কাজ করে তাদের আবাসিক স্থায়ী ঠিকানা দুটোই এক জায়গায়। কিন্তু মাঝে মাঝে আবাসিক ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে থাকে।
শেষ কথা: অনলাইনে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম
মানুষ বিভিন্ন কারণে নিজের এলাকা পরিবর্তন করে অন্য এলাকায় স্থায়ী বসবাস করছে। যার ফলে নিজের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে হচ্ছে। যার জন্য প্রয়োজন নিজের ভোটার এলাকা পরিবর্তন করা। ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এবং নির্বাচন অফিসে যেতে হয়।
বর্তমানে এই কাজটি ঘরে বসেই করা সম্ভব হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। অনলাইনে কাজ করতে হলে সর্বপ্রথম যেসব দোকানদার এসব কাজ করে তাদের কাছে খোঁজখবর নিতে হয়। তারপর তাদের নির্দেশনা মত কাগজ জমা দিতে হয়। এই ভাবেই কাজ করা সম্ভব। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবে। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।